টিউশনি করাচ্ছেন? কিংবা করাতে চাচ্ছেন?? আমি করি। টিউশনিতে যাবো,পড়াবো,খাবো.. মাস শেষে টাকা নিয়ে
আসবো.. ব্যাপারটা এই তো!! তাই না??
নাহ্... বরঞ্চ সতর্ক হোন।অল্প কিছু টাকার চেয়ে আপনার সম্মানটাই অনেক বড়। আমি অনেক জায়গায় পড়িয়েছি। অনেক পদের মানুষও দেখেছি। তবে আজকে সে সব ঘটনা নয়... বরং একটা টিউশনিতে যতদিনই পড়ান না কেন- ভালোভাবে এবং সম্মান নিয়ে কিভাবে শেষ করবেন-- আমার অভিজ্ঞতার আলোকে তাই শেয়ার করবো।
১। টিউশনির প্রথম দিনই বলে দিন, নাস্তা দিলে আপনি "আন ইজি" ফিল করেন। নাস্তা অবশ্যই পরিত্যাজ্য (আমার মতে।) নিয়মিত নাস্তা খাওয়াইলে অনেক অভিভাবকই টিউটর কে তাদের আন্ডারের চাকর মনে করে! সুতরাং, হাবি জাবি আবদার বেশী করে। যেমনঃ সপ্তাহে ৬/৭ দিনই পড়াতে হবে কিংবা ২/৩ ঘন্টা করে পড়াতে হবে ইত্যাদি
ইত্যাদি। এতে আপনার স্বাধীনতা নষ্ট হবে। তাছাড়া, খাবার আপনার মনোযোগও সরায়ে দিতে পারে। তবে মানা করার পর ও দিলে...... খাওয়া আপনার ইচ্ছা।
২। এক বা দেড় ঘন্টার বেশি পড়াবেন না। মাসে কয়দিন পড়াচ্ছেন সে ব্যপারে সতর্ক থাকুন।মাসে ১২ দিনের জায়গায় ১০ দিন পড়িয়ে টাকা নিলে তা হালাল হলো কি না ভেবে
দেখুন। অভিভাবকরা বিষয় টা খেয়াল করলে আপনার সম্পর্কে ধারণা খারাপ হয়ে যেতে পারে।
৩।যদি কোথাও হ্যান্ডনোট/ সাজেশন দিয়ে পড়াতে হয়, তাহলে
সেখানে না পড়ানোই ভালো। সাজেশন এক ধরনের জুয়া। আর হ্যন্ডনোট আপনার স্টুডেন্টের মেরুদন্ডই ভেঙ্গে দিবে।ভবিষ্যতে যখন ভালো কোথাও চান্স পাবে না, তখন আপনাকেই দোষারোপ করবে।
৪। ছাত্রী পড়াতে হলে ডাইনিং টেবিল কিংবা বসার ঘর ব্যবহার করুন। এতে স্বচ্ছতা থাকবে।
৫।আপনি কোন বিষয় মুখে বলার ব্যাপারে দুর্বল হলে আপনার স্টুডেন্টকে রিডিং পড়তে দিন। রিডিং পড়ার ফাঁকে তাকে
বিষয়টা বুঝিয়ে দিন। এতে আপনার দুর্বলতাই আপনার শক্তিতে পরিনত হবে।
৬।আপনার পড়াশোনার চাপ বেশী থাকলে আগেই বলে নিন যে আপনার ইচ্ছামত এসে পড়িয়ে যাবেন। এক্ষেত্রে আপনার স্টুডেন্টের ক্লাশ শিডিউল আগেই জেনে নিন।
৭।টাকা-পয়সার ব্যাপারে সরাসরি অভিভাবককেই জানান। অনেকে লজ্জ্বায় বলতে পারে না। এটা অবশ্যই পরিত্যাজ্য।
৮।খুব সমস্যা না হলে আত্মীয়দের মধ্যে না পড়ানোই ভালো। আত্মীয়দের আবদার থাকে বেশী। তাছাড়া তারা সময় অনুপাতে তেমন টাকাও দিতে চায় না।