কোলেস্টেরল কমানোর উপায়
দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্খ্যগত সমস্যা হতে পারে। এর মধ্যে আছে হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, অনিয়মিত হৃদস্পন্দন, স্ট্রোক ও ধমনী সংক্রান্ত রোগ অন্যতম। দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখলে এসব রোগ নিয়ে আর দুশ্চিন্তা করতে হবে না। আর কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের জন্য খুব বেশি কাঠখড়ও পোড়াতে হবে না।
দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় ছোটখাটো পরিবর্তনের মধ্য দিয়েই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে কোলেস্টেরলকে। এ জন্য আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় নিচের পাঁচটি রসদ নিয়মিত ব্যবহার করলেই আর ভাবতে হবে না কোলেস্টেরল নিয়ে। আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিকাল নিউট্রিশন এক প্রতিবেদনে এই পাঁচটি রসদ সম্পর্কে জানিয়েছে।
অলিভ অয়েল : সবার অতিপরিচিত অলিভ অয়েল দেহকে সুস্খ রাখতে অনেক সাহায্য করে। এটি হৃদযন্ত্রকে সুস্খ রাখতে যেমন কার্যকরী ভূমিকা পালন করে, তেমনি দেহের কোলেস্টেরলকে করে নিয়ন্ত্রণ। প্রতিদিনের খাবার তৈরির সময় তাই অলিভ অয়েলকে একটু প্রাধান্য দিলেই অতিরিক্ত কোলেস্টেরল স্বাস্খ্যের আর কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।
রসুন : প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রসুনের উপস্খিতি কমবেশি সবসময়ই থাকে। রসুন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, দেহের বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন, ধমনী সংক্রান্ত রোগের নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণ করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন দুই থেকে চার কোষ রসুন খেতে পারলে কোলেস্টেরল বাড়ার ভয় থাকবে না।
চকলেট : চকলেট কমায় কোলেস্টেরল। প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণে চকলেট গ্রহণ করলে কোলেস্টেরল থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
চা : চা দেহের কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে। গবেষকরা জানিয়েছেন, নিয়মিত তিন সপ্তাহ ব্ল্যাক টি খেলে দেহে কোলেস্টেরল ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে।
শিম, মটরশুঁটি ও বাদাম : যাদের খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন স্যুপ থাকে, তারা তাতে আধা কাপ শিম বা মটরশুঁটি যুক্ত করলে তা হয়ে উঠবে আরো পুষ্টিকর। এই সবজি দেহে আট ভাগ পর্যন্ত কোলেস্টেরল কমায় বলে জানিয়েছেন অ্যারিজোনার স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা।
এ ছাড়াও আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিকাল নিউট্রিশনের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সপ্তাহে ছয় দিন যদি ১.৫ আউন্স করে আখরোট বা বাদাম খাওয়া যায় তবে এক মাসের মধ্যে ৫.৪ ভাগ পর্যন্ত কোলেস্টেরল কমতে পারে।