তৈরি পোশাক রপ্তানি উপর ভর করেই বিদায়ী অর্থবছরের ১১ মাসে রপ্তানি আয়ে প্রায় এগারো শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
২০১২-২০১৩ অর্থবছরের জুলাই-মে সময়ে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে দুই হাজার ৪৩২ কোটি ১৯ লাখ ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেশি।
তবে ১১ মাসের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা দুই হাজার ৫১৬ কোটি ১০ লাখ ডলারের হিসাবে রপ্তানি আয় কম হয়েছে ৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
রোববার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) রপ্তানি আয় সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এই চিত্র উঠে এসেছে।
ইপিবির তথ্য মতে, আগের ১০ মাসেও রপ্তানি আয় লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৩ দশমিক ৩১ শতাংশ কম ছিল।
একক মাস হিসেবে মে মাসে রপ্তানি আয় লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ কম হয়েছে। এ মাসে ২৬৩ কোটি ২০ লাখ ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আয় হয়েছে ২৫৩ কোটি ৮৮ লাখ ডলার।
গত বছরের মে মাসে আয় হয়েছিল ২১৯ কোটি ৯৪ লাখ ডলার।
এসময়ে রপ্তানি আয়ের বড় খাত ওভেন পোশাক পণ্য রপ্তানিতে আয় লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বাড়লেও আরেক বড় খাত নিট পোশাক রপ্তানি পিছিয়ে রয়েছে।
১১ মাসে ওভেন খাতে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ। ৯৮১ কোটি ৯৪ লাখ ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রপ্তানি আয় হয়েছে ৯৯২ কোটি ৩০ লাখ ডলার।
আর নিট খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে নয় দশমিক ৫৬ শতাংশ। ৯৫৩ কোটি ৫০ লাখ ডলারের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রপ্তানি আয় হয়েছে প্রায় ৯৩৯ কোটি ডলার।
তবে হিমায়িত খাদ্যের মধ্যে হিমায়িত মাছ ও চিংড়ি রপ্তানি আয় গতবছরের এবং লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় কমেছে। এর মধ্যে হিমায়িত মাছের রপ্তানি কমেছে আশঙ্কাজনক হারে।
আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এখাতের রপ্তানি আয় কমেছে ৪৭ দশমিক ৭৩ শতাংশ এবং লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় আয় কমেছে ৫৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
তাছাড়া চা, পাট ও পাটজাত দ্রব্য, কেমিক্যাল পণ্য, রাবার, ইস্পাতজাত পণ্য ও নিট ফ্রেবিক্সসহ বেশকিছু পণ্যের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ও প্রবৃদ্ধি উভয়ই কমেছে।