আকাঙ্খা আর প্রত্যয়
আনন্দ-উদ্দিপনা আর বিড়ম্বনার মধ্য দিয়ে গত ১৬/১০/২০১৩ ইং রোজ বুধবার শেষ হয়ে গেল মুসলমান ও হিন্দু- সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব যথা- ঈদ-উল-আযাহা এবং দুর্গাপুঁজা। যদিও এই আনন্দের রেস এখনও কাঁটেনি। আরও কিছুদিন চলবে-----
পাঠক শ্র“তা, এবারের ঈদ/পুজাঁর মূলপতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘কুরবানীর শিক্ষা এবং দুগর্তি নাষে দুর্গা দেবীর আগমনের মূলহেতু। আল্লাহর রহে‘ ব্যাক্তি জীবনের সবচেয়ে কাংঙ্খিত বা শ্রেষ্ঠ সম্পদকে বির্সজন দেয়াই কুরবানী। আর দুর্গার আগমন সম্পর্কে আগের কলামে আলোচনা করা হয়েছে আজ মাপ করবেন। এই সকল আলোচনার পাশাপাশি আরও একটি আলোচনা জোড়েসুড়ে আলোড়িত হয়েছে তা‘হল ‘বতমান সরকার ও বিরোধী দলের হতাশাজনক রাজনৈতীক কর্মকান্ড। জনগন অনেকটাই হতাশ এবং বিপদসংকুল পরিবেশ পার করছে বলে তাদের দাবি।
এই কথা অতিব সত্য যে, বাংলাদেশের সর্বত্রই অশিক্ষিত অর্ধঃশিক্ষিত ও বখে যাওয়া কেডারা রাজনীতি নিয়ন্ত্রন করছে। তাদের বিষাক্ত ছোয়ায় বাংলার রাজনৈতিক আকাশ আজ কুলোষিত। জীবনের প্রয়োজনে বেকার শিক্ষিত যুবকরা তাদের অনুস্বরন করছে। যা অত্যন্ত ভয়াবহ। গোটা জাতি আজ দ্বি-ধা বিভক্ত। আওয়ামীলীগ ও বি.এন.পি নামক দলবাজীতে ঝুকে পড়ছে। রাজনীতি আজ আয়-উর্পাজনের খসড়া হয়ে দাড়িঁয়েছে। সত্য মিথ্যা বিচারের ক্ষমতা মানূষ আজ হারিয়ে ফেলেছে। বিভান্ত হচ্ছে গোটা জাতি। আজ বুদ্ধিজীবিরা হতবম্ভ। অশিক্ষিত বেনিয়া ব্যাবসায়ীদের হাতে রাজনীতি কুক্ষিগত। জীবন ও জাতি চলছে খোঁড়িয়ে খোঁড়িয়ে। মানুষের বাক-স্বাধীনতা আজ কাঁচের দেয়ালে বন্দী। এই অবস্থা মোটেও জাতির জন্য মঙ্গল জনক নয়।
মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানার চাচিতারা গ্রামের সন্তান আমি। দীন দরিদ্র কৃষকের সন্তান। মায়ের মুষ্ঠু চাউল বিক্রি করা আর বাবার লাঙ্গল চালানো সামান্য উর্পাজনকে সম্ভল করে লেখাপড়া করেছি-রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। মেধা তালিকায় এম. এ পাশ করেও অশিক্ষিত দলকানা, ধূর্তরাজনীতিবিদের পায়ের ধুলা আজও স্পর্শ করতে পারি নাই। আমার গ্রামের অনেক দলবাজ কর্মীরা তৃতীয় শ্রেনীতে কোন মতে বি.এ পাশ দিয়ে রাজনীতি করার কারনে সুবিধা জনক আবস্থায় অবস্থান করছে। অনেকেই আবার সারা জীবন আকাম-কুকাম করে ক্ষমতাশালী দলের ছত্র-ছায়ায় দেশ প্রেমিক সেজে দেশের বারটা বাজাচ্ছে। যা সত্যি র্দুভাগ্য ও বেদনাদায়ক। এগুলো সম্ভব হচ্ছে রাজনীতির ছত্রছায়ায়-জনগনকে দুকা দিয়ে ক্ষমতার অন্তরালে ব্যাক্তি স্বার্থ চরিত্রার্থ কৌশল। এতে রাজনৈতিক দল ও সংশিষ্ট ব্যক্তি উভয়েই লাভ বান হচ্ছে।
শুধু আমার গ্রাম নয় বাংলাদেশের সর্বত্রই আজ শিক্ষিত, ভদ্র, নম্র, সৎ ও সৃজনশীল মানুষের মূল্য নাই। রাজনৈতিক পাল্লা-পাল্লিতে আজ মানুষ অসহায়। ন্যায়ে পক্ষে কাজ করে বিবেক আজ কাঠ গড়ায় অশ্যু বির্সজন দিচ্ছে। পেশি শক্তির নিয়ন্ত্রনে আজ পরিবার, সমাজ, দেশ ও রাষ্ট্র জিম্মি হয়ে পড়েছে। দলবাজদের হুংকারে আজ মানুষ ন্যায় বিচার বঞ্চিত। দলীয় সমথর্ন অথবা পরিবারতন্ত্রে মানুষ নিরুপায়। এই অবস্থায় শিক্ষিত মানুষের মূল্য কোথায়?
এই ভাবে দেশ, সমাজ, রাষ্ট্র চলতে পারে না। তাই শিক্ষিত সমাজকেই এই দলীয় বেড়ী বেদ করে সত্য-সুন্দর আর ন্যায়ের প্রতি সমথর্ন যোগাতে হবে। ব্যাক্তি স্বার্থ ত্যাগ করে জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধীকার দিতে হবে। গড়ে তুলতে হবে ‘সফল সুন্দর কল্যাণকর বাংলাদেশ। আসুন আমরা দলকানা, দুনীীর্তবাজ ও বদমাইশদের পরিত্যাগ করে সুন্দর মঙ্গলময় দেশ গড়ে তুলি।