Science & Information Technology > Science Discussion Forum

মুঠোফোনের আশীর্বাদ

(1/1)

maruppharm:
মুঠোফোনকে এক সময় কথা বলার পাশাপাশি নিছক প্রযুক্তি-খেলনা হিসেবেই ধরা হতো। কিন্তু এখন মুঠোফোন আর শুধু খেলনাই নয় বরং তা নিত্যপ্রয়োজনীয় উপকরণ হিসেবেই কাজে লাগছে মানুষের।
সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ধনী ব্যক্তিদের কাছে মুঠোফোনের কদর যতখানি তার চেয়েও বেশি কদর তার উন্নয়নশীল দেশের মানুষদের কাছে। উন্নয়নশীল দেশের গরিব ও ক্ষুদ্র-উদ্যোক্তাদের কাছে এটি প্রয়োজনীয় একটি ব্যবসায়িক উপকরণ। মুঠোফোন এখন লেনদেন, বার্তা আদান-প্রদান, পানি, বিদ্যুত্, আর্থিক সেবা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার উপকরণ হিসেবেও ব্যবহূত হচ্ছে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) এক তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে ৭০ কোটি মানুষ বিশুদ্ধ পানির অভাবে রয়েছে, ২৫০ কোটি মানুষের কাছে উন্নত পয়োনিষ্কাশন সুবিধা আজও পৌঁছায়নি অথচ আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের তথ্য অনুয়ায়ী, (আইটিইউ) বিশ্বের ৯৬ শতাংশ মানুষ এখন মুঠোফোনের নেটওয়ার্কের আওতায় চলে এসেছে। গবেষকেরা বলছেন, বিশ্বের বিশাল জনগোষ্ঠীর মাঝে মুঠোফোন যে যোগাযোগের পথ তৈরি করেছে তাই মুঠোফোনকে আশীর্বাদই বলা চলে।
গবেষকেরা মুঠোফোনের সাহায্যে পরিচালিত ব্যবসা পদ্ধতিটি বিশ্লেষণ করে জানিয়েছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুঠোফোন কেন্দ্রিক বিভিন্ন ব্যবসা গড়ে উঠেছে। স্বাস্থ্য, চিকিত্সা, শিক্ষা প্রভৃতি ক্ষেত্রে গড়ে উঠছে নতুন নতুন উদ্যোগ।
মুঠোফোনভিত্তিক সেবাদাতা উদ্যোগগুলোর ক্ষেত্রে ব্যবসা পদ্ধতিটি অনেকটা পশ্চিমা ধাঁচের হলেও যদি তা মানুষের কল্যাণের জন্য তৈরি করা হয় তবে তা দৈনিক দুই মার্কিন ডলারের বেশি আয় এনে দিতে পারে। মানুষের জীবনঘনিষ্ঠ উদ্যোগগুলো একাধারে ব্যবসা করছে আবার মানুষের কল্যাণেও কাজে লাগছে।

Navigation

[0] Message Index

Go to full version