ক্ষীণ দৃষ্টি
যখন কোন ব্যক্তির কম হলেও দৃষ্টি শক্তি আছে অর্থাৎ কমপক্ষে আলো বুঝতে পারে কিন্তু সাধারণ চশমা দ্বারা তা সংশোধন বা উন্নতি করা যায় না, আবার অন্য কোন বিশেষ চিকিৎসাও নাই এরূপ অবস্থাকে ক্ষীণ দৃষ্টি বলে। অন্য কথায় যখন কোন ব্যক্তি আলো বুঝতে পারে কিন্তু তার দৃষ্টি ৬/১৮ এর নীচে তখন তাকে ক্ষীণ দৃষ্টি বলে। শিশুদের মধ্যে ক্ষীন দৃষ্টির প্রভাব খুব কম। বড়রাই ক্ষীন দৃষ্টিতে বেশী আক্রান্ত হয়ে থাকে।
ক্ষীণ দৃষ্টির কারণ
ক) জন্মগত- যেমন গর্ভাবস্থায় মায়ের হাম হলে শিশু ক্ষীণ দৃষ্টি তথা ক্ষুদ্র চক্ষু নিয়ে জন্মাতে পারে
খ)অন্যান্য কারণ
লক্ষণ
দৃষ্টি ক্ষমতা কম অর্থাৎ কম দেখতে পাবে।
দৃষ্টি পরিধি অর্থাৎ এরিয়া কম হবে।
দৈনন্দিন কাজ কর্ম করতে সময় বেশি লাগবে।
সক্রিয়ভাবে (নিজে নিজে) কাজ করত অসুবিধা বোধ করবে।
সময় ধরে কাজ করতে ক্লান্তি বোধ করবে এবং মাঝে মাঝে বিশ্রাম নিবে।
চিকিৎসা
এই রোগের চিকিৎসা মূলত পূণর্বাসনমূলক। রোগীদের প্রয়োজন মত বিভিন্ন প্রকার দৃষ্টি সহায়ক বস্তু দিয়ে রোগীদের যে দৃষ্টি অবশিষ্ট আছে তা যেন আর ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে কমে না যায় তার ব্যবস্থা করা।
বাংলাদেশে বর্তমানে যে সব কেন্দ্রে ক্ষীণ দৃষ্টির রোগীদের চিকিৎসা/পূনর্বাসনের সুবিধা রয়েছে-
ক) জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, শেরে বাংলা নগর, ঢাকা।
খ) ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল, ঢাকা।
গ) চক্ষু চিকিৎসা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম।
ঘ) বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতাল, সিরাজগঞ্জ।
এছাড়াও কুমিল্লা, সুনামগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, প্রভৃতি কেন্দ্রে ক্ষীণ দৃষ্টি রোগীর চিকিৎসা করা হয়ে থাকে।