প্রযুক্তির কল্যাণে মঙ্গল গ্রহকে হয়তো বসবাসের উপযোগী করে তোলা সম্ভব হবে, কিন্তু কার জন্য? মানুষ, নাকি ভিনগ্রহের কোনো প্রাণীর জন্য?
গঠন
তাত্ত্বিকভাবে মঙ্গলের মাটির গঠন-বৈশিষ্ট্য অনেকটা পৃথিবীর মতো। ধারণা করা হয়, লাল গ্রহটিতে হয়তো শত কোটি বছর আগে কোনো প্রাণীর আবাস ছিল। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (নাসা) বিজ্ঞানী ক্রিস ম্যাককে বলেন, মঙ্গলকে বসবাস-উপযোগী আদলে রূপান্তর করতে অনির্দিষ্টকাল লেগে যাবে।
বায়ুমণ্ডল
মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলকে আরও উষ্ণ এবং আর্দ্র করে তোলাই হবে বিজ্ঞানীদের প্রথম কাজ। এ ক্ষেত্রে ক্লুরোফ্লোরোকার্বনের (সিএফসি) মতো গ্রিনহাউস গ্যাস ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ছাড়া বরফায়িত কার্বন ডাই-অক্সাইডও সেখানে মুক্ত করার মাধ্যমে বায়ুমণ্ডলে ধাপে ধাপে পরিবর্তন আনা যাবে।
জীবন
জিনপ্রকৌশলের মাধ্যমে উৎপাদিত অণুজীব মঙ্গলে ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে সেখানকার অক্সিজেনের মাত্রা পৃথিবীর সমপর্যায়েনেওয়ার বিষয়টিও বিজ্ঞানীদের মাথায় রয়েছে। এই অক্সিজেন ওজোন বর্ম তৈরি করে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি প্রতিরোধ করবে। সূত্র: ডিসকভারি নিউজ।