Religion & Belief (Alor Pothay) > Zakat

যাকাত পরিত্যাগকারীর শাস্তি

(1/2) > >>

BRE SALAM SONY:
আল্লাহ তাআলা বলেন:

وَلَا يَحْسَبَنَّ الَّذِينَ يَبْخَلُونَ بِمَا آَتَاهُمُ اللَّهُ مِنْ فَضْلِهِ هُوَ خَيْرًا لَهُمْ بَلْ هُوَ شَرٌّ لَهُمْ سَيُطَوَّقُونَ مَا بَخِلُوا بِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلِلَّهِ مِيرَاثُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ (سورة آل عمران)

আর আল্লাহ যাদেরকে তাঁর অনুগ্রহ থেকে যা দান করেছেন তা নিয়ে যারা কৃপণতা করে তারা যেন ধারণা না করে যে, তা তাদের জন্য কল্যাণকর। বরং তা তাদের জন্য অকল্যাণকর। যা নিয়ে তারা কৃপণতা করেছিল, কিয়ামত দিবসে তা দিয়ে তাদের বেড়ি পরানো হবে। আর আসমানসমূহ ও যমীনের উত্তরাধিকার আল্লাহরই জন্য। আর তোমরা যা আমল কর সে ব্যাপারে আল্লাহ সম্যক জ্ঞাত। (সূরা আলে ইমরান, আয়াত ১৮০)

وَالَّذِينَ يَكْنِزُونَ الذَّهَبَ وَالْفِضَّةَ وَلَا يُنْفِقُونَهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَبَشِّرْهُمْ بِعَذَابٍ أَلِيمٍ ﴿34﴾ يَوْمَ يُحْمَى عَلَيْهَا فِي نَارِ جَهَنَّمَ فَتُكْوَى بِهَا جِبَاهُهُمْ وَجُنُوبُهُمْ وَظُهُورُهُمْ هَذَا مَا كَنَزْتُمْ لِأَنْفُسِكُمْ فَذُوقُوا مَا كُنْتُمْ تَكْنِزُونَ ﴿35﴾

এবং যারা সোনা ও রূপা (টাকা-পয়সা) পুঞ্জীভূত করে রাখে, আর তা আল্লাহর রাস্তায় খরচ করে না, তুমি তাদের বেদনাদায়ক আযাবের সুসংবাদ দাও। যেদিন জাহান্নামের আগুনে তা গরম করা হবে, অতঃপর তা দ্বারা তাদের কপালে, পার্শ্বে এবং পিঠে সেঁক দেয়া হবে। (আর বলা হবে) এটা তা-ই যা তোমরা নিজদের জন্য জমা করে রেখেছিলে, সুতরাং তোমরা যা জমা করেছিলে তার স্বাদ উপভোগ কর। (সূরা আত তাওবা, আয়াত ৩৪-৩৫)



আয়াত দুটো থেকে শিক্ষা ও মাসায়েল :

এক. কৃপণতা একটি নিন্দনীয় কাজ।

দুই. কৃপণতা কখনো কল্যাণ বয়ে আনে না।

তিন. ধন-সম্পদ আল্লাহ তাআলারই দান।

চার. কৃপণতা করে সঞ্চিত ধন-সম্পদ কেয়ামতে শাস্তির কারণ হবে।

পাঁচ. টাকা পয়সা ধন-সম্পদে গরিবদের যে অধিকার আছে তা যাকাত দানের মাধ্যমে আদায় না করলে কেয়ামতে এগুলো শাস্তির মাধ্যম হবে।

ছয়. এ অপরাধে কি ধরনের শাস্তি দেয়া হবে তা বর্ণনা করা হয়েছে।



হাদীসে এসেছে

عن أبي هريرة رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : من آتاه الله مالا فلم يؤد زكاته مثل له ماله شجاعا أقرع ، له زبيبتان ، يطوقه يوم القيامة ، يأخذ بلهزمتيه - يعني بشدقيه - يقول : أنا مالك أنا كنزك . ثم تلا هذه الآية : { ولا يحسبن الذين يبخلون بما آتاهم الله من فضله } . إلى آخر الآية .

আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন : যাকে আল্লাহ তাআলা সম্পদ দিলেন কিন্তু সে যাকাত আদায় করলো না তার সম্পদকে বিষধর চুলওয়ালা সাপে পরিণত করা হবে। যার শিংয়ের মত দুটো বিষাক্ত দাঁত থাকবে। কেয়ামতের দিন এ সাপ তার গলায় পেঁচিয়ে দেয়া হবে। এ দিয়ে সে তাকে দংশন করতে থাকবে আল বলবে, আমি তোমার সম্পদ, আমি তোমার সঞ্চয়। এ কথা বলার পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ আয়াতটি শেষ পর্যন্ত পাঠ করলেন :

وَلَا يَحْسَبَنَّ الَّذِينَ يَبْخَلُونَ بِمَا آَتَاهُمُ اللَّهُ مِنْ فَضْلِهِ هُوَ خَيْرًا لَهُمْ بَلْ هُوَ شَرٌّ لَهُمْ سَيُطَوَّقُونَ مَا بَخِلُوا بِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ

