কাজের প্রতি উৎসাহী হতে করণীয়
অনেকসময়ই এমরা কাজে তেমন উৎসাহ পাই না। উদ্যম নিয়ে কাজ করবার আগ্রহ হারিয়ে ফেলাটা অসম্ভব কিছু নয়। মোটিভেশন আমাদের ভালো কাজ করার উত্সাহ দেয়।কাজের চাপ, নানা জটিলতা, সহকর্মীদের অসহযোগিতা, মনেরমতো কাজের অভাব এসব কারণে মোটিভেশনের যাঁতাকলে পড়তে পারেন। তা নিয়ে রইল কিছু জরুরি পরামর্শ।
♦ নেতিবাচক চিন্তাভাবনাই মোটিভেশন নষ্ট হয়ে যাওয়ার প্রধান কারণ। সে জন্য প্রথমেই নিজের চিন্তা ভাবনাগুলো ভালো করে বিশ্লেষণ করুন।
♦ প্রতিটি মন্তব্য শোনারপর প্রতিক্রিয়ার আগে একবার ভাবুন। কোনো বিশেষ কথা কি আপনার অপছন্দ? নাকি মন্তব্যকারীকে আপনি একেবারেই পছন্দ করেন না বলেই তার কথা শুনতে বিরক্তি লাগছে? যতটা সম্ভব যুক্তি দিয়ে নিজের মনের ভাবটা বোঝার চেষ্টা করুন।
♦ নিজের মনের ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকলে চট করে নেগেটিভ হয়ে ওঠা মুশকিল। আপনার বন্ধু বা সহকর্মীদের মধ্যে যারা ইতিবাচকমনোভাবাপন্ন তাদের সঙ্গে বেশি সময় কাঁটাতে পারেন। প্রয়োজনে তাদের কাছথেকে পরামর্শ নিন।
♦ যেসব কলিগ স্বভাবতই সন্দেহপ্রবণ এবং সমালোচনাপ্রিয়, তাদের এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। কয়েকটি ইতিবাচক ব্যবহারের চর্চা মোটিভেশন বাড়াতে সাহায্য করে। ব্যালেন্সড ডায়েট, ফিটনেস, হেলদি লাইফস্টাইল আপনাকে সুস্থ শরীরের পাশাপাশি এক সুস্থ মনেরও অধিকারী করে তোলে।
♦ এছাড়াও মানসিক সুস্থতার জন্য বাইরের বই পড়া, ইন্টারনেট সার্চিং, নিজস্ব শখচর্চা করাও জরুরি। মন সুস্থ না হলে মোটিভেশন কিছুতেই পজিটিভ হতে পারে না।যখনই মনে হবে আপনি নিজের ওপর বিশ্বাস হারাচ্ছেন, তখন নিজেই নিজেকে সাহসদিন।
♦ প্রতিদিন অন্তত একবার নিজেকে বলুন, আমি বিশ্বাস হারাব না। আমি ভালোথাকব। এই সামান্য কথাগুলো আপনাকে নতুন সাহস জোগাতে সাহায্য করবে। কিন্তুকোনো কাজে ব্যর্থ হলেই হতাশ না হয়ে মন শক্ত করুন।
♦ সব সময় অফিসের কাজের একটা খসড়া পরিকল্পনা ছকে নেয়ার চেষ্টা করুন। সপ্তাহের শুরুতে বাড়ির-অফিসের কাজের একটা তালিকা বানিয়ে নিন।
♦ সব কাজ ঠিকমতো শেষ হলে নিজেকে ছোট্ট একটা ট্রিট দিন। ছোটছোট লক্ষ্য অর্জন করতে পারলে, আত্মবিশ্বাস আপনা আপনি মজবুত হবে। এই আত্মবিশ্বাসই আপনাকে ভালো কাজের দিকে মোটিভেট করবে।