Health Tips > Food Habit

উচ্চ কলেস্টেরলের ১০ কারণ

(1/1)

mukul Hossain:
আমাদের সুস্থতার জন্য কলেস্টেরলের মাত্রা একটি কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে রাখা অপরিহার্য।কেননা শরীরের কলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে হৃদরোগ, উচ্চরক্তচাপসহ বিভিন্ন সমস্যার কারণ হয়ে দাড়ায়।

আজকাল প্রাপ্তবয়স্কদের অনেকেই আমরা উচ্চ কোলেস্টরল সমস্যায় ভুগছি। বিভিন্ন কারণে উচ্চ কলেস্টেরল সমস্যা হতে পারে। তবে সবচেয়ে বেশি দায়ী ১০ কারণ হচ্ছে:

অস্বাস্থ্যকর খাদ্য
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অসতর্কভাবে অতিরিক্ত কলেস্টেরল এবং চর্বিযুক্ত খাবার খাচ্ছি। লাল মাংস, মাখন, পনির, ঘি ইত্যাদি খাবার যত কম খাওয়া যায় ততোই ভালো।

বংশগত কারণ
যাদের উচ্চ কলেস্টেরলের পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে, তাদের অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে হবে। কারণ এদের উচ্চ কলেস্টেরলের মাত্রার ঝুঁকি অন্যদের চেয়ে বেশি থাকে।

অতিরিক্ত ওজন
স্থূলতা বা মাত্রাতিরিক্ত ওজন উচ্চ কলেস্টেরলের অন্যতম কারণ।এছাড়া, স্থুলতার ফলে  আমাদের ব্যক্তিগত এবং সামাজিক জীবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।তাই, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন আর উচ্চ কলেস্টেরলের ঝুঁকি তাড়ান।

অলসতা
পুরোদিনে শারীরিক শ্রম বলতে কিছুই করা হয় না। শুয়ে বসে কেটে যায় জীবনের বেশিরভাগ দিন। এভাবে চললে শরীরের ওজন বাড়ে আর উচ্চ কলেস্টেরলের ঝুঁকিও থাকে অনেক বেশি।

ধূমপান
ধুমপান কলেস্টেরল স্তর বাড়াতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। এটা কলেস্টেলের মাত্রা বাড়ায় তবে জীবনের আয়ুর মাত্রা কমায়। অতএব, ধূমপান ত্যাগ করুন।আপনার কলেস্টেরলের মাত্রা বজায় রেখে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হোন।

বয়স
২০ বছরের পর থেকে অামাদের শরীরের কলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিকভাবেই বাড়তে শুরু করে। সাধারণত ৬০ বছর পর্যন্ত নারী পুরুষ উভয়েরই কলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে। তবে মেনোপজের আগে নারীদের কলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়। কিন্তু মেনোপজের পরে, পুরুষদের তুলনায় নারীদের কলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। তাই এসময়ে নারীদের শারীরিক এবং মানসিক পরিবর্তনের ফলে আচরনেরও পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।

ওষুধ
কিছু কিছু ওষুধ সেবনে কলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। এজন্য কোনো ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

মদ্যপান
নিয়মিত মদ্যপান যকৃত এবং হৃদযন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর। এতে শরীরে উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেয় এবং কলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়।

মানসিক চাপ
দীর্ঘদিন ধূমপান, মদ্যপান বা চর্বিযুক্ত খাবার খেয়ে কলেস্টেরলের মাত্রা বেড়েছে এটা নিয়ে অতিরিক্ত মানসিক চাপ কলেস্টেরলের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়।

রোগ
ডায়াবেটিস এবং থাইরয়েডের মত কয়েকটি রোগ শরীরে কলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে।

জেনে নিলাম আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর কলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণগুলো। এখন থেকে আসুন সঠিক রোগ নির্ণয়ের মাধ্যমে কলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে সুস্থ থাকি।



ডাঃ শারমীনা ইসলাম

nadimhaider:
hard to avoid, thank u

Navigation

[0] Message Index

Go to full version