আর আল্লাহ যাদেরকে তাঁর অনুগ্রহ থেকে যা দান করেছেন তা নিয়ে যারা কৃপণতা করে তারা যেন ধারণা না করে যে, তা তাদের জন্য কল্যাণকর। বরং তা তাদের জন্য অকল্যাণকর। যা নিয়ে তারা কৃপণতা করেছিল, কিয়ামত দিবসে তা দিয়ে তাদের বেড়ি পরানো হবে। বর্ণনায় : বুখারী

হাদীসে এসেছে :

عن أبي هريرة رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ما من صاحب ذهب ولا فضة ، لا يؤدي منها حقها ، إلا إذا كان يوم القيامة ، صفحت له صفائح من نار ، فأحمي عليها في نار جهنم . فيكوى بها جنبه وجبينه وظهره . كلما بردت أعيدت له . في يوم كان مقداره خمسين ألف سنة . حتى يقضى بين العباد . فيرى سبيله . إما إلى الجنة وإما إلى النار .

আবু হুরাইরা রা. থেকে একটি দীর্ঘ হাদীসে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: যে সকল স্বর্ণ রৌপ্য (টাকা পয়সা) সঞ্চয়কারী সম্পদের হক (যাকাত) আদায় করেনি, সেগুলোকে কেয়ামতের দিন আগুনে দিয়ে পাত বানানো হবে। জাহান্নামের আগুনে তা গরম করা হবে। অত:পর তা দিয়ে তার পার্শদেশ, কপাল ও পিঠে দাগ দেয়া হবে। যখনই তা ঠান্ডা হবে আবার গরম করা হবে। সে দিনটির সময়ের পরিমাণ হবে 50 হাজার eQi। এ শাস্তি হবে মানুষের মধ্যে বিচার ফয়সালার পূর্বে। এরপর জান্নাতীরা জান্নাতে যাবে আর জাহান্নামীরা যাবে জাহান্নামে। (বর্ণনায় :মুসলিম)



এ হাদীসটি থেকে আমরা যা শিখতে পারলাম:

এক. দরিদ্র মানুষের অধিকার যাকাত আদায় না করে সম্পদ সঞ্চয় করে রাখা অন্যায়

দুই. সঞ্চয়কৃত সম্পদ দিয়েই সম্পদের মালিককে শাস্তি দেয়া হবে।

তিন. হিসাব নিকাশ ও জান্নাত জাহান্নামের ফয়সালা হওয়ার পূর্বে এ শাস্তি দেয়া হবে।

চার. পৃথিবীর সময়ের হিসাবে কেয়ামত দিবসের সময়ের পরিমাণ হবে 50 হাজার বছর।



হাদীসে এসেছে

عن جابر رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ما من صاحب كنز لا يفعل فيه حقه ، إلا جاء كنزه يوم القيامة شجاعا أقرع يتبعه ، فاغرا فاه فإذا أتاه فر منه ، فيناديه ربه عز وجل : خذ كنزك الذي خبأته ، فأنا أغنى منك ، فإذا رأى أنه لا بد له منه ، سلك يده في فيه ، فيقضمها قضم الفحل.

জাবের রা. থেকে একটি দীর্ঘ হাদীসে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: যে সঞ্চিত সম্পদের মালিক তার পাওনা (যাকাত) আদায় করেনি, কেয়ামতের দিন সেই সম্পদ একটি বিষধর সাপ হয়ে আসবে। সাপটি মুখ হা করে তাকে ধাওয়া করতে থাকবে আর সে পালাতে চেষ্টা করবে। আল্লাহ তাআলা তাকে ডাক দিয়ে বলবেন, তোমার সম্পদ গ্রহণ করো, যা তুমি সঞ্চয় করেছিলে। আমি তোমার সম্পদের মুখাপেক্ষী নই। যখন সে দেখবে যে সাপটি থেকে বাঁচা সম্ভব নয় তখন সে নিজেই তার মুখে হাত ডুকিয়ে দেবে। সাপটি এমনভাবে তার হাত গ্রাস করবে যেমন উট ঘাস মুখে নেয়। (বর্ণনায় : মুসলিম)

DOWNLOAD
www.zilhajjgroup.com



আমার সাথে হজ বিষয়ক যেকোন পরামর্শ এর জন্য আপনারা যোগাযোগ করতে পারেন ।আমি ডেফোডিলের একজন গর্বিত ছাত্র। আমি গর্ব করে বলতে পারি ডেফোডিল থেকে আমি যা পেয়েছি তাহা আমার সারা জীবনের অর্জন । আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় আমার অহংকার । জিলহজ গ্রুপ বাংলাদেশ 

shibli:
Sony, please don't copy and paste randomly. First of all, read and go through the materials that you are trying to convey to others.

This font is hardly readable.

BRE SALAM SONY:
thanks sir
i will try to take Ur guidelines.
next time i also try to give uni q idea
thanks

sethy:
Nice post.........

sumon_acce:
Good post.......All of us should need to take part on ZAKAT.

Navigation

[0] Message Index

[#] Next page

Go to full version