Entertainment & Discussions > Jokes

Laugh collection

<< < (6/12) > >>

Golam Kibria:
চিরুনির শেষ কাঁটা

এক কিপটে গেছে চিরুনি কিনতে।
কিপটে: ভাই সাহেব, আমার একটা নতুন চিরুনি দরকার। পুরোনোটার একটা কাঁটা ভেঙে গেছে কিনা…।
দোকানদার: একটা কাঁটা ভেঙে গেছে বলে আবার নতুন চিরুনি কিনবেন কেন? ওতেই তো চুল আঁচড়ে নেওয়া যায়।
কিপটে: না রে, ভাই, ওটাই আমার চিরুনির শেষ কাঁটা ছিল যে!

Golam Kibria:
ডাক্তার: কী সমস্যা আপনার?
রোগী: ডাক্তার সাহেব, আমি সহজে কিছু মনে করতে পারি না। আমার স্মৃতিশক্তি লোপ পাচ্ছে।
ডাক্তার: আপনার বয়স কত?
রোগী দীর্ঘক্ষণ আঙুলের কর গুনলেন। মুঠোফোন বের করে ক্যালকুলেটরে কী যেন হিসাব কষলেন, তারপর বললেন, ‘২২ বছর’।
ডাক্তার: আপনার উচ্চতা কত?
রোগী ব্যাগ থেকে দৈর্ঘ্য মাপার ফিতা বের করলেন, নিজের উচ্চতা মেপে বললেন, ‘৫ ফুট ৫ ইঞ্চি’।
ডাক্তার: আপনার নাম কী?
রোগী চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ালেন। বিড়বিড় করে দুলে দুলে কী যেন গান গাইলেন, তারপর হেসে বললেন, ‘দুঃখিত, নামটা মনে করে নিলাম। আমার নাম শফিক’।
ডাক্তার: ভালো। কিন্তু নিজের নাম মনে করার জন্য কিছুক্ষণ আগে আপনি কী করছিলেন?
রোগী: আমার জন্মদিনে বন্ধুরা যে গানটা গেয়েছিল, সেটা মনে করার চেষ্টা করছিলাম।
ডাক্তার: কোন গান?
রোগী: হ্যাপি বার্থডে টু ইউ, হ্যাপি বার্থডে টু ইউ, হ্যাপি বার্থডে টু ডিয়ার শফিক।

Golam Kibria:
কনুই দিয়ে কলবেল বাজাবি

ঝন্টু: শোন পল্টু, আগামী রোববার আমার জন্মদিন। সন্ধ্যায় আমাদের বাসায় চলে আসিস।
পল্টু: অবশ্যই আসব। কিন্তু তোর বাসার ঠিকানা তো জানি না।
ঝন্টু: শোন, মালিবাগ মোড় থেকে ডান দিকে এসে বাম দিকের প্রথম গলিতে ঢুকে সোজা এগিয়ে ডান পাশের সরু গলিটার শেষ মাথায় আমাদের বাড়ি। বাড়ির ৩ তলায় উঠে ডান পাশের দরজায় কনুই দিয়ে কলবেল বাজাবি, ব্যস্, আমি দরজা খুলে দেব।
পল্টু: কনুই দিয়ে বেল বাজাতে হবে কেন? হাত দিয়ে বাজালে কী হয়?
ঝন্টু: ওমা! তোর হাতে উপহারের বাক্স থাকবে না! হাত দিয়ে বেল বাজাবি কী করে?!

Golam Kibria:
আজীবন মনে রাখার ব্যবস্থা

শরিফ এবং সাকিব, দুই বন্ধুতে গল্প হচ্ছে।
শরিফ: বুঝলি, সামনের মাসেই আমার স্ত্রীর জন্মদিন। আমাদের বিয়ের পর এটাই ওর প্রথম জন্মদিন। কিন্তু আমার যে ভুলোমন, না জানি ওর জন্মদিনের কথা ভুলে বসে থাকি!
সাকিব: এই প্রথমবার ভুলে যা, আজীবন মনে রাখার ব্যবস্থা হয়ে যাবে!

Golam Kibria:
আমি হারিয়ে গেছিইইই

বিকেল বেলা ফুটপাত ধরে হাঁটছিলেন ইদরিস সাহেব। এমন সময় লক্ষ করলেন, একটি ছেলে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। ছেলেটির পাশেই দাঁড় করানো আছে একটি সুদৃশ্য সাইকেল।
ইদরিস সাহেব: কী ব্যাপার খোকা, কাঁদছ কেন?
খোকা: আজ আমার জন্মদিন।
ইদরিস সাহেব: সে তো ভালো কথা! শুভ জন্মদিন!
খোকা: সকালে বাবা আমাকে এই সাইকেলটা উপহার দিয়েছেন। আমি সাইকেল নিয়ে বেড়াতে বেরিয়েছি। (কান্নার বেগ একটু বাড়ল!)
ইদরিস সাহেব: বাহ্! খুব সুন্দর তোমার সাইকেল।
খোকা: বাসায় আমার সব বন্ধু বেড়াতে আসছে। (কান্নার বেগ আরেকটু বাড়ল!)
ইদরিস সাহেব: ভালো তো, বন্ধুরা নিশ্চয়ই তোমার জন্য অনেক উপহার নিয়ে আসবে।
খোকা: মা আমার জন্য বাসায় কেক নিয়ে অপেক্ষা করছেন। (কান্নার বেগ আরও একটু বাড়ল!)
ইদরিস সাহেব: সবই তো ভালো কথা, তো তুমি কাঁদছ কেন?
খোকা: কিন্তু আমি হারিয়ে গেছিইইই…! (এবারে হাউমাউ করে কেঁদে ফেলল সে।)

Navigation

[0] Message Index

[#] Next page

[*] Previous page

Go to full version