ক্যান্সারের ঝুঁকিতে ফুকুশিমাবাসীরা২০১১ সালের ভূমিকম্প ও সুনামিতে ক্ষতিগ্রস্ত ফুকুশিমা পরমাণু কেন্দ্রের প্রভাব-পরিণতি বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ওই এলাকায় বসবাসকারী মানুষ এবং বিশেষত, পরমাণু কেন্দ্রের যে সমস্ত কর্মীরা তেজস্ক্রিয়তার শিকার হয়েছে তাদের ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।জাপানের বাদবাকী এলাকার মানুষের এ স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই।ফুকুশিমা দায়িচি প্রকল্পের মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের চলমান মূল্যায়ন কর্মসূচির আওতায় এক বিশ্লেষণী প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় ডব্লিউএইচও।
২০১১ সালের মার্চে ৯ দশমিক ০ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে সৃষ্ট ভয়াবহ সুনামিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফুকুশিমা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৪ টি পরমাণু চুল্লি।মারা যায় প্রায় ১৬ হাজার মানুষ।তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে দূষিত হয় পরিবেশ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফুকুশিমা কেন্দ্রের চারপাশের মানুষ স্বল্প মাত্রার তেজস্ক্রিয়তার শিকার হয়েছে।তেজস্ক্রিতার কারণে ১২ মাইলের মত এলাকা থেকে লোকজনদের সরিয়ে নেয়া হয়েছিল।
সর্বশেষ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ফুকুশিমার সবচেয়ে বেশি তেজস্ক্রিয় দুষিত এলাকায় যারা বাস করছেন তাদের ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি প্রবল।
আর শিশু কিংবা প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় তেজস্ক্রিয়তার শিকার নবজাতকদের ক্ষেত্রে সারা জীবনই ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি।
মেয়ে নবজাতকদের ক্ষেত্রে ক্যান্সার টিউমার হওয়ার ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় ৪ শতাংশ এবং স্তন ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৬ শতাংশ বেশি।
অন্যদিকে, ছেলে নবজাতকদের ক্ষেত্রে লিউকেমিয়া হওয়ার আশঙ্কা অন্যদের তুলনায় ৭ শতাংশ বেশি।
এছাড়া, অন্যসব ক্যান্সারের চেয়ে ভুক্তভোগীদের থাইরয়েড ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।কন্যা নবজাতকদের ক্ষেত্রে এ ঝুঁকি ৭০ শতাংশ।
Source: Internet
Abu Kalam Shamsuddin
Lecturer
MTCA
DIU