Faculties and Departments > Genetic & Biotechnology

জ্বর কেন হয়?

(1/2) > >>

Narayan:
বেশ তো আছেন! খেলাধুলা, লাফ-ঝাঁপ সব চলছে!

কিন্তু, হঠাৎ একদিন দেখা গেল, গা গরম, মাথাটাও একটু ব্যাথা ব্যাথা করছে। সবাই বলল, আপনার জ্বর হয়েছে! অর্থাৎ, আপনার দেহের তাপমাত্রা যেখানে থাকা উচিত ৯৭ থেকে ৯৮.৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট, তার থেকে বেড়ে গেছে। থার্মোমিটার ও একই কথা জানালো।

বুঝলাম, আপনার দেহের তাপমাত্রা বেড়ে গেছে, আপনার জ্বর হয়েছে। এখন প্রশ্ন হল, এই জ্বর কেন হয়???
জ্বর মানে হল, দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেরে যাওয়া। আর দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি মানে হল, দেহে পাইরোজেন(Pyrogens) উৎপন্ন হয়েছে।

আবার প্রশ্ন, পাইরোজেন কি?

পাইরোজেনকে বলা হয় Thermostavle Bacterial Toxin, মানে তাপজীবাণুঘটিত বিষ। এই বিষ শরীরের যেসব কলকব্জাগুলো তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখে তাদের বিকল করে দেয়, আর অমনি আমাদের পাইরেকশিয়া দেখা দেয়। রোগ নিরুপিত হবার আগ পর্যন্ত জ্বরকে ডাক্তারী ভাষায় বলা হয় Pyrexia বা পাইরেকশিয়া।

পাইরোজেনের প্রধান কাজ হল বাইরে থেকে বড় যে আক্রমণ অন্য জীবাণুরা করেছে, তাদের প্রতিরোধ করার চেষ্টা করা। পাইরোজেন যখন এই চেষ্টা করে তখন শরীরের হরমোন, এনজাইম ও রক্তকণিকাদের (মূলত শ্বেত কণিকা বা থ্রম্বোসাইটদের) খুব দ্রুত সংখ্যাবৃদ্ধি ঘটে যাতে করে বাইরের শত্রুদের ঠেকানো সম্ভব হয়।
শত্রুরা আমাদের দেহে আক্রমণ করলে আমাদের দেহ থেকে প্রচুর পাইরোজেন নিসৃত হতে থাকে। পাইরোজেন আমাদের দেহের সব জায়গা থেকে খুঁজে খুঁজে জীবাণুদের মারতে শুরু করে। এখন দেহের সব জায়গায় যদি পাইরোজেন গিয়ে গিয়ে জীবাণুদের মেরে ফেলতে চায়, সে কিভাবে সব জায়গায় যাবে?? যাবার পথ একটাই হতে পারে, রক্ত। পাইরোজেন রক্তের মাধ্যমে সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। এই রক্তের মাধ্যমে কিছু কিছু পাইরোজেন আবার পৌছে যায়, আমাদের মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস অঞ্চলে। হাইপোথ্যালামাস পাইরোজেনের সংস্পর্শে এলেই মস্তিষ্কের ভেতরের দিকের আর একটা অঞ্চল, ভেসোমোটরে সংকেত পাঠায় যে, দেহে শত্রুরা আক্রমণ করেছে। ভেসোমোটর করে কি, দেহের সব রোমকূপ দেয় বন্ধ করে, যেন আর বাড়তি কোন জীবানূ ঢুকতে না পারে। সেইসাথে আমাদের রক্তনালীগুলোকেও সংকুচিত করে দেয়, যেন পাইরোজেন সহজেই জীবাণুদের ধরে ধরে মারতে পারে। রক্তনালী সংকুচিত হলে রক্ত প্রবাহের গতি যায় বেড়ে, তাপ উৎপন্ন হয়। সাথে আমাদের দেহে ক্রমাগত কিছু তাপ তো উৎপন্ন হচ্ছেই।

রোমকূপ বন্ধ থাকার ফলে আমাদের দেহের ভেতরে যে তাপ উৎপন্ন হচ্ছে, তা আর বের হতে পারে না। আমাদের দেহের তাপমাত্রা যায় বেড়ে।

এটা খুব গুরুত্বপুর্ণ যে, শুধু জ্বর বলে কিছু হয় না। এটা যে কোন রোগের বাইরের চেহারা। স্বর্দি-কাশি হলে জ্বর হতে পারে, ম্যালেরিয়া হলেও হতে পারে। আবার পড়ে গিয়ে হাত-পা কেটে গেলেও হতে জ্বর হতে পারে। টাইফয়েড, টি.বি সবার সাথেই জ্বর আছে!

জ্বর হলে শরীরের জলের ভাগ কমে যায়, তাই খলি তেষ্টা পায়। রক্তনালীগুলো সংকুচিত হয় বলেই এমনটা ঘটে। শরীরে যে প্রোটিন মজুত থাকে তাতেও ঘাটতি দেখা দেয়।

এইজন্যে, জ্বর হলে সেটাকে অগ্রাহ্য না করে ডাক্তার দেখানোটাই বুদ্ধিমানের কাজ। জ্বরটা যে কেন হল, সেটা দেখে ডাক্তার বাবুই বলেবেন কি করতে হবে। জ্বর সবসময় যে সহজ ব্যাপার, তা কিন্তু নয়!

Original Source: http://goo.gl/lM1Tt

R B Habib:
I am feverish. Thanks. Now I should consult doctor every time. Thanks.

Khandoker Samaher Salem:
Thank you for your post.

nawshin farzana:
good information

naser.te:
Thank you very much for the information.

Navigation

[0] Message Index

[#] Next page

Go to full version