IT Help Desk > Create your Own Website

Do you want to develop WEBSITE ?

(1/1)

Badshah Mamun:
ওয়েবসাইট বানাতে চান?

দিন যত যাচ্ছে বাড়ছে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে নানা ধরনের কাজের চাহিদা। এর মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় একটি কাজ হচ্ছে ওয়েবসাইট ডিজাইন। বিশেষ করে আউটসোর্সিংয়ের কাজে ওয়েবসাইট ডিজাইনের বেশ চাহিদা রয়েছে। নিজের মধ্যে সৃজনশীলতা আছে এমন যে কেউ এ কাজে আসতে পারেন। মূলত ওয়েবসাইট খুললেই যে বাহ্যিক সৌন্দর্য দেখা যায়, সেটিই হচ্ছে ডিজাইন।

গ্রাফিক ডিজাইন শেখা থাকলে খুব সহজেই ওয়েবসাইটের ডিজাইন করা সম্ভব। অ্যাডোবি ফটোশপ শিখেও এ কাজ করা যাবে। তবে ভালোভাবে শিখতে চাইলে আরও কিছু সফটওয়্যারে দক্ষতা লাগবে।

ওয়েবসাইট ডিজাইনার নুসরাত জাহান জানালেন, ‘বেশ কিছু সফটওয়্যারে দক্ষতা অর্জন করতে পারলে ওয়েবসাইট ডিজাইনের কাজটি অনেক সহজ। যেমন ফটোশপের মাধ্যমে শুরুতেই ওয়েবসাইটের একটা চেহারা দাঁড় করানো যায়। পরে সেটি নিয়ে গ্রাহকের চাহিদা কিংবা নিজের পছন্দ অনুযায়ী অনেক কিছু যোগ করা সম্ভব।’ এ ছাড়া ওয়েবসাইট অলংকরণের কাজগুলোর জন্য রয়েছে ইলাস্ট্রেটর সফটওয়্যার। এর বাইরে ওয়েবসাইটকে সত্যিকার অর্থে অর্থবহ করে তুলতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হাইপার টেক্সট মার্ক-আপ ল্যাংগুয়েজ (এইচটিএমএল)। এইচটিএমএল জানা থাকলে ওয়েব ডিজাইন করা যায় সুনির্দিষ্ট নিয়ম মেনে। আরেকটি জরুরি জিনিস হলো ক্যাসকেড স্টাইল শিট (সিএসএস)। সিএসএস হলো ডিজাইন আকর্ষণীয় করে তোলার অন্যতম হাতিয়ার।

ওয়েবসাইটে গ্রাফিকসের প্রচুর কাজ করা হয়। এ ছাড়া অ্যানিমেশন যোগ করতে প্রয়োজন ফ্ল্যাশের। সুন্দর ও আকর্ষণীয় অ্যানিমেশনের মাধ্যমে ওয়েবসাইটকে জীবন্ত করে তোলা যায়।পূর্ণাঙ্গ ওয়েবসাইট তৈরি করতে প্রোগ্রামিং ভাষা জানা দরকার।এ জন্য জাভা স্ক্রিপ্ট, পিএইচপি, মাইএসকিউএল শেখা যেতে পারে। জাভাস্ক্রিপ্টকে স্ক্রিপ্টিং ল্যাংগুয়েজও বলা হয়। জাভাস্ক্রিপ্ট শুধু ওয়েবসাইট দেখার সফটওয়্যারে (ব্রাউজার) চলতে পারে। জাভাস্ক্রিপ্টের সাহায্যে একটি ওয়েবসাইট ডাইনামিক হতে শুরু করে। জাভাস্ক্রিপ্ট ক্লায়েন্ট এবং সার্ভার উভয় দিকেই কাজ করতে পারে ও ব্যবহারকারীর কাছ থেকে ডেটা নিয়ে তা প্রক্রিয়া করে সার্ভারে পাঠাতে পারে।আরও আছে পিএইচপি। এটিও একটি প্রোগ্রামিং ভাষা। পিএইচপি একটা সার্ভার সাইড ও ক্রস প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিপ্টিং ল্যাংগুয়েজ। এর উদ্দেশ্য হলো ওয়েব পেজকে দ্রুত তৈরি করা। পিএইচপি ব্যবহার করে কাস্টম কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিএমএস) তৈরি করা যায়। এ ছাড়া ই-কমার্স, অনলাইন ব্যাংকিং সফটওয়্যার ইত্যাদি তৈরিতেও পিএইচপি ব্যাপকভাবে ব্যবহূত হচ্ছে। আরেকটি হচ্ছে মাইএসকিউএল। মাইএসকিউএল হচ্ছে একটা ডেটাবেইস সিস্টেম, যা বিনা মূল্যে পাওয়া যায়।

এগুলোর ওপর একজন ওয়েব ডিজাইনারকে পুরোপুরি দক্ষ করে তোলা সক্ষম। ইন্টারনেটে এসব বিষয়ে রয়েছে বিস্তর ভিডিও এবং লিখিত টিউটোরিয়াল। সেগুলো দেখে ধারণা নেওয়ার পাশাপাশি চর্চা চালিয়ে যেতে পারলে সহজেই কাজটি শেখা সম্ভব। এছাড়াও বাংলা ও ইংরেজিতে ওয়েবসাইট ডিজাইন বিষয় অনেক বই দেশেই পাওয়া যায়। চাইলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এ বিষয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রিও নিতে পারেন। তবে নিজে নিজে শিখতে পারলে ভালো কিছু করা সম্ভব।

ওয়েবসাইট ডিজাইনার হতে চাইলে শিখতে হবে সফটওয়্যারের কাজ।
কৃতজ্ঞতা: জানালা বাংলাদেশ লিমিটেড.

Source: http://www.prothom-alo.com/detail/date/2013-05-08/news/350465

Navigation

[0] Message Index

Go to full version