Faculty of Allied Health Sciences > Public Health
Strength and Weakness of Human being
bidita:
মাথা ঘোরার রহস্য ও সমাধান !
মাথা ঘোরা একটা সাধারণ সমস্যা। হঠাৎ মাথা ঘুরলে সামলে নেয়া যায় বটে, তবে বেশিণ ঘুরলেই মুশকিল। অনেকেই জানেন না, কোন ইন্দ্রিয় শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করে। মাথা ঘোরাটা মোটেই স্বস্তিকর নয়, আর একটু বেশি সময় ধরে মাথা ঘুরতে থাকলে তো কথাই নেই। দেহের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য প্রতিটি ইন্দ্রিয় প্রভাব বিস্তার করে থাকে। এসব ইন্দ্রিয় পরস্পরবিরোধী তথ্য মস্তিষ্কে পাঠালেই মাথা ঘুরে যায়। রোলার কোস্টারে ওঠে কেউ কেউ হয়তো খুব মজা পান, কিন্তু অনেকের তো তা দেখলেই মাথায় চক্কর দিয়ে ওঠে। বিশেষ করে বয়স্করা এ ধরনের কাজে তেমন উৎসাহ পান না। কেননা ২০ বছর বয়স থেকেই শরীরের ভারসাম্যের অনুভূতিটা ধীরে ধীরে কমে যেতে থাকে। জার্মান বিজ্ঞানী অধ্যাপক মার্টিন ভেস্টহোফেন বলেন, এসব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ যখনই মস্তিষ্কে পরস্পরবিরোধী তথ্য পাঠায়, তখনই মাথা ঘুরে যায়। তার মতে, ‘তিনটি ইন্দ্রিয়ের মধ্যে কোনো একটি অতিরিক্ত চাপে পড়লে, কিংবা উত্তেজিত হয়ে পড়লে এটা ঘটতে পারে।’ বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন ধরনের মাথা ঘোরার কথা বলেন। যেমন এক দিকে রয়েছে পাক খাওয়া ঘোরা, অন্য দিকে রয়েছে দোল খাওয়ার মতো ঘোরা। যে অবস্থায় মনে হয় যেন সব কিছু টলতে থাকে। আরেকটি হলো উচ্চতায় মাথা ঘোরা। যেমন লিফটে করে ওপরে ওঠার সময় মাথা ঘোরা। মানুষ এক জায়গায় অনেকণ ধরে ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ থেমে গেলে মাথায় চক্কর দিয়ে উঠতে পারে। তখন কানের ভেতরে ভারসাম্য বোধটা ওলটপালট হয়ে যায়। অন্তঃকর্ণের পেছনের অংশ ‘ভেসটিবিউল’ মাথার মধ্যে ভারসাম্য বোধকে নিয়ন্ত্রণ করে। ধনুকের মতো দেখতে তিনটি অংশ আছে, যাতে তরল ভরা। তার মধ্যে আছে ছোট্ট চুল বা রোমের মতো কোষ। নড়াচড়া করলেই সেই তরল হেলে পডলে রোমগুলোকেও টলিয়ে দেয়। ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ করে থেমে গেলে, সেই তরল পদার্থ চলকে ওঠে এবং তখন মাথা ঘুরে ওঠে। অনেকে এই মাথাঘোরার অবস্থাটা সহ্য করতে পারেন, অনেকে আবার আতঙ্কিত হয়ে যান। উঁচুতে ওঠে মাথা ঘুরলে পেছনে একটু হেলান দিন এবং দূরের কোনো বিন্দুতে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকুন। এরপর দেখুন, পায়ের নিচে শক্ত মাটি পাওয়া যায় কি না।
bidita:
মুদ্রাদোষ !
মুদ্রাদোষ আর বাজে অভ্যাস কিন্তু এক জিনিস নয়। হাতের নখ কামড়ানো, বারবার পা নাড়ানো, আনমনা থাকতে থাকতে মাথা চুলকানো, নাকের ভেতর আঙুল ঢুকিয়ে চুলকানো, হাতের কাছে লম্বা কিছু পেলেই কানে ঢুকিয়ে দেওয়া, আঙুল ফোটানো, কথা বলার সময় জোরে জোরে হাত নেড়ে বা আঙুল তুলে কথা বলা ইত্যাদি হলো মুদ্রাদোষ। মানুষ নিজের অজান্তেই এগুলোর চর্চা করতে থাকে। আসুন জেনে নেই মুদ্রাদোষগুলো থেকে নিজেরাই নিজেদের কিভাবে মুক্তি দিতে পারি।
১. প্রথমে মুদ্রাদোষটি শনাক্ত করুন।
২. সব সময় সচেতন থাকুন, যাতে মনের ভুলে এমন অভ্যাসের চর্চা না হয়।
৩. যিনি আনমনে বারবার পা নাড়েন, তিনি বসার ধরন বদলে ফেলুন।
৪. যিনি কথা বলতে বলতে হাত নাড়েন, তিনি হাত পেছনে রেখে মনে জোর নিয়ে এসে কথা বলতে পারেন।
৫. নিজের ওপর নিজের নিয়ন্ত্রণ রাখুন।
৬. যেকোনো কাজে গভীর মনোনিবেশ করুন।
৭. আলস জীবনযাপন বা অতিরিক্ত ঘুমের অভ্যাস বাদ দিন।
৮. নিয়মিত ব্যায়াম এবং ধ্যান করে মুদ্রাদোষ পরিহার করার ক্ষমতা তৈরি করুন।
৯. কাছের মানুষদের জানিয়ে রাখুন, যাতে তাঁরা থামিয়ে দেন বা মনে করিয়ে দেন।
১০. মুদ্রাদোষ থেকে মুক্তি পেতে আরেকটি ব্যায়াম করা যেতে পারে। তা হলো যিনি পা নাড়ান কিংবা হাত দিয়ে নাক, কান বা মাথা চুলকাতে থাকেন, তিনি দিনের একটা সময় ধরে একটানা পা বা হাতের দিকে স্থিরভাবে তাকিয়ে থাকুন। মনোযোগ নিয়ে দেখুন আর ভাবতে থাকুন অভ্যাসগুলোর কথা। কিংবা হঠাৎ বেখেয়াল হতেই পা নাড়াচ্ছিলেন, মনে হওয়ার পর বন্ধ করে তাকিয়ে ভাবতে থাকুন পাঁচ মিনিট। ভাবার সময় আবার বেখেয়াল হয়ে যাবেন না।
১১. মাত্রাতিরিক্ত হয়ে গেলে অবশ্যই মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। -
bidita:
হার্ট অ্যাটাক হঠাৎ হয় না !
