কোমর ব্যথায় অপারেশনবিহীন চিকিত্সা

Author Topic: কোমর ব্যথায় অপারেশনবিহীন চিকিত্সা  (Read 1338 times)

Offline Asif.Hossain

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 233
    • View Profile
কোমর ব্যথার একটি বড় কারণ ডিস্ক প্রলাস্প আর এতে অপারেশনের বিকল্প হচ্ছে ম্যানুয়াল ও ম্যানুপুলেশন থেরাপি। ডিস্ক হচ্ছে মেরুদণ্ডের দুটি কশেরুকার মধ্যবর্তী একটি বিশেষ পদার্থ, যা একটি মেরুদণ্ডের হাড়কে অপর একটি হাড় থেকে বিভক্ত রাখে, যাতে একটির সঙ্গে আরেকটির ঘর্ষণ না লাগে এবং স্প্রিংয়ের মতো কাজ করে। ডিস্কের ভেতরে থাকে নিউক্লিয়াস পালপোসাস যা জেলির মতো নরম এবং বাইরের অংশে থাকে অ্যানুলাস ফাইব্রোসাস। জেলির মতো অংশটি যখন বের হয়ে পার্শ্ববর্তী নার্ভ বা স্নায়ুতে চাপ দেয় তখনই ব্যথা পায়ের নিচ পর্যন্ত চলে যায়, একেই ডিস্ক প্রলাস্প বলে।

কীভাবে বুঝবেন ডিস্ক প্রলাস্প হয়েছে?
 ভারী জিনিস উত্তোলন করতে বা হাঁচি অথবা কাশি দিতে গিয়ে কোমরে একটা শব্দ হয়েছে বা টান লাগছে।
 একাধারে অনেক সময় বসে কাজ করলে কোমর ব্যথা করে এবং বসা থেকে ওঠার সময় কষ্ট হয়।
 কোমরে অসহ্য ব্যথা হয়, পায়ে ছড়িয়ে যায় এবং অনেক সময় শুধু ব্যথা পায়েই অনুভূত হয়, কোমরে ব্যথা নাও হতে পারে।
 হাঁটলে বা কাজ করলে ব্যথা বেশ বেড়ে যায়, রাতে ঘুমেরও ব্যাঘাত হতে পারে।
 অনেক সময় রোগী পায়ে ঝিনঝিন, অবশ ভাব ও দুর্বলতা অনুভব করে।
 কিছু কিছু রোগীর কোমর একদিকে বেঁকে যায় এবং চিত হয়ে শুয়ে পা উঁচু করলে ব্যথা অনুভূত হয়।

ডিস্ক প্রলাস্প হলে কী করবেন?

সম্পূর্ণ বিশ্রামে যেতে হবে এবং স্বাভাবিক ফার্ম বিছানা ব্যবহার করবেন।
বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক এবং বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্টের সঙ্গে অতিসত্বর যোগাযোগ করতে হবে।
ভারী জিনিস উত্তোলন এবং সাধারণ শারীরিক ব্যায়াম অবশ্যই বন্ধ থাকবে।
এ অবস্থায় অবশ্যই নরম খাবার খেতে হবে, যাতে কোষ্ঠকাঠিন্য না হয়।

ডিস্ক প্রলাস্পে ম্যানুপুলেশন থেরাপি

গবেষণা করে দেখা গেছে, বেশিরভাগ ডিস্ক প্রলাস্পের রোগী ফিজিওথেরাপি নিয়ে ভালো আছে। তবে বুঝতে হবে কী ধরনের ফিজিওথেরাপি দরকার। কোমর ব্যথা/ডিস্কের সমস্যা—এগুলোর সঠিক চিকিত্সা হচ্ছে ম্যানুয়াল ও ম্যানুপুলেশন থেরাপি। ম্যানুয়াল ও ম্যানুপুলেশন থেরাপি দিয়ে রোগী তার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে। সারা বিশ্বে অপারেশনের বিকল্প হিসেবে এই ম্যানুয়াল ও ম্যানুপুলেশন থেরাপি ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

যেভাবে থেরাপি কাজ করে
ম্যানুয়াল থেরাপি : প্রথমেই দরকার অবস্থানগত পরিবর্তন বা স্থান শনাক্ত করা, যে অবস্থানে রোগীর ব্যথা কম থাকে বা পায়ের ব্যথা কমে কোমরে আসে। একেই বলে সেন্ট্রালাইজেশন বা ব্যথা কেন্দ্রীভূতকরণ। আর রোগীকে অ্যাসেসমেন্টের মাধ্যমে পর্যালোচনা করে শুধু একটি মুভমেন্ট নির্বাচন করতে হবে, যে মুভমেন্টটি রোগীর সমস্যাটিকে, অর্থাত্ ডিস্কের অবস্থানটাকে সঠিক করে, ফলে ব্যথা কমে যায়। এভাবেই যদি রোগী ১০-১৫ দিন প্রতিদিন ৪-৫ বার করে, তাহলে ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে এবং রোগী সাধারণ কাজে ফিরে যেতে পারবে। তবে রোগীকে ব্যায়ামটি দিনে ২-৩ বার বেশ কিছুদিন করতে হবে। এই পদ্ধতির নাম ম্যাকেঞ্জি, যা বিশ্বে বিশেষভাবে সমাদৃত।
ম্যানুপুলেশন : এই প্রক্রিয়াটিও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। এই প্রক্রিয়ায় রোগীকে প্রথমে ব্যথাযুক্ত পাশকে ওপরের দিকে রেখে শোয়াতে হবে এবং রোটেশন করে ওপরের পা ভাঁজ অবস্থায় থ্রাস্ট বা জোরে চাপ দিতে হবে, যাতে জেলির মতো অংশটি সঠিক জায়গায় এসে পড়ে। ফলে নার্ভের ওপর চাপ কমে এবং ব্যথা সঙ্গে সঙ্গে চলে যায়।

Source: রোগ শোকের কথা
« Last Edit: August 25, 2013, 11:09:52 AM by Asif.Hossain »
Muhammad Asif Hossain
Assistant Registrar
Office of the Registrar
Daffodil International University

Offline Kanij Nahar Deepa

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 291
  • Faculty
    • View Profile
Informative post...
Kanij Nahar Deepa
Lecturer
Dept. of Pharmacy
Daffodil International University