Faculties and Departments > Business Administration

Branding Bangladesh: time to go for an integrated policy

<< < (8/26) > >>

Shamsuddin:
ধূমপান আইন সংশোধনের দাবি





বাংলাদেশের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের উপর একটি সমীক্ষার প্রাথমিক প্রতিবেদন উপস্থাপনের পর বার কাউন্সিলের পক্ষে এ দাবি জানান বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার।

বার কাউন্সিলের মানবাধিকার ও আইনগত সহায়তা কমিটি পরিচালিত এই সমীক্ষায় নেতৃত্ব দেন আইনজীবী শাহদীন মালিক। এতে সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্টের ক্যাম্পেইন ফর ট্যোবাকো ফ্রি কিডস।

আইন সংশোধন ও বাস্তাবায়ন পথ, এই দুইভাগে সমীক্ষাটি করা হয়।

ধূমপান ও তামাক পণ্যের ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০০৫- এ অনেক ফাঁক রয়েছে দাবি করে সমীক্ষার প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়, এই আইনে তামাক, তামাক পণ্য, পাবলিক প্লেস, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসব শব্দকে সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গিতে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।

এতে আরো বলা হয়, ধূমপান ও তামাক পণ্যের ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০০৫ এর বর্তমান অবস্থাটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এফসিটিসি গাইডলাইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ওই নির্দেশিকা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের নাগরিকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই আইন ও নীতি সংশোধন করতে হবে।

বার কাউন্সিল সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বার কাউন্সিলের মানবাধিকার ও আইনগত সহায়তা কমিটির বার কাউন্সিলের মানবাধিকার ও আইনগত সহায়তা কমিটির চেয়ারম্যান জেড আই খান পান্না, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সহ-সভাপতি জগলুল হায়দার আফ্রিক প্রমুখ।



Source: Internet

Shamsuddin:
'ধূমপানের কারণে এ বছর মৃত্যুবরণ করবে ৬০ লাখ মানুষ'



লন্ডন, জুন ০১ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/রয়টার্স)- ধূমপানের কারণে চলতি বছর বিশ্বব্যাপী প্রায় ৬০ লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করবে। আর এরমধ্যে পরোক্ষ ধূমপানের কারণে মারা যাবে প্রায় ৬ লাখ মানুষ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে।

এত মানুষের মৃত্যুর জন্য ডব্লিউএইচও বিশ্বের সরকারগুলোকে দায়ী করেছে। সংস্থাটি দাবি করছে, কোনো দেশের সরকারই জনগণকে ধূমপানবিমুখ করতে যথেষ্ট পদক্ষেপ নেয়নি। একই সাথে পরোক্ষ ধূমপান ঠেকাতেও কর্তৃপক্ষ যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।

যদিও ধূমপান শুরু করার অনেক বছর পর এর স্বাস্থ্যগত ক্ষতির দিক প্রকাশ পেতে থাকে তারপরও ধূমপানজনিত রোগ ও এরফলে মৃত্যু এখন মহামারীর রূপ নিয়েছে বলে জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।

২০৩০ সাল নাগাদ ধূমপানের ফলে মৃতের সংখ্যা প্রতি বছরে ৮০ লাখে গিয়ে দাঁড়াবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

জাতিসংঘের এই সংস্থাটি বিশ্বের আরও বেশি সংখ্যক দেশের সরকারকে এর তামাক নিয়ন্ত্রণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করে তা প্রয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছে।

এ পর্যন্ত বিশ্বের ১৭২টি দেশ ও ইউরোপিয় ইউনিয়ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার 'ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অব টোবাকো কন্ট্রোল' (এফসিটিসি) তে স্বাক্ষর করেছে।

ডব্লিউএইচও সতর্ক করে বলেছে, বর্তমান অবস্থা চলতে থাকলে চলতি একবিংশ শতাব্দীতে তামাকের কারণে ১শ' কোটি মানুষের মৃত্যু হতে পারে যা বিগত শতাব্দীর দশগুণ।

বিংশ শতাব্দীতে তামাকজনিত কারণে দশ কোটি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

ডব্লিউএইচও ধূমপান নিরোধে কয়েকটি রাষ্ট্রের গৃহীত পদক্ষেপে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে। এরমধ্যে উগান্ডা নিয়ম করেছে তামাকজাত দ্রব্যাদির প্যাকেটের আশিভাগ জুড়ে স্বাস্থ্য সতর্কতা নির্দেশ করার জন্য বরাদ্দ রাখতে হবে।

গত মাসে চীন জনসমাগমের স্থানগুলো যেমন হোটেল, রেস্তোরাঁ, বার ইত্যাদিতে ধূমপান নিষিদ্ধ করেছে।

