সম্প্রতি বাংলাদেশে ভিওআইপি বন্ধের অজুহাতে ইন্টারনেটে আপলোড গতি সাময়িক ভাবে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখোমুখি হয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। পরে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা শান্ত হয়।
তবে এই ধারা একেবারেই বন্ধ হয়ে যাবে না। ভিওআইপি প্রতিরোধে বছরে অন্তত ২ বার ইন্টারনেটে আপলোড গতি সাময়িক ভাবে কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
গতকাল সোমবার বিকালে বিটিআরসি সম্মেলন কক্ষে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশেন নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে জানানো হয়েছে, ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ আপলোড গতি কমানোর নির্দেশনা আবার আসতে পারে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে তা স্বল্প সময়ের জন্য হবে।
বৈঠকে আরও জানানো হয়েছে, অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা পর্যবেক্ষণে এই ধরনের নির্দেশনা বছরে দুই বারের বেশি আসবে না। সোমবার বিটিআরসির পক্ষ থেকে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশেন নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এই নিশ্চয়তা দেয়া হয়।
আপলোড গতির সাম্প্রতিক সমস্যা নিয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস বৈঠকে বলেন, এ ধরনের নির্দেশনা হয় স্বল্প সময়ের জন্য, সাম্প্রতিক যে ঘটনা হয়েছে তা ছিল ভুল বোঝাবুঝি।
প্রায় দেড় ঘণ্টার বৈঠকে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার বিটিআরসি ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়েগুলোকে (আইআইজি) ইন্টারনেট আপলোড গতি সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ করার নির্দেশনা দেয় বিটিআরসি।
এর ফলে প্রতিষ্ঠানগুলো আপলোড গতি ৭৫ শতাংশ কমিয়ে আনে। এরপর রোববার ওই নির্দেশনা প্রত্যাহার করে বিটিআরসি জানায়, গতি কমানোর নির্দেশনা ছিলো দুই ঘণ্টার জন্য, সংশ্লিস্ট কর্মকর্তা নির্দেশনা প্রত্যাহারের নোটিস টি ই-মেইল করে পাঠালেও প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে তা আইআইজিগুলো পায়নি।
ফলে তা পুনরায় কার্যকর করতে ২ দিন সময় লেগে যায়।