যেদিকে তাকাবেন সেদিকেই হীরা। মানে আপনার চারিদিকে হীরা আর হীরা। মূল্যবান এ রত্ন সেখানে দুর্লভ নয়। হাত বাড়ালেই মিলবে ছোট-বড়-মাঝারি নানা আকৃতির হীরা। যতো দূর দৃষ্টি, ততো দূরেই এই হীরার পসরা। নাহ! এটা কোনো ফ্যান্টাসি সিনেমার দৃশ্য নয়। কোনো রূপকথার রাজ্যের বর্ণনাও নয়। বাস্তবেই এই রাজ্যের অস্তিত্ব রয়েছে।
সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এমনই এক গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন। গ্রহটি হীরায় পরিপূর্ণ। এক কথায় একে হীরার গ্রহও বলা যেতে পারে। আপাতত সে নামেই পরিচিতি পাচ্ছে এই রত্ন গ্রহটি। তবে এই হীরার রাজ্যে পৌঁছাতে ৪০ আলোকবর্ষ পাড়ি দিতে হবে মানুষকে।
ইয়েল ইউনিভার্সিটির মার্কিন ও ফরাসি জোতির্বিদরা এক যৌথ অনুসন্ধানের মাধ্যমে এ গ্রহটি আবিষ্কার করেছেন। ‘৫৫ কেনক্রি-ই’ নামের এ গ্রহটির আয়তন পৃথিবীর প্রায় দ্বিগুণ। ‘কনস্টেলেশন অব ক্যান্সার’ নামে পরিচিত নক্ষত্রপুঞ্জে সূর্যের মতো একটি নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হচ্ছে এই গ্রহটি।
বিজ্ঞানীরা জানান, এই গ্রহটির ভূ-পৃষ্ঠ পানি ও গ্রানাইটের বদলে রয়েছে হীরা ও গ্রাফাইট। নক্ষত্রপুঞ্জে আরো ৫টি গ্রহ তার কেন্দ্রকে লক্ষ্য করে ঘুরছে। পৃথিবী থেকে ৮ গুণ বেশি ঘনত্ব সম্পন্ন এই হীরার গ্রহ। এটি এতো দ্রুতই আবর্তিত হচ্ছে যে তার কক্ষপথে বছর পূর্ণ হতে সময় লাগে মাত্র ১৮ ঘণ্টা।
সূত্র : জিনিউজ।