ব্লগার ভিন্ন চিন্তার (সামহোয়ারইনব্লগের) তিনটি পোস্ট দেখলাম, চাঁদ, তারা ইসলামের প্রতীক কিনা, সে সাথে রেডক্রস, রেডক্রিসেন্টের প্রতীক সংক্রান্ত বিভিন্ন ঘটনা, আবার মঙ্গল প্রদীপ, রাখি পরা, টিপ দেয়া সংক্রান্ত আলেমদের বিভিন্ন বক্তব্য নিয়ে।
http://www.somewhereinblog.net/blog/Different_thought/29064320 http://www.somewhereinblog.net/blog/Different_thought/29108633http://www.somewhereinblog.net/blog/Different_thought/29109220এ প্রতীক সংক্রান্ত সব ঐতিহাসিক আলোচনাই উনার পোস্টে উনি ব্যাখ্যা করেছেন। তবে উনি যেটা বাদ রেখেছেন সেটা হলো এ প্রতীক সংক্রান্ত ব্যাপারে ইসলামী স্কলারদের কি মত? অথবা বলা যেতে পারে আলেমদের মতের সাথে উনার দ্বিমত প্রকাশ।
এখানে উল্লেখ্য যে মুসলিম সমাজ, মুসলিম সাম্রাজ্য আর মু’মিন সমাজ ও মু’মিন সাম্রাজ্যের একটা পার্থক্য আছে। যুগে যুগে মুসলিম শাসকরা বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যেটা কখনো কখনো তাদের নিজস্ব ভৌগোলিক জাতীয়তাবাদী ব্যাপার ছিল, আবার অনেক সময়ে সেটা ইসলামী আইনের বাইরেও ছিল। যেমন অটোম্যানদের পতাকায় যে চাঁদ-তারা সেটা তখনকার বাইজেন্টাইনদের ঐতিহ্য ছিল, আমাদের পতাকায় যে লাল সূর্য সেটারও একটা ঐতিহাসিক জাতীয়তাবাদী প্রেক্ষাপট আছে, অনেক রক্তের বিনিময়ে আমাদের এ স্বাধীনতা। অতীতে বিভিন্ন গোত্রের মানুষেরা এ চাঁদ, তারা, সূর্যকে উপাসনা করে আসলেও আমাদের এ পতাকাতে কিন্তু ধর্মীয় কোন ধারণা ছিল না। তাই এই চাঁদ, তারা, সূর্য কোনটাই এখানে ইসলামের বা পৌত্তলিক ধর্মের প্রতীক না। এগুলো সবই জাতীয়তাবাদী প্রতীক।
আবার ইরানে, তুরষ্কে একসময়ে যখন শাসকেরা হিজাবের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল, ইসলামের সম্পত্তি আইন অমান্য করে নিজেদের মতো করে রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি আইন নির্ধারণ করেছিল(১৯৭৫ সালে, ইরানে) তখনও শাসক শ্রেণী মুসলিম ছিল, তার মানে কিন্তু এই না যে তারা ইসলামের ঝান্ডাধারী ছিল। এ পার্থক্যগুলো আমাদের বুঝতে হবে।
আবার যখন বাঙ্গালী মুসলিম সমাজে মঙ্গল প্রদীপ, রাখি পরা, কপালে টিপ দেয়ার মতো আচারগুলো কেউ প্রচলন করতে চায়, সেটাকে ইসলামী আচারের অংশ বলতে পারি না।
আর মেয়েদের পায়ে নূপুর পরার পেছনে যে ঐতিহাসিক করুণ প্রথার কথা শুনেছিলাম (জানি না সত্য কিনা, আগেকার বধুদের চলাফেরা সীমিত রাখার জন্য, ট্র্যাক করার জন্য পায়ে নূপুর পরিয়ে দেয়া হতো), তারপর থেকে সে নূপুর পরার আর কোনদিনই ইচ্ছা হয়নি। ইচ্ছা করেনি যেমন ঝুনঝুন শব্দের এক গাছা রেশমী চুড়ি পরতে। ইচ্ছে করেনি যেমন নখে নেলপালিশ দিতে, বারবার অযু করার সময় রিমোভার দিয়ে মুছতে হয় (ইসলামে নকল প্রলেপ, কলপ ইত্যাদিকেও নিরুৎসাহিত করা হয়)। কড়া পারফিউম, উৎকট সাজ বাদ……………
ইসলামের প্রতীকের ব্যাপারে ফতোয়াঃ
১।
http://www.islamonline.net/servlet/Satellite?pagename=IslamOnline-English-Ask_Scholar/FatwaE/FatwaE&cid=1119503544398২।
http://www.islam-qa.com/en/ref/1528