হিস্টামিন এ্যামাইনো এ্যাসিড থেকে প্রাপ্ত একটি যৌগ বিশেষ। এই যৌগটি দেহ কোষ থেকে নিঃসৃত হয়ে থাকে। এই যৌগটি দেহে এ্যালিার্জি বা এই জাতীয় উপসর্গের সৃষ্টি করে থাকে। সাধারণত হিস্টামিন কোষের সাথে যুক্ত H1 এবং H2 নামক দুই সেট গ্রাহক (receptor) উপকরণের মাধ্যমে কার্যকরী হয়।
H1 গ্রাহক উপকরণ : মসৃণ অনৈচ্ছিক পেশীর সংকোচনে সাহায্য করে।
H2 গ্রাহক উপকরণ : পাকস্থলীর অম্ল ক্ষরণে সাহায্য করে।
এ ছাড়া এই দুটি গ্রাহক উপকরণ রক্তবাহকনালীর প্রসারণ ঘটাতে সাহায্য করে।
হিস্টামিন বৃদ্ধির কারণে বিভিন্ন মানুষ শারীরিকভাবে বিভিন্ন ধরনের অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে পতিত হয়। যেমন- ত্বকে ফুসকুড়ি উঠা, ত্বকে চুলকানী, সর্দি বা হাঁচি সৃষ্টি ইত্যাদি। এই সকল অসুবিধা দূর করার জন্য ব্যবহৃত ড্রাগগুলোকে হিস্টামিন-প্রতিরোধক (anti-histamine) বলা হয়ে থাকে। উল্লেখ্য হিস্টামিন-প্রতিরোধকগুলো শরীরের হিস্টামিন নিঃসরণ বন্ধ করতে পারে না। কিন্তু এর কার্যকারিতা নষ্ট করে দেয়।ফলে হিস্টামিন দ্বারা আক্রান্ত ব্যক্তি সাময়িক স্বস্তি লাভ করে। এই জাতীয় রোগের জন্য ক্লোরফেনিরামিন মেলিয়েট-কে বিশেষ কার্যকরী ড্রাগ হিসাবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।
তথ্যসূত্র :
ড্রাগ ডিসপেনসেটরী। আনোয়ার রশীদ সম্পাদিত। ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৪।