বর্ষাকাল কমবেশি সবারই প্রিয় হলেও ক্রমাগত বৃষ্টিতে ভেজা রাস্তা আর হাঁটুজল নিয়ে বেশ বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। অনবরত বৃষ্টির ফলে স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে যায় আপনার ব্যবহৃত পথঘাট। আর স্যাঁতস্যাঁতে পিচ্ছিল সেই পথে চলতে গিয়ে মচকে যেতে পারে আপনার গোড়ালি। আবার ভুল স্টেপিং, জুতোর মাপ প্রভৃতির জন্যও মচকে যেতে পারে আপনার গোড়ালি।
মচকানোর পর পা অনেকসময় ভাল হয়ে যায়। তবে মচকানো পা অনেকসময় গুরুতর আকারও ধারণ করতে পারে।
গোড়ালি মচকে গেলে
* গোড়ালিকে পূর্ণ বিশ্রামে রাখতে হবে।
* ২-৩ দিন পায়ে ভর না দিয়ে ক্র্যাচে ভর দিয়ে হাঁটতে হবে।
* বরফের টুকরা টাওয়ালে বা ফ্রিজের ঠাণ্ডা পানি প্লাস্টিকের ব্যাগে নিয়ে লাগালে ব্যথা ও ফুলা কমে আসবে। প্রতি ঘণ্টায় ১০ মিনিট বা দু’ঘণ্টা পর পর ২০ মিনিট অনবরত বরফ লাগাতে হবে। তবে এটা সহ্যসীমার মধ্যে রাখতে হবে। এ পদ্ধতি আঘাতের ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত চলবে।
* এলাসটিক সাপোর্ট বা অ্যাংলেট ব্যবহারে ফুলা ও ব্যথা কম হবে।
* ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করতে হবে।
* আঘাতের ৪৮ ঘণ্টা পর কুসুম গরম পানির সেঁক দিলে ব্যথা কিছুটা কম অনুভুত হবে।
* গোড়ালির স্বাভাবিক নাড়াচাড়া ও পেশি শক্তিশালী হওয়ার ব্যায়াম করতে হবে।
* অনেক সময় দীর্ঘমেয়াদি ইনজুরির ক্ষেত্রে ফিজিকেল থেরাপি, এসডব্লিউডি, ইউএসটি প্রয়োজন হতে পারে।
তবে সবসময় যে আপনার গোড়ালির ব্যথা তাড়াতাড়ি সেরে যাবে এমনটা ভেবে নিলে ভুল করবেন। অবস্থার প্রেক্ষিতে আপনাকে চিকিৎসকের কাছেও যেতে হতে পারে।
চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন কখন
* গোড়ালির ব্যথা কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে বা গোড়ালি নাড়াতে না পারলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
* খুঁড়িয়ে চার কদমের বেশি হাঁটা না গেলে, গোড়ালিতে চাপ দিলে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হলে।
* পা ও আঙুলে অবচেতন ভাব লাগলে।
* গোড়ালির পেছনে ব্যথা হলে এবং ফুলে গেলে। পায়ের আঙুল নিচু করতে অসুবিধা হলে।
* পায়ের পেশিতে ব্যথা হলে বা ফুলে গেলে বা চামড়া লাল হয়ে দ্রুত বিস্তৃত হলে।