হুট করে একদিন হুমড়ি খেয়ে পড়লেন। কী ব্যাপার? না, হার্ট অ্যাটাক। অথচ শরীর-স্বাস্থ্য পুরোপুরি ফিট, গায়ে একরত্তি মেদ নেই, রক্তচাপ নেই, দুর্ভাবনা-দুশ্চিন্তা নেই তিল পরিমাণও। ভুলেও কখনও বুকে ব্যথা অনুভব করেননি। তবু আচমকা আক্রান্ত হলেন হার্ট অ্যাটাকে। এর কারণ কী?
নতুন গবেষণায় বলা হয়েছে, ব্যাপার কিছু না। আসল কথা হলো, হৃদরোগ বা
হার্ট অ্যাটাক আগে থেকে বলেকয়ে আসবে, এমনটা ভাবাই ভুল। তবে আক্রান্ত হওয়ার মাসখানেক আগে থেকে কিছুটা হুঁশিয়ারি সংকেত আপনি পেতেও পারেন। কখনও কখনও মাসখানেক না হলেও, মাত্র এক ঘণ্টা আগে হলেও আপনাকে হুঁশিয়ারি দেবে।
হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার ৫টি লক্ষণ তুলে ধরা হলো:
১. বুকে অস্বস্তি বা ব্যথা: বুক ব্যথা বা ধড়ফড় করা, অস্বস্তি কিংবা প্রচণ্ড চাপ বোধ হওয়া হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম উপসর্গ। একটানা কয়েক মিনিট এ ধরনের অনুভূতি হওয়া বা কিছুক্ষণ পরপর তা অনুভূত হতে পারে।
২. শরীরের ওপরের অংশে অস্বস্তি: এক বা দুই হাত, পিঠ, ঘাড়, চোয়াল বা পাকস্থলীতে ব্যথা বা অস্বস্তি অনুভূত হতে পারে।
৩. অবসাদগ্রস্ততা ও স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা: স্বাভাবিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে ও ছাড়তে কষ্ট হতে পারে। শরীর অবসাদে ভেঙে পড়তে পারে। বুকের মধ্যে অস্বস্তি বোধ হোক বা না হোক, শ্বাস-প্রশ্বাস অস্বাভাবিক হলে সতর্ক হতে হবে।
৪.অতিরিক্ত ঘাম হওয়া: ব্যায়াম বা পরিশ্রম ছাড়াই অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে।
৫. অন্য উপসর্গ: বদহজম, অরুচি, বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া ও মাথা হালকা বোধ হতে পারে।
তাই সামান্যতম লক্ষণ টের পেলেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াটাই সবচেয়ে ভালো প্রতিরোধ, যা আপনাকে অচিরেই দুনিয়া ত্যাগ করা থেকে আরও কিছু সময় রক্ষা করবে। গবেষণা কর্মটির প্রধান পরিচালক যুক্তরাষ্ট্রের সিডার্স-সিনাই হার্ট ইনস্টিটিউটের ভিজিটিং সায়েন্টিস্ট ড. ইলই মারিজন বলেন, 'হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আগেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হয়। শেষ মুহূর্তে সচেতন হলেও খুব একটা লাভ হয় না।
bidita:
হতাশ মানুষকে: যা বলবেন, যা বলবেন না।
আমাদের আশে পাশে নানা কারণে অনেক মানুষ হতাশায় ভোগে। আসুন জেনে নেই তাদের সাথে কথা বলার সময় কি মাথায় রাখা উচিৎ।
১. পাশে থাকার কথা জানান।
যা বলবেন: তুমি একা নও, পাশে আছি।
যা বলবেন না: তোমার চেয়ে অনেকেই খারাপ অবস্থায় আছে।
২. তাকে জানান, সে আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
যা বলবেন: আমার কাছে তোমার গুরুত্ব অবশ্যই আছে।
যা বলবেন না: কেