Entertainment & Discussions > Fashion
Hair cut style
Mohammed Abu Faysal:
এখন চারদিকে গরমের সঙ্গে বাড়তি এক ভোগান্তির নাম ধুলোময় ঠাণ্ডা বাতাস। এর ফলে চোখ-মুখের সঙ্গে সঙ্গে চুলেও ধুলোবালু ঢুকে যায়। আর গরমে মাথা ঘেমে যায়, যার পরিণামে চুলের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এসব বিষয় এড়াতেই চুলের কাট দিতে হবে সময়োপযোগিতার দিকে লক্ষ রেখে। এ সময় ছেলেদের চুল কিছুটা ছোট রাখাই ভালো। আর মাথায় বাতাস লাগে এমনভাবেই চুল কাটাতে হবে।
কেমন কাট চলছে
এ সময় চুল ছোট করতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন অনেকে। এর সুবিধা রয়েছে বেশ কয়েকটি। প্রথমত, ছোট চুলে মাথায় বাতাস লাগে, ফলে তা গরমে আরামদায়ক হয়। এ ছাড়া ছোট চুলে ময়লা কম হয়, এ সময় ছোট চুল মানানসইও বটে। তাই এখন অনেকেই কিছুটা ছোট চুলেও স্টাইল ও কাটের ভিন্নতা আনেন। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শাহরিয়ার জানালেন, এ সময় চুল ছোট রাখলেই বেশি আরাম লাগে। তবে সেটি যাতে ফ্যাশনেবল হয়, সেদিকেও নজর দিতে হবে। চুলের নানা ধরনের কাটের মধ্যে বেশি চলছে লেয়ার কাট ও স্পাইক। লেয়ার কাটের ধরনটা হলো পেছনের দিকে একটু ছোট এবং কানের দুই পাশে একটু ঢেকে ছোট করে কাটা। আর সামনে চুল খুব ছোটও থাকবে না আবার খুব বড়ও থাকবে না। মোটামুটি সব বয়সের ছেলেদেরই এ ধরনের চুলের কাট মানাবে। স্পাইক কাটও এখন তরুণদের কাছে খুব জনপ্রিয়। অনেকে শুধু সামনের অংশ স্পাইক করছেন। যাদের মুখ কিছুটা গোল, তারা কানের দুই পাশে চুল একটু ছোট রাখতে পারেন। এতে মুখটা ভালোমতো ফুটে উঠবে। আবার একইভাবে যাদের মুখ কিছুটা লম্বা ধরনের, তারা কানের দুই পাশে কিছুটা চুল রেখে দিলে ভালো মানাবে। এ ছাড়া এ সময় অনেকে চুল রিবন্ডিংও করছেন। অনেকে চুল কিছুটা ছোট করে সোজা করে নিচ্ছেন। অনেক তরুণ প্রিয় তারকার মতো করে চুলের কাট দিচ্ছেন। তবে কাট যা চলছে তা নিজের ক্ষেত্রে ব্যবহারের সময় চুল বিশেষজ্ঞের মতামত নিন, আসলে সেটা আপনার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানানসই কি না? চুলকে মনমতো সেট করতে আজকাল অনেকেই চুলে জেল ব্যবহার করছেন আবার হেয়ার মুজও ব্যবহার করছেন। চুলে স্প্রে করাও এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এসব ব্যবহারে চুল হয় দৃষ্টিনন্দন এবং চুল নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, এসব পণ্য যেন অবশ্যই ভালো ব্র্যান্ডের হয়।
এই সময়ে চুলের যত্নআত্তি
এ সময় চুলের ত্বক ঘামে আর ধুলো সেই ঘামে আটকে গিয়ে চুল বেশি ময়লা হয়। তাই এই দিনগুলোতে চুল সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বাইরে থেকে এসে অবশ্যই ভালো মানের শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে। চুল কাটার সময় চুলে ঠিকমতো বাতাস চলাচল করছে কি না তা নিশ্চিত করতে হবে। সপ্তাহে অন্তত একবার হারবাল অয়েল ট্রিটমেন্ট নিলে চুলের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হতে পারে। এ সময় এমনভাবে চুল কাটান, যাতে চুল ছোট করার পরও সেটিংয়ের সাহায্যে তা সহজে বদলাতে পারেন। এতে একদিক থেকে এ সময় যেমন আরাম পাওয়া যাবে, চুলও ময়লা হবে কম আবার ফ্যাশনও অটুট থাকবে।
tamim_saif:
Great information.