এ পদক্ষেপগুলোকে উৎসাহজনক বললেও ডব্লিউএইচও-এর মহাপরিচালক মার্গারেট চ্যান এগুলোকে যথেষ্ট বলে স্বীকৃতি দেননি। তিনি বলেছেন, "রাষ্ট্রগুলোকে ধূমপান নিরোধে প্রয়োজনীয় আইন জারি করতে হবে এবং সেগুলো কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে"।

ডব্লিউএইচও ধূমপানকে 'সভ্যতার ইতিহাসে জনস্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি' বলে চিহ্নিত করেছে।

ধূমপানের কারণে ফুসফুসের ক্যান্সার হয়, এছাড়া অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদী শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত রোগেরও কারণ ঘটায় ধূমপান। বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতী রোগ রক্তসংবহনজনিত রোগ (স্ট্রোক) ও হৃদরোগের প্রধান কারণ ধূমপান।

প্রসঙ্গত, ৩১ মে ছিল বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস।

Source Internet

Shamsuddin:
ধূমপান: মিনিটেই দেহের ক্ষতি


 ধূমপানের কারণে কয়েক বছর নয়, বরং কয়েক মিনিটেই শরীরের ক্ষতি হয়। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা এমনটাই বলেছেন।

'কেমিক্যাল রিসার্চ ইন টক্সিকোলোজি'তে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধূমপানের পর শরীরে 'পলিসাইক্লিক অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন' (পিএএইচ)-এর মাত্রা বেড়ে যায়।

শরীরে পিএএইচ অন্য একটি রাসায়নিক উপাদানে রূপান্তরিত হয় যা ডিএনএ'র ক্ষতি করে এবং ক্যান্সার সৃষ্টির জন্য দায়ী।

এ পুরো প্রক্রিয়াটি সংঘটিত হতে ১৫ থেকে ৩০ মিনিট সময় লাগে এবং প্রথম সিগারেট খাওয়ার পরেই এটা ঘটতে শুরু করে বলে গবেষণায় বলা হয়েছে।

'ইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটা'র অধ্যাপক স্টিফেন হেচ বলেন, "এ গবেষণাটি অনন্য। খাবার ও বায়ু দুষণ ছাড়া কেবল ধূমপানের ওপর ভিত্তি করেই সিগারেট খাওয়ার পর মানুষের শরীরে পিএএইচ-এর যে রাসায়নিক রূপান্তর ঘটে তা প্রথমবারের মতো দেখানো হয়েছে এখানে।"

এ গবেষণাকে ধূপমান শুরু করতে আগ্রহী মানুষের জন্য সতর্কবার্তা বলে অভিহিত করেছেন ধূমপান বিরোধী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'অ্যাশ'র নীতি ও গবেষণা বিষয়ক পরিচালক মার্টিন ডকরেল।


Source: Internet

Shamsuddin:
Indirect smoking and percentise of Die

পরোক্ষ ধূমপানে বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ছয় লাখ মানুষ মারা যাচ্ছে। এর মধ্যে এক লাখ ৬৫ হাজারই শিশু।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) গবেষকরা শুক্রবার একথা জানিয়েছেন।

বিশ্বে পরোক্ষ ধূমপানের প্রভাব নিরুপণে প্রথমবারের মতো পরিচালিত গবেষণায় ডব্লিউএইচও'র গবেষকরা জানতে পেরেছেন, অন্যদের চেয়ে শিশুরাই এর সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। এর কারণে বছরে প্রায় এক লাখ ৬৫ হাজার শিশুর মৃত্যু হচ্ছে।

আনেত্তে প্রাস উসতুনের নেতৃত্বে পরিচালিত ওই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, "এর মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ শিশুর মৃত্যু হচ্ছে আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ায়।"

শিশুরা ঘরেই পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয় এবং এতে তাদের নানা ধরনের রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

গবেষণায় পাওয়া ফলাফলের ওপর ল্যাঞ্চেট জার্নালে মন্তব্য করতে গিয়ে সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিদার উইপফ্লি ও জনাথন স্যামেটা বলেন, ঘরের মধ্যে ধূমপান না করতে জনসচেতনতা বাড়াতে নীতি-নির্ধারকদের কাজ করা উচিত।

২০০৪ সালে ১৯২টি দেশের মানুষের মৃত্যুর ওপর গবেষণা চালিয়েছেন তারা।

তাদের পাওয়া তথ্যমতে, ২০০৪ সালে বিশ্বব্যাপী ৪০ শতাংশ শিশু, ৩৩ শতাংশ অধূমপায়ী পুরুষ ও ৩৫ শতাংশ অধূমপায়ী নারী পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়ে মারা গেছেন।


