মুসনাদে আহমদ, ৩/১৫৩, আখলাকুন্নাবী পৃ. ১২৪]

Author Topic: মুসনাদে আহমদ, ৩/১৫৩, আখলাকুন্নাবী পৃ. ১২৪]  (Read 1020 times)

Offline ehsan217

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 116
  • Test
    • View Profile
যায়েদ নামের এক ইয়াহুদী পাদ্রী মহানবীর (সাঃ) সাথে একটি অগ্রিম কেনা-বেচা করল। নির্ধারিত সময়ের ২/৩ দিন পূর্বেই সে এসে মাল পরিশোধের দাবি করল। এমনকি চাদর মুবারক টেনে নবীজীর সঙ্গে বেআদবী করল। বিকৃত চেহারায় রূঢ় কণ্ঠে নবীজীর দিকে তাকিয়ে বলল, হে মুহাম্মাদ! আমি তোমাকে চিনি। তোমরা আব্দুল মুত্তালিবের বংশধর, বড় টালবাহানাকারী।’ সেখানে উপস্থিত ছিলেন হযরত উমর ফারুক (রাঃ)। নবীজীর সাথে লোকটির এ অশিষ্ট আচরণ দেখে তিনি ক্রোধান্বিত হয়ে তাকে ধমক দিলেন।

কিন্তু রাসূলের (সাঃ) মুখে ছিল হাসি। তিনি উমর (রাঃ) কে বললেন, উমর! আমি ও এ ব্যক্তি তোমার থেকে অন্যরূপ আচরণ পাবার হকদার ছিলাম। দরকার তো ছিল তুমি আমাকে সত্বর তার প্রাপ্য আদায় করার পরামর্শ দিতে আর তাকে কথায় ও আচরণে নম্রতা অবলম্বনের তাগিদ দিবে। এরপর তিনি উমর (রাঃ) কে প্রাপ্য পরিশোধের নির্দেশ দেন। এবং তাকে আরো ২০ সা বেশি দিতে বলেন, যা ছিল উমর (রাঃ) কর্তৃক লোকটিকে ধমক দেওয়ার বদলা। মহানবী (সাঃ)-এর এ সহিষ্ণু আচরণ লোকটির ইসলাম গ্রহণের কারণ হয়। যাওয়ার পথে যায়েদ উমর (রাঃ) কে বললেন, হে উমর! আমি হচ্ছি ইয়াহুদী-পন্ডিত যায়েদ ইবনে সানা। আসলে লেনদেন আমার উদ্দেশ্য ছিল না, বরং মহানবীর ক্ষমা ও সহিষ্ণুতা পরীক্ষা করাই ছিল মূল উদ্দেশ্য। কারণ শেষ নবীর অন্যতম গুণ হবে এই যে, তাঁর ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা ক্রোধের ওপর প্রবল থাকবে, যতই রূঢ় আচরণ করা হবে তার ক্ষমা ততই বৃদ্ধি পাবে। অতএব ওমর! আমি যা চেয়েছি তা পেয়ে গেছি। এরপর তিনি নবীজী (সাঃ) এর হাতে খালেছভাবে ঈমান আনেন এবং তাঁর অঢেল সম্পদের অর্ধেক উম্মতের জন্য দান করে দেন।

[মুসনাদে আহমদ, ৩/১৫৩, আখলাকুন্নাবী পৃ. ১২৪]

সুবআন আল্লাহ্,
আল্লাহ্ যেনো আমাদের সকলকে রাসুলুল্লাহ (সা:) এর আদর্শ মেনে চলার তেীফিক দান করেন। আমীন।