রমনা পার্কে সকালে হঠাৎ অট্টহাসি শোনা যায়। হাটার পর অনেকে ব্যায়ামের অংশ হিসেবে অট্টহাসির চর্চা করেন। অনেকে আবার কিছুক্ষন প্রান খুলে হাসার পরক্ষনেই বুক ভাসিয়ে কান্না জুড়ে দেন। এটাও এক ব্যায়াম। কিন্তু হাসি-কান্না তো মূলত কৌতুক বা বেদনাদায়ক কিছুর প্রতিক্রিয় মাত্র। এতে কিভাবে ব্যায়াম হয়? এটা আসলে ফুসফুস, হৃদযন্ত্র এবং গলা, বুক ও পেটের মাংসপেশির ব্যায়াম। হাসির সময় প্রবল বেগে ভিতর থেকে বাতাস বের হয়। ডায়াফ্রামের পেশিকে বেশ কঠিন কাজ করতে হয়। আমরা অনেক সময় বলি, হাসতে হাসতে মারা গেলাম। তার মানে, অবিরাম হাসি এত কষ্টসাধ্য যে একসময় শক্তির শেষ সীমানায় পৌছে গেছি বলে মনে হয়। একটানা হাসি বেশ চাপ সৃষ্টি করে ও হাপিয়ে তোলে। কিন্তু হাসি কি ব্যায়ামের মতোই শারীরিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে? ব্যায়ামের ফলে সৃষ্ট কষ্টকর অনুভুতির প্রতিক্রিয়ায় শরীর এনড্রফিন নিঃসরন করে। এতে বেদনাদায়ক অনুভুতি কমে যায়। দেখা গেছে, জোরে একটানা হাসলেও শরীরে একই ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। অর্থাৎ, হাসিও একধরনের ব্যায়াম। কান্নার ব্যাপারটাও তাই। দলবেধে হাসি-কান্নায় আরও ভালো কাজ হয়।