‘ম্যাকমিলান ক্যান্সার সাপোর্ট’ এর এ জরিপে দেখা গেছে, নতুন ক্যান্সার ধরা পড়েছে এমন রোগীদের প্রতি ৪ জনের একজনের ক্ষেত্রে পরিবার পরিজনদের সহায়তার অভাব রয়েছে এবং রোগ প্রতিরোধে সে একাকী লড়ছে।
যুক্তরাজ্যে কারো কোনো সাহায্য ছাড়া নিজেদের দেখভাল করে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ। ক্যান্সার রোগীদের এ সংখ্যা তার সমপর্যায়ে বলে জানানো হয়েছে গবেষণায়।
এতে আরো দেখা গেছে, অর্ধেকেরও বেশি ডাক্তার কারো কোনো সহায়তা ছাড়া রোগীদেরকে চিকিৎসা সেবা দিতে চায় না।
যুক্তরাজ্যে প্রতিবছর প্রায় ৩ লাখ ২৫ হাজার মানুষের ক্যান্সার ধরা পড়ে।
এর মধ্যে প্রায় ১৮০০ রোগীর ওপর জরিপ চালিয়ে দেখা গেছে, পরিবার-পরিজন অনেক দূরে বসবাস করায় রোগীরা তাদের সাহায্য-সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
আবার অনেকের ক্ষেত্রে অনেক রকম দায়বদ্ধতার কারণে বা কারো কারো ক্ষেত্রে তেমন কেউ না থাকার কারণেও রোগীরা একাকী হয়ে পড়ছে।
জরিপে অংশ নেয়াদের প্রায় ১২ শতাংশই প্রশ্নের উত্তরে বলেছে, ৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে পরিবার-পরিজন কিংবা বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে তাদের কোনো য্গোযোগ নেই।
এই নিঃসঙ্গতা রোগীদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে এবং রোগী কম দিন বাঁচতে পারে বলেই অভিমত বেশির ভাগ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের।