মুহাদ্দিসগণের পরিভাষায় হাদীস এবং সুন্নাতের অর্থ একই।
ফকীহগণের নিকট অর্থাৎ ফিকহ শাস্ত্রের পরিভাষায় সুন্নাত শব্দের অর্থ ভিন্ন। ফিকহ শাস্ত্রের পরিভাষায় সুন্নাত হল সেই কাজ যা করলে সওয়াব হবে কিন্তু না করলে গুনাহ নেই।
উদহারনস্বরূপ:প্রায়ই আমরা শুনে থাকি দাড়ি রাখা সুন্নাত আবার এও বলা হয় যে দাড়ি রাখা ওয়াজিব। এর ব্যাখ্যা হচ্ছে এই যে মুহাদ্দিসগণের পরিভাষা অনুযায়ী দাড়ি রাখা সুন্নাত, কেননা রাসূল (সাঃ) দাড়ি রাখতেন এবং রাখার নির্দেশ দিয়েছেন,অতএব এটা তাঁর কথা ও কাজের অন্তর্গত। পক্ষান্তরে ফিকহ্ শাস্ত্রের পরিভাষায় দাড়ি রাখা ওয়াজিব অর্থাৎ দাড়ি রাখলে সওয়াব হবে এবং না রাখলে গুনাহগার হতে হবে। এজন্য যখন একজন ফকীহকে অথবা একজন মুফতীকে যদি প্রশ্ন করা হয় যে দাড়ি রাখা কি সুন্নাত না ওয়াজিব, তিনি বলবেন ওয়াজিব।
আবার আক্বীদা শাস্ত্রের পন্ডিতের পরিভাষায় সুন্নাত হচ্ছে বিদাতের বিপরীত। অর্থাৎ যা কিছুর পক্ষে শরীআতের দলিল আছে সেটাই সুন্নাত,সেটা কুরআন থেকেই হোক অথবা হাদীস থেকেই হোক। আর যে কাজের পেছনে কুরআন বা হাদীসের কোন দলিল নেই সেটা বিদাত,যাকে ইসলামে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে।
পরিশেষে উসুলীদের পরিভাষায় সুন্নাত বলতে বোঝায় আল্লাহর রাসূলের কথা, কাজ এবং মৌন সম্মতিকে - কেননা উসুল শাস্ত্রের পন্ডিতগণ ইসলামী শরীয়তের উৎস নিয়ে গবেষণা করেন, আর সেক্ষেত্রে নবীর (সা.) গুণাবলী বা বৈশিষ্ট্য থেকে শরীয়তের কোন বিধান পাওয়া যায় না, এজন্য তাঁরা সুন্নাতের সংজ্ঞা থেকে তা বাদ দিয়েছেন।