Health Tips > Protect your Health/ your Doctor
সুস্বাস্থ্যের জন্য হাঁটুন
(1/1)
Mohammed Abu Faysal:
স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করার কথা বা উপদেশ আমরা সব সময় শুনে থাকি। কিন্তু কী ব্যায়াম করব? এর জন্য কি জিমনেশিয়ামে যাবো, নাকি কোনো কাবে? আর ব্যায়াম করবই বা কখন? এ রকম নানা প্রশ্ন আমাদের মনে আসে। এর একটাই ভালো উত্তর হয়; তা হচ্ছে এত কিছু না ভেবে নিয়মিত হাঁটুন। সপ্তাহে পাঁচ-ছয় দিন আধা ঘণ্টা হাঁটার মতো ব্যায়াম আর নেই। রোগ প্রতিরোধে হাঁটা অসাধারণ ভূমিকা পালন করে। আগে থেকে ব্যায়ামের অভ্যাস না থাকলে হঠাৎ করে তা শুরু করাও কষ্টসাধ্য। কিন্তু ইচ্ছে করলেই আপনি হাঁটতে পারেন। রোগ প্রতিরোধ বিশেষজ্ঞরা বলেন, যদি কেউ প্রতিদিন আধা ঘণ্টা হাঁটেন তাহলে ৩০-৪০ ভাগ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। আপনি যদি খুব কর্মব্যস্ত মানুষ হন এবং আধা ঘণ্টা সময় হাঁটার জন্য দিনে বের করতে না পারেন তাহলে কী করবেন। চিন্তার কোনো কারণ নেই। দিনে তিন-চারবার ১০ মিনিট করে হাঁটুন। দিনে আধা ঘণ্টা হাঁটা বা ১০ মিনিট করে হাঁটা যেকোনো একভাবে হাঁটলেই হবে। আসুন, এবার জেনে নেয়া যাক হাঁটলে আপনি কোন কোন রোগ কিভাবে প্রতিরোধ বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।
হৃদরোগ
নিয়মিত হাঁটা হার্টের জন্য খুবই ভালো। হাঁটার ফলে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় ও হার্টের মাংসপেশি ভালো থাকে। তা ছাড়া নিয়মিত হাঁটার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। হাঁটার ফলে রক্তে এইচডিএল কোলেস্টেরল যাকে আমরা বলি ভালো কোলেস্টেরল তার পরিমাণ বেড়ে যায়। এভাবে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি শতকরা ৫০ ভাগ কমে যায়।
স্ট্রোক
নানা রকম গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত হাঁটলে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। হার্ভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথের ১৪ বছরব্যাপী এক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, যারা সপ্তাহে ৬ ঘণ্টা বা তারও বেশি হাঁটেন তাদের শতকরা ৪০ ভাগ স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়।
ওজন নিয়ন্ত্রণ
ওজন নিয়ন্ত্রণে হাঁটার ভূমিকা অনেক। বয়স বাড়ার সাথে সাথে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। আধা ঘণ্টা হাঁটলে ১০০০ কিলোজুল ক্যালরি ক্ষয় হয়। অনিয়ন্ত্রিত ওজন নানা অসুখের কারণ। নিয়মিত হাঁটার ফলে দেহে অতিরিক্ত চর্বি জমা হয় না। ওজন কমাতে হলে অবশ্য আধা ঘণ্টা নয়, প্রতিদিন অন্তত এক ঘণ্টা হাঁটতে হবে।
ডায়াবেটিস
গবেষণার মাধ্যমে প্রত্যক্ষ প্রমাণ পাওয়া গেছে যে, নিয়মিত হাঁটলে টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। আর ডায়াবেটিক রোগীরা অবশ্যই নিয়মিত হাঁটবেন। কেননা তাতে রক্তের চিনি নিয়ন্ত্রণে থাকে। আর ডায়াবেটিসের জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন সেটাও হাঁটার মাধ্যমে সম্ভব; সে কথা আগেই বলা হয়েছে।
লেখিকা : সহযোগী অধ্যাপিকা, ফার্মাকোলজি অ্যান্ড থেরাপিউটিক্স, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ।
Ref:- http://www.dailynayadiganta.com/new/?p=32344
Mohammed Abu Faysal:
সুস্থ থাকতে দরকার বেশি বেশি ব্যায়াম। এমনই পরামর্শ সবার। কিন্তু প্রশ্ন হলো কতক্ষণ ধরে ব্যায়াম, কী ধরনের ব্যায়াম? হাঁটার ক্ষেত্রে ব্যায়ামের প্রভাব নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেক সময় ধরে আস্তে আস্তে নয় বরং কম সময় নিয়ে দ্রুত হাঁটা বেশি কার্যকর।
হাঁটার প্রভাব নিয়ে গবেষণাটি করেছেন ডেনমার্কের একদল গবেষক। তাঁরা কোপেনহেগেন সিটি হার্ট স্টাডি থেকে ২১ থেকে ৯৮ বছর বয়স্ক ১০ হাজার নারী-পুরুষের তথ্য ১০ বছর পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করেন। বিজ্ঞান সাময়িকী বিএমজি ওপেন এ গবেষণা নিবন্ধটি প্রকাশ করেছে।
গবেষকেরা মূলত কীভাবে মেটাবলিক সিনড্রোম বা শরীর স্থূল হয়ে ওঠে, কোলেস্টেরল বাড়ে, উচ্চ রক্তচাপ এবং রক্তে অতি মাত্রার শর্করার উপস্থিতি ঘটে, তা নিয়ে গবেষণা করেন।
পর্যবেক্ষণের শুরুতে অংশগ্রহণকারীদের সব ধরনের শারীরিক কর্মকাণ্ডের তথ্য নেওয়া হয়। উচ্চতা ও ওজনও নথিভুক্ত করা হয়। অংশগ্রহণকারীদের প্রায় ২১ শতাংশ নারী এবং ২৭ শতাংশ পুরুষের মধ্যে হূদেরাগ, রক্ত সংবহনতন্ত্রে সমস্যা, ডায়াবেটিসের মতো বিভিন্ন সমস্যা ছিল।
১০ বছর তাঁদের পর্যবেক্ষণে রাখার পর দেখা গেছে, যাঁরা দ্রুত হাঁটাহাঁটি অথবা জগিং করেছেন, তাঁদের এসব ঝুঁকির পরিমাণ কমে প্রায় অর্ধেক হয়েছে। আর যাঁরা ধীরে হাঁটাহাঁটি করেছেন (এমনকি প্রতিদিন এক ঘণ্টা পর্যন্ত) তাঁদের ঝুঁকি এই পরিমাণ কমেনি। তবে এই গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে কোনো তথ্য নেওয়া হয়নি। যদিও খাদ্যাভ্যাস এসব ঝুঁকির ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে।
গবেষণা শেষে দেখা যায়, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে নতুন করে ১৫% মেটাবলিক সিনড্রোমে আক্রান্ত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে যাঁরা বসে কাজ করতেন, তাঁদের ১৯%, আর যাঁরা কঠোর পরিশ্রম করতেন ও ব্যস্ত সময় কাটাতেন, তাঁদের ১২% মেটাবলিক সিনড্রোমে আক্রান্ত হন।
Ref: http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-11-07/news/303301
Navigation
[0] Message Index
Go to full version