Religion & Belief (Alor Pothay) > Hadith

Know about Islam & Hadith

<< < (5/5)

ariful892:
মায়ের সম্মান নিয়ে হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) এর একটি ঘটনাঃ

একদিন হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) রাসুল (সাঃ) এর নিকট এসে কাঁদছেন। রাসুল (সাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, হে আবু হোরায়রা তুমি কেন কাঁদছ? আবু হোরায়রা বললেন, আমার মা আমাকে মেরেছেন। রাসুল (সাঃ) বললেন, কেন তুমিকি কোন বেয়াদবী করেছ?

আবু হোরায়রা বললেন, না হুজুর কোন বেয়াদবী করিনি। আপনার দরবার হতে বাড়ি যেতেআমার রাত হয়েছিল বিধায় আমার মা আমাকে দেরির কারণ জিজ্ঞেস করায় আমি আপনার কথা বললাম। আর আপনার কথা শুনে মা রাগে আমাকে মারধর করল আর বলল, হয়ত আমার বাড়ি ছাড়বি আর না হয় মুহাম্মদ (সাঃ) এর দরবার ছাড়বি।আমি বললাম, ও আমার মা। তুমি বয়স্ক মানুষ। তোমার গায়ে যত শক্তি আছে তত শক্তি দিয়ে মারতে থাকো। মারতে মারতে আমাকে বাড়ি থেকে করে দাও। তবুও আমি আমার রাসুলকে ছাড়তে পারবো না।

তখন রাসূল (সাঃ) বলেছেন, তোমার মা তোমাকে বের করে দিয়েছেন আর এজন্য আমার কাছে নালিশ করতে এসেছ? আমার তো এখানে কিছুই করার নেই।

হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) বললেন, হে রাসূল (সাঃ) আমি আমার মায়ের জন্য এখানে নালিশ করতে আসি নাই। রাসুল (সাঃ) বললেন, তাহলে কেন এসেছ?

আবু হোরায়রা বললেন, আমি জানি আপনি আল্লাহর নবী। আপনি যদি হাত উঠিয়ে আমার মায়ের জন্য দোয়া করতেন, যাতে আমার মাকে যেন আল্লাহ হেদায়েত করেন।

আর তখনই সাথে সাথে রাসুল (সাঃ) হাত উঠিয়ে আল্লাহর দরবারে দোয়া করলেন, হে আল্লাহ! আমি দোয়া করি আপনি আবু হোরায়রার আম্মাকে হেদায়েত করে দেন।”

রাসুল (সাঃ) দোয়া করলেন আর আবু হোরায়রা বাড়ির দিকে দৌড়ে যাচ্ছেন। পিছন থেকে কয়েকজন লোক আবু হোরায়রার জামা টেনে ধরল এবং বললো, হে আবু হোরায়রা! তুমি দৌড়াচ্ছ কেন?

তখন আবু হোরায়রা বললেন, ওহে সাহাবীগণ তোমরা আমার জামা ছেড়ে দাও।আমাকে দৌড়াতে দাও।

আমি দৌড়াইয়া বাড়িতে গিয়ে দেখতে আমি আগে পৌঁছলাম নাকি আমার নবীজির দোয়া আগে পৌঁছে গেছে। হযরত আবু হোরায়রা দরজায় ধাক্কাতে লাগলো। ভিতর থেকে তার মা যখন দরজা খুললো তখন আবু হোরায়রা দেখলেন তার মার সাদা চুল বেয়ে বেয়ে পানি পড়ছে।তখন মা আমাকে বললেন, হে আবু হোরায়রা! তোমাকে মারার পর আমি বড় অনুতপ্ত হয়েছি,অনুশোচনা করেছি। মনে মনে ভাবলাম আমার ছেলে তো কোন খারাপ জায়গায় যায়নি। কেন তাকে মারলাম? আমি বরং লজ্জায় পড়েছি তোমাকে মেরে।হে আবু হোরায়রা! আমি গোসল করেছি। আমাকে তাড়াতাড়ি রাসুল (সাঃ) এর দরবারে নিয়ে চল।

আর তখনই সাথে সাথে আবু হোরায়রা তার মাকে রাসুল (সাঃ) এর দরবারে নিয়ে গেলেন। আর তার মাকে সেখানেইকালিমা পাঠ করে মুসলমান হয়ে গেলেন। পিতা মাতা জান্নাতে র মাঝের দরজা। যদি চাও, দরজাটি নষ্ট করে ফেলতে পারো,নতুবা তা রক্ষা করতে পারো। সুবাহান আল্লাহ
[তিরমিজি ] —

ariful892:
*মুআয ইবন জাবাল (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূল (সা) বলেছেন, তিনটি অভিসম্পাতযোগ্য কাজ থেকে দূরে থাকো; পানিতে থুথু ফেলা, যাতায়াতের পথে এবং ছায়াদার স্থানে মলত্যাগ করা। (হাদীস নং-২৬)[কিতাবুত তাহারাত]
=====================================================
*হযরত আলী (রা) হতে বর্ণিত। নবী করীম (সা) বলেন; যে ঘরে ছবি, কুকুর ও অপবিত্র লোক থাকে – সেখানে রহমতের ফেরেশতাগণ (নতুন রহমতসহ) প্রবেশ করেন না। (হাদীস নং-২২৭) [কিতাবুত তাহারাত]
=====================================================
*আয়েশা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) পাড়ায় পাড়ায় মসজিদ নির্মানের নির্দেশ দেন এবং তা পবিত্র, সুগন্ধিযুক্ত ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখারও নির্দেশ দেন। (হাদীস নং-৪৫৫)[কিতাবুস সালাত]

ariful892:
*আবু কাতাদ (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন, তোমাদের কেউ মসজিদে পৌঁছে বসার পূর্বেই যেন দুই রাকাত (তাহিয়্যাতুল-মাসজিদ) নামায আদায় করে। (হাদীস নং-৪৬৭)[কিতাবুস সালাত]
====================================================
*আবু হুরায়রা (রা) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি মসজিদের মধ্যে কাউকে চিৎকার করে হারানো জিনিস তালাশ করতে শুনে সে যেন বলে, আল্লাহ তোমাকে তোমার ঐ জিনিস ফিরিয়ে না দিন। কেননা মসজিদ এইজন্য নির্মান করা হয়নি। (হাদীস নং-৪৭৩)[কিতাবুস সালাত]
====================================================
*আবু বাকর সিদ্দীক (রা) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি ইস্তিগফারের (গুনাহে লিপ্ত হওয়ার পর লজ্জিত হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করা) পরে তওবা করে, তবে তা ইসরার (বারবার) হিসাবে গণ্য হবে না; যদিও সে ব্যক্তি দৈনিক সত্তর বারও এরূপ করে। (হাদীস নং-১৫১৪)[কিতাবুস সালাত]

ariful892:
সৃষ্টির শুরু হতে আশুরা (১০ই মহররম)
একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। এ দিনে পৃথিবীর বহু
উল্লেখযোগ্য ঘটনা সংঘটিত হয়। এর
কয়েকটি উপস্থাপন করছিঃ
১. আশুরার দিনে আসমান, যমিন, লওহ ও কলম
সৃষ্টি হয়।
২. এদিনে হযরত আদম (আঃ) পৃথিবীতে অবতরণ করেন।
৩. এদিনে হযরত নূহ (আঃ) মহা প্লাবনের পর
নৌকা থেকে পৃথিবীতে অবতরণ করেন।
৪. এদিনে হযরত ইবরাহীম (আঃ) 'খলিলুল্লাহ'
বা আল্লাহর বন্ধু উপাধি লাভ করেন।
৫. এদিনে হযরত ইবরাহীম (আঃ) নমরূদের অগ্নিকুণ্ড
হতে মহান আল্লাহর অসীম কুদরতে পরিত্রাণ পান।
৬. এদিনে সূদীর্ঘ ৪০ বছর পরে হযরত ইয়াকুব (আঃ)
এবং হযরত ইউসুফ (আঃ) এর পুনর্মিলন হয়।
৭. এদিনে হযরত ইউনুস (আঃ) মাছের পেট
থেকে মুক্তি লাভ করেন।
৮. এদিনে হযরত মুসা (আঃ)
বনী ইসরাঈলদেরকে সাথে নিয়ে নীল নদ পার হন।
৯. এদিনে ফেরআউন- তার সঙ্গী ও সৈন্য সামন্তসহ
নীল নদে ডুবে মারা যান।
১০. এদিনে হযরত ঈসা (আঃ) আল্লাহর অসীম
কুদরতে পিতা ছাড়া পৃথিবীতে জন্ম গ্রহণ করেন।
১১. এদিনে হযরত ঈসা (আঃ) মহান আল্লাহর
আদেশে আসমানে আরোহন করেন। তিনি এখন্ও
আসমানে জীবিত আছেন এবং শেষ নবীর উম্মত
হিসেবে পৃথিবীতে আবার আসবেন।
১২. এদিনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর দৌহিত্র
হযরত ইমাম হোসাইন (রাঃ) ৬১ হিজরীতে এজিদ
বাহিনীর হাতে কারবালা প্রান্তরে শাহাদাত বরণ
করেন।

ariful892:
জুম'আর দিনটিকে সম্মান করার জন্য
ইহুদী-নাসারাদের উপর ফরজ করা হয়েছিল; কিন্তু তারা মতবিরোধ
করে এই দিনটিকে প্রত্যাখ্যান
করেছিল। অতঃপর
ইহুদীরা শনিবারকে আর
খ্রিষ্টানরা রবিবারকে তাদের ইবাদতের
দিন বানিয়েছিল। অবশেষে আল্লাহ তায়ালা এ উম্মতের জন্য
শুক্রবারকে মহান দিবস ও ফযীলতের
দিন হিসেবে দান করেছেন। আর
উম্মতে মুহাম্মদী তা গ্রহন
করে নিল।

[সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিমঃ ৮৫৫]

Navigation

[0] Message Index

[*] Previous page

Go to full version