Health Tips > Food and Nutrition Science

সাবধান! হোটেলের খাবারে কলিফর্ম জীবাণু!

(1/1)

najim:



সাবধান! হোটেলের খাবারে কলিফর্ম জীবাণু!

06 June,13

হোটেল-রেস্তোরাঁর খাবার থেকে সাবধান! খাবার হোটেলে মরণঘাতী কলিফর্ম জীবাণু পাওয়া গেছে। পরিবেশ অধিদফতর নগরীর হোটেল-রেস্তোরাঁয় এই জীবাণুর অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছে। তাই হোটেল- রেস্তোরাঁয় খাওয়ার ব্যাপারে সাবধান হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ অধিদফতর।
 
নগরীর বিভিন্ন এলাকার খাবার হোটেলে বিশুদ্ধ খাবার ও পানি ক্রেতাদের দেওয়া হয় কি না- এ নিয়ে সম্প্রতি জরিপ চালায় পরিবেশ অধিদপ্তর। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা হোটেল- রেস্তোরাঁ থেকে খাবার ও পানির নমুনা সংগ্রহ করেন। তার পর সংগৃহীত পানি গবেষণাগারে পরীক্ষা করে বেশ কিছু হোটেলে মরণঘাতী কলিফর্ম জীবাণুর সন্ধান পান তারা।
 
কলিফর্ম জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়ায় পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক(মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট) মো. আলমগীর গত ৩০ মে মোহাম্মদপুরের টাঙ্গাইল হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টকে ১০ হাজার টাকা, সিটি পার্ক চাইনিজ অ্যান্ড থাই রেস্টুরেন্টকে ২০ হাজার টাকা এবং আক্তার হোটেলকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
 
কলিফর্ম জীবাণুর ভয়াবহতা সম্পর্কে রোগতত্ত্ব, রোগ নির্ণয় ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের পরিচালক মাহমুদুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, খাবার এবং পানির মাধ্যমে এ জীবাণু পেটে প্রবেশ করলে ডায়রিয়া, কলেরা, আমাশয়, টাইফয়েড, প্যারাটাইফয়েড, জন্ডিস ও ইউরিন ইনফেকশন হতে পারে। পানিতে কলিফর্ম জীবাণুর বিস্তার বেশি হলে সে পানি দিয়ে কুলি করলে মুখে ইনফেকশন হতে পারে।
 
তিনি জানান, পানির মূল উৎস থেকে সাধারণত এ জীবাণুর বিস্তার ঘটে না। পানির পাইপ এবং হোটেলের রিজার্ভার থেকে এটি ছড়ায়।
 
পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক মো. আলমগীর জানান, হোটেলগুলোতে যে উৎস থকে পানি সরবরাহ করা হয়, সেখানকার পানি পরীক্ষা করে কলিফর্ম জীবাণু পাওয়া যায়নি। পানির ট্যাংকি থেকে এটি ছড়াতে পারে। তিনি আরও জানান, পানির ট্যাংকি মাসে একবার পরিস্কার করার নিয়ম থাকলেও হোটেলগুলোর পানির ট্যাংকি বছরেও একবার পরিস্কার করা হয় না।
 
পরিবেশ অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানান, নগরীর রেস্তোরাঁগুলোয় নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করা হয় বলে অভিযোগ আসে তাদের কাছে। এ সূত্র ধরেই নির্ধারিত কিছু হোটেলের খাবার ও পানি সংগ্রহ করে নিজস্ব গবেষণাগারে পরীক্ষা হয় বলে জানান তারা। পরীক্ষায় অনেকগুলো খাবার হোটেলে কলিমর্ফ জীবাণু পাওয়া যায়। এরপর পরিবেশ অধিদফতর ওই হোটেলগুলোয় অভিযান চালায়।
 
অভিযানকালে হোটেলগুলোর মালিকরা পরিবেশ অধিদফতরের কর্মকর্তাদের জানান, তারা ওয়াসার সরবরাহ করা পানি রিজার্ভারে জমিয়ে রাখেন। সে পানিই তারা রান্নাবান্না এবং খাবার পানি হিসেবে ক্রেতাদের পরিবেশন করেন। তাই ওয়াসার পানিতে জীবাণু থাকলে তাদের দোষ কি!
 
ওই এলাকায় ওয়াসার লালমাটিয়া জোন থেকে পানি সরবরাহ করা হয়। তাই পরে লালমাটিয়ার পানির পাম্প থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাও করেন পরিবেশ অধিদফতরের কর্মকর্তারা। কিন্তু, ওয়াসার পানিতে কোনো কলিফর্ম জীবাণুর অস্তিত্ব পাননি তারা।
 
পরিবেশ অধিদফতর জানায়, বৃষ্টির মৌসুম এবং বন্যার সময় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলে এই ব্যাকটেরিয়া বিস্তার লাভ করে। ওয়াসার পাইপে লিকেজ থাকলে স্যুয়ারেজের লাইন থেকে পায়খানা এবং মলমূত্র প্রবেশ করে পানির পাইপে। পানির পাইপ পনিশূন্য হলে স্যুয়ারেজের লাইন থেকে প্রবেশ করে ময়লা পানি।
 
বেশির ভাগ হোটেলের কর্মচারীরা খাবার পরিবেশনের সময় গ্লাবস ব্যবহার করে না। হাত দিয়ে খাবার ও গ্লাস ধরায় হাতের সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে কলিফর্ম জীবাণু।
 
রেস্তোরাঁ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন জানায়, নগরীতে ৪ হাজারের বেশি হোটেল-রেস্তোরাঁ রয়েছে। তবে সংগঠনটির সদস্য মাত্র পাচশ’। তাই বেশিরভাগ হোটেলের ওপরই কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই বলে জানান সংগঠনটির নেতারা।
 
রেস্তোরাঁ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি খন্দকার রুহল আমিন বাংলানিজকে জানান, বাংলাদেশে খাবার হোটেলের কোনো নীতিমালা নেই। এ সেক্টরকে শিল্প হিসেবেও স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। এটি দেওয়া হলে এ সমস্যাগুলো থাকতো না বলে মনে করেন তিনি।
 
খন্দকার রুহল আমিন আরও জানান, আগে হোটেলগুলোতে কোনো ওয়াসরুম ছিলো না। কিচেন রুমগুলো ছিলো খুবই নোংরা। এখন যে হোটেলগুলো চালু হচ্ছে, তাতে ওয়াস রুম তৈরি করা হচ্ছে। কিচেন রুমে টাইলস বসানো হচ্ছে। স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ তৈরি হতে আরও সময় লাগবে বলেও মন্তব্য করেনন তিনি।
 
 
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম থেকে সংগৃহীত। সৌজন্যেঃ হেলথ প্রায়র ২১


R B Habib:
Thanks for your concern and raising awareness. Thanks

Navigation

[0] Message Index

Go to full version