Source: Internet

arefin:
দুআ করার কয়েকটি আদব
-------------------------------------
আল্লাহর কাছে অত্যন্ত বিনীতভাবে ধর্না দেয়া এবং নিজের দুর্বলতা, অসহায়ত্ব ও বিপদের কথা আল্লাহর কাছে প্রকাশ করা :
-----------------------------------------------------------------------------------------
আইউব আ. কিভাবে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছেন, আল্লাহ সে সম্পর্কে বলেন:

এবং স্মরণ কর আইউবের কথা, যখন সে তার প্রতিপালকের কাছে প্রার্থনা করে বলেছিল, আমি দুঃখ-কষ্টে পড়েছি, আর তুমি তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।
(সুরা আম্বিয়া : ৮৩)

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যাকারিয়া আ. এর প্রার্থনা সম্পর্কে বলেন :

সে বলেছিল, হে আমার প্রভু! আমার অস্থি দুর্বল হয়েছে, বার্ধক্যে আমার মস্তক সাদা হয়ে গেছে। হে আমার প্রতিপালক! তোমার কাছে প্রার্থনা করে আমি কখনো ব্যর্থকাম হইনি। আমি আশংকা করি আমার পর আমার সগোত্রীয়দের সম্পর্কে ; আমার স্ত্রী বন্ধ্যা। সুতরাং তুমি তোমার নিকট হতে দান কর উত্তরাধিকার।
(মারইয়াম : ৪-৫)

ইবরাহীম আ. এর দুআ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন :

হে আমাদের রব, নিশ্চয় আমি আমার কিছু বংশধরদেরকে ফসলহীন উপত্যকায় তোমার পবিত্র ঘরের নিকট বসতি স্থাপন করালাম, হে আমাদের রব, যাতে তারা সালাত কায়েম করে। সুতরাং কিছু মানুষের হৃদয় আপনি তাদের দিকে ঝুঁকিয়ে দিন এবং তাদেরকে রিয্‌ক প্রদান করুন ফল-ফলাদি থেকে, আশা করা যায় তারা শুকরিয়া আদায় করবে।’
(ইবরাহীম : ৩৭)

কুরআন কারীমে এ ধরনের বহু আয়াত আছে যাতে তুলে ধরা হয়েছে নবী রাসূলগণ কিভাবে কাতরতা ও বিনয়ের সঙ্গে নিজেদের করুণ অবস্থা আল্লাহর কাছে তুলে ধরেছেন। মুমিনদের কর্তব্য ঠিক এমনিভাবে আল্লাহর কাছে দুআ ও প্রার্থনা করা।


দুআয় আল্লাহর হামদ ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি দরূদ পেশ করা :
---------------------------------------------------------------------------------------------------
দুআর শুরুতে আল্লাহ তাআলার প্রশংসা করা ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি দরূদ পড়া দুআ কবুলের সহায়ক বলে হাদীসে এসেছে।

ফুযালা ইবনু উবাইদ রা. থেকে বর্ণিত যে, একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দেখলেন এক ব্যক্তি দুআ করছে কিন্তু সে দুআতে আল্লাহর প্রশংসা ও রাসূলের প্রতি দরূদ পাঠ করেনি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে লক্ষ্য করে বললেন, সে তাড়াহুড়ো করেছে। অতঃপর সে আবার প্রার্থনা করল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে অথবা অন্যকে বললেন, যখন তোমাদের কেউ দুআ করে তখন সে যেন আল্লাহ তাআলার প্রশংসা ও তার গুণগান দিয়ে দুআ শুরু করে। অতঃপর রাসূলের প্রতি দরূদ পাঠ করে। এরপর যা ইচ্ছা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে। (আবু দাউদ ও তিরমিজী)

আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ ও তাঁর মহৎ গুণাবলি দ্বারা দুআ করা :
----------------------------------------------------------------------
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন :
আল্লাহর রয়েছে সুন্দর সুন্দর নাম। অতএব তোমরা তাকে সে সকল নাম দিয়ে প্রার্থনা করবে। (আল-আরাফ : ১৮০)
আল্লাহ তাআলার সুন্দর নাম ও মহান গুণাবলির মাধ্যমে দুআ করার কথা আল-কুরআনে ও হাদীসে বহু স্থানে এসেছে। যেমন ইবনু আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত :

নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাতে যখন তাহাজ্জুদ পড়তে দাঁড়াতেন তখন বলতেন, হে আল্লাহ আপনারই প্রশংসা, আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীসমূহে ও তাতে যা কিছু আছে আপনি তার জ্যোতি। আপনারই প্রশংসা, আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীসমূহে এবং তাতে যা কিছু আছে আপনি তার ধারক। আপনারই প্রশংসা, আপনি সত্য, আপনার ওয়াদা সত্য, আপনার কথা সত্য, আপনার সঙ্গে সাক্ষাত সত্য, জান্নাত সত্য, জাহান্নাম সত্য, কিয়ামত সত্য, নবীগণ সত্য, মুহাম্মদ সত্য। হে আল্লাহ! আপনার কাছেই আত্মসমর্পন করেছি। আপনার ওপরই নির্ভর করেছি। আপনার প্রতি ঈমান এনেছি। আপনার দিকে ফিরে এসেছি। আপনার জন্য বিবাদ করেছি। আপনাকেই বিচারক মেনেছি। অতএব আপনি আমার পূর্ব ও পরের গোপন ও প্রকাশ্যের পাপগুলো ক্ষমা করে দিন। আপনি শুরু আপনি শেষ। আপনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। (বুখারী ও মুসলিম)

এ হাদীসে দেখা গেল নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুআয় কিভাবে আল্লাহর গুণগান করছেন। আল্লাহর সুন্দর নামগুলো উল্লেখ করেছেন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদিন শুনলেন এক ব্যক্তি সালাতে আত্তাহিয়্যাতুর বৈঠকে এ বলে দুআ করছে :
أللهم إني أسألك يا الله الأحد الصمد الذي لم يلد ولم يولد ولم يكن له كفوا أحد، أن تغفر لي ذنوبي إنك أنت الغفور الرحيم. فقال صلى الله عليه وسلم : "قد غفر له، قد غفر له. )رواه أبو داود والنسائي وأحمد وابن خزيمة وصححه الحاكم(
হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করছি- আপনি তো এক; অদ্বিতীয়, যিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাকেও কেউ জন্ম দেয়নি। কেউ নেই তাঁর সমকক্ষ- আপনি আমার পাপগুলো ক্ষমা করুন। আপনি পরম ক্ষমাশীল ও দয়াময়।
এ প্রার্থনা শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন : তাকে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে! তাকে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে। (আবু দাউদ, নাসায়ী ও ইবনু খুযাইমা)
উল্লেখিত ব্যক্তি আল্লাহর সুন্দর নাম ও গুণাবলির মাধ্যমে দুআ করার কারণে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুআ কবুলের সংবাদ দিলেন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরেক ব্যক্তিকে দেখলেন সালাতে তাশাহহুদে সে এ বলে দুআ করছে :
اللهم إني أسألك بأن لك الحمد لا إله إلا أنت المنان بديع السماوات والأرض يا ذاالجلال والإكرام يا حي يا قيوم أسألك الجنة واعوذبك من النار. فقال النبي صلى الله عليه وسلم لأصحابه : تدرون بما دعا ؟ قالوا : الله ورسوله أعلم. قال : والذي نفسي بيده لقد دعا الله باسمه العظيم وفي رواية : الأعظم . الذي إذا دعي به أجاب، وإذا سئل به أعطى. )رواه أبو داود والنسائي وأحمد والبخاري في الأدب المفرد(
হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করছি -এ কথার উসীলায় যে, সকল প্রশংসা আপনার, আপনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। আপনি দানশীল, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর স্রষ্টা, হে মহিমময় ও মহানুভব! হে চিরঞ্জীব ও সর্ব সত্তার ধারক!- আপনার কাছে জান্নাত চাচ্ছি এবং মুক্তি চাচ্ছি জাহান্নাম থেকে। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ প্রার্থনা শুনে তার সাহাবীদের বললেন: তোমরা কি জানো, সে কি দিয়ে দুআ করেছে? তারা বললেন, আল্লাহ ও তার রাসূল ভাল জানেন। তিনি বললেন: সে আল্লাহর মহান নাম দিয়ে দুআ করেছে। যে ব্যক্তি এ নামের মাধ্যমে দুআ করবে তার দুআ তিনি কবুল করবেন। (অন্য এক বর্ণনায় এসেছে যে ইসমে আজম দিয়ে দুআ করেছে) ।

বর্ণনায়: আবু দাউদ, নাসায়ী, আহমদ এবং বুখারী বর্ণনা করেছেন তার ‘আল-আদাব আল-মুফরাদ কিতাবে।

ইউনূছ আ. এর প্রার্থনা -যখন তিনি মাছের পেটে ছিলেন- তুমি ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই তুমি পবিত্র, মহান! আমি তো সীমালংঘনকারী। যে কোনো মুসলিম এ কথা দিয়ে প্রার্থনা করবে তার প্রার্থনা আল্লাহ কবুল করবেন। (তিরমিজী)

Navigation

[0] Message Index

[#] Next page

[*] Previous page

Go to full version