I can say it is seasonally perfect information for us.
saratasneem:
I adopt the style which is comfortable,decent and nice-looking.
shilpi1:
ব্যক্তিগত আমন্ত্রণে বা কাজের সূত্রে প্রায়ই নানা পার্টিতে যেতে হয় আমাদের। ভিন্ন পার্টিতে উপস্থিত হতে আপনার লুকেও আনতে হয় ভিন্নতা। একইরকম পোশাকে পার্টিতে আপনার উপস্থিতি আপনার লুককে করে তুলতে পারে একঘেয়ে। তাই পার্টিতে নিজেকে আকর্ষণীয় করতে কিছুটা সচেতন হলেই হয়।
পার্টিতে ভিন্নতাসাজে এবং পোশাকে ভিন্নতা আনতে হবে। পোশাকের ভিন্নতা মানে যে বড় কালেকশন থাকতে হবে এমন কোনো কথা নেই। চাইলে অল্প কালেকশনেই চালিয়ে নিতে পারেন নিয়মিত পার্টিগুলো। এজন্যে কিছুটা কৌশলে তা মানিয়ে নিতে পারেন।
দু-একটি বেসিক রঙের সালোয়ার, ট্রাউজার্স রাখুন। যেমন কালো, সাদা কিংবা অন্য কোনো রং। সঙ্গে রাখুন দোপাট্টা আর স্কার্ফ। সালোয়ারের সঙ্গে ম্যাচিং কুর্তা ছাড়াও কখনও লম্বা ঝুলের টি-শার্ট বা শর্ট কুর্তা দিয়ে পরতে পারেন।
একই সালোয়ারের সঙ্গে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দোপাট্টা ব্যবহার করুন। রঙচঙে বাঁধনী বা অন্য কোনো প্রিন্টেড দোপাট্টায় পুরো লুকটাই বদলে যেতে পারে। কিংবা ট্রাউজার্স বা শার্টের সঙ্গে ব্রান্ডেড ঘড়ি পরতে পারেন।
শাড়ির ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটা ভালো কাটের, বিভিন্ন ফ্যাব্রিকের ব্লাউজ রাখুন। যা সহজেই যে কোনো শাড়িতে ম্যাচিং করতে পারেন। আপনার যা আছে তাই দিয়েই সুন্দর করে সাজতে পারেন, শুধু একটু বুদ্ধির প্রয়োজন।
পোশাক রিপিট হওয়া নিয়ে তেমন কোনো চিন্তার কারণ নেই। যে পোশাকটা কিনেছেন, তা পছন্দ হয়েছে বলেই তো কিনেছেন। আর সেই ভালোলাগা থেকেই তো বারবার পোশাকটি পরবেন। এরমধ্যে হীনমন্যতার কোনো কারণ নেই। কেবল পোশাকের সঙ্গে নিজেকে উপস্থাপনের কৌশলটা পাল্টে নিন, দেখবেন সবার কাছে সমালোচিত না হয়ে বরং প্রশংসিত হচ্ছেন।
shilpi1:
আমরা হাজার রকম বিউটি টিপসের কথা শুনি এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে নানা ধরনের সৌন্দর্য উপকরণ ব্যবহারও করি। কিন্তু এর মধ্যে খুব কমই আছে যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং ধরে রাখতে পারে। আজ আমরা উজ্জ্বল ত্বকের রহস্য নিয়ে জানবো:
পানি পান
ত্বক সুন্দর রাখতে পানির কোনো বিকল্প নেই। পানির অভাবে চামড়া খসখসে ও শুষ্ক হয়ে যায়। তাই নিয়মিত পানি পান করুন। পর্যাপ্ত পানি পানে ত্বক হয়ে উঠবে মসৃণ কমনীয়। ভাবছেন এতে নতুনত্বের কি আছে? ভুলে যান দিনে অন্তত আট গ্লাস পানি পানের ফর্মুলা। যতটুকু পানি পান করলে তৃষ্ণা নিবারণ হয় ততটুকু পানি পান করাই যথেষ্ট।
