মেরাজের শিক্ষা
শরিয়তে যতগুলো হুকুম হযরত মহম্মদ (সা.) এর উম্মতের ওপর নাজিল হয়েছে তার সবই পবিত্র কোরআনের আয়াতের মাধ্যমে নাজিল হয়েছে। একমাত্র শরিয়তে নামাজ যা মেরাজের রজনীতে মহান আল্লাহপাক আমাদের প্রিয় নবী, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব, নবীদের নবী, আখেরি নবী, সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হজরত মুহাম্মদ মোস্তফা সালাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আরশে আজমে ডেকে নিয়ে উপহার হিসেবে দিয়েছেন অর্থাৎ উম্মতে মুহাম্মদের জন্য সালাহ্ বা নামাজ এক মহামূল্যবান উপহার তাঁর সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে।
এজন্য হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে- ‘আস্সালা-তু মী’রাজুল মু’মিনীন’ অর্থাৎ নামাজ হচ্ছে মুমিনীনের মেরাজ। এখানে উল্লেখ্য, মেরাজের রজনীতে মহান আল্লাহপাক ও নবীজী সালাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সামনা সামনি বসে যে তাশাহুদ পাঠ করেছিলেন সেই তাশাহুদ (আত্ত্বাহিয়াতু) আমরা আজো নামাজের মাধ্যমে পাঠ করি। এক কথায় মেরাজে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল সালাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মধ্যে যা যা ঘটেছিল আজও একজন মুমিনের সঙ্গে মহান আল্লাহপাকের নামাজের মাধ্যমে তাই ঘটে।
তিরমিজী শরীফের হাদীসে রয়েছে, একজন মুসলমান ও একজন কাফেরের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে নামাজ’। আমাদের মাজহাবের ইমামরা উক্ত হাদীসের ব্যাখ্যা দিয়েছেন এভাবে- যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ ত্যাগ করলো সে কুফরি করলো’। কুফরি আর শিরকের মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নেই। ক্রমাগত কুফরের মধ্যে লিপ্ত থেকে কেউ মুসলমান থাকার যোগ্যতা রাখে না। কুফুরকারী তওবা করে কালেমা পড়ে পুনরায় ইসলামের মধ্যে দাখিল না হলে সে মুসলমান থাকবে না।
সুতরাং বলা যায়, নামাজই একজন মুসলমানের পরিচয় যা মেরাজের সর্বত্তোম শিক্ষা। আমরা আমাদের প্রিয় নবী সালাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর লাখো কোটি দরুদ ও সালাম পাঠ করছি এবং মহান আল্লাহপাকের শুকরিয়া আদায় করছি যিনি বিশ্বনবী সালাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওসিলায় আমাদের নামাজের মতো এতো মহামূল্যবান এক দৌলত উপহার দিয়েছেন। আমিন।