ঠাণ্ডা পানিতে এলার্জি
এলার্জি নানা ধরনের হয়ে থাকে। এক ধরনের এলার্জি রয়েছে যার জন্য দায়ী পানি। সেই পানি শরীরে লাগলে ভীষণ চুলকায় এবং শরীর লাল হয়ে ওঠে। চিকিত্সা বিজ্ঞানের ভাষায় একে অ্যাকুয়াজেনিক আর্টেকোরিয়া বলে। বাংলায় বলে পানিজনিত এলার্জি ।
চিকিত্সা বিজ্ঞানীরা বলছেন, পানির সংস্পর্শে আসার পর ত্বকের উপরিভাগ থেকে এক ধরনের প্রোটিন পানিতে দ্রবীভূত হয়ে শরীরে ঢুকে এন্টিবডি তৈরি করে এবং এর ফলে দেহে চুলকানিসহ বিভিন্ন উপসর্গ দেখা যায়। বিচিত্র এই এলার্জির মূল কারণ পানি। তবে সাধারণভাবে ঠাণ্ডা পানির কারণে এই অসুখ বেশি হয় । কিন্তু তার অর্থ এই নয়, গরম বা উষ্ণ পানি ব্যবহার করলে এই রোগ হবে না।
শরীরের যে কোনো অংশ বা অঙ্গ পানির সংস্পর্শে আসার পর ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে দেহে এলার্জির উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তবে এতে ভয়ের কিছু নেই। এমনিতেই ওই এলার্জি ভালো হয়ে যায়।
চিকিত্সকরা বলছেন, পানির সংস্পর্শে এলে যাদের অসুবিধা দেখা দেয়া বা এলার্জির লক্ষণ দেখা দেয় তারা গোসল করার আগে সারা শরীরে তেল মেখে নিতে পারেন। তাতে এ এলার্জির প্রকোপ হ্রাস পাবে। এছাড়া চিকিত্সকের পরামর্শ নিয়ে এলার্জি প্রতিরোধক কোনো ওষুধও খাওয়া যেতে পারে। যাদের উষ্ণ পানির বদলে ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করলে অসুবিধা দেখা দেয় তারা তা ব্যবহার থেকে বিরত থাকবেন। উষ্ণ পানি ব্যবহার করবেন।
এছাড়াও পানি যদি মিষ্টি না হয়ে নোনা হয় তাহলে এলার্জির প্রকোপ তীব্র হতে পারে। তাই যতটা সম্ভব নোনা বা এ জাতীয় পানির ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। প্রয়োজন মতো পানির বিকল্প ব্যবহার করতে হবে।