সানস্ক্রিন ক্রিম
সূর্যের আলট্রা ভায়োলেট রশ্মি বা অতি বেগুনি রশ্মি আমাদের ত্বকের ক্ষতি করে। আমাদের স্ক্রিন ক্যানসারের জন্য দায়ী এ রশ্মি। আর তাই সুন্দর ও স্বাস্থ্যজ্জ্বোল ত্বকের জন্য বাইরে বের হওয়ার আগে সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার করাটা অপরিহার্য। রোদ বা বৃষ্টি যাই হোক না কেন সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। বাইরে বের হওয়ার অন্তত ১৫ মিনিট আগে খুব ভালো করে সানস্ক্রিন ক্রিম ত্বকে লাগাতে হবে। আবহাওয়া এবং ত্বকের ধরন অনুযায়ী পিএচপি দেখে ভালো মানের সানস্ক্রিন ক্রিম বা লোশন কিনুন।
ময়েশ্চারাইজার
নিয়মিত ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার আমাদের ত্বকের রুক্ষতা ও শুষ্কতা থেকে রক্ষা করে আমাদের দেয় মসৃণ কোমল ত্বক। সব সময় ব্যাগে একটি ময়েশ্চারাইজার সমৃদ্ধ লোশন রাখুন। যারা এসি রুমে সারাদিন কাজ করেন, কাজের ফাঁকে কয়েকবার লোশন ব্যবহার করুন। এতে ত্বক শুষ্কতার হাত থেকে রক্ষা পাবে।
হাত এবং ঘাড়েরও যত্ন নিন
আপনার হাত এবং ঘাড় কি আপনার ত্বকের মতো? যদি না হয় তবে মুখের উজ্জ্বলতার সঙ্গে ঘাড় ও হাতের মানানসই করতে নিয়মিত পরিষ্কার করে তাতে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। কোনো ভাল মানের ময়েশ্চারাইজার ক্রিম নিয়ে যতক্ষণ পর্যন্ত না মুখের ত্বকের মত মসৃণ হয় সে পর্যন্ত ভালভাবে ম্যাসেজ করুন।
ব্যায়াম
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে শুধু ফেসিয়ালই একমাত্র পথ নয়। প্রয়োজন নিয়মিত শরীরচর্চা। নিয়মিত শরীরচর্চা আমাদের শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে ও অক্সিজেন চলাচলে সয়ায়তা করে। আর এতে একদিকে যেমন ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে তেমনি স্বাস্থ্যও থাকবে সুন্দর।
ভালো থাকুন
সবচেয়ে বড় কথা হল নিজেকে সুস্থ ও হাসিখুশি থাকতে হবে। সেই সঙ্গে দুশ্চিন্তাকে বিদায় দিতে হবে চিরতরে। থাকুন চাপমুক্ত তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে। তাই বেশি বেশি হাসুন আর সবসময় প্রফুল্ল থাকুন।
খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন
ত্বককে সুন্দর ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করতে নিয়মিও প্রচুর ফল ও শাক সবজি খেতে হবে। এতে থাকা ভিটামিন এ, সি ও ই ত্বকের সুরক্ষায় কাজ করবে। এছাড়া ত্বকের সুরক্ষা ও উজ্জ্বলতা বাড়াতে ফলের রস দিয়ে প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করুন।
Navigation
[0] Message Index
[#] Next page
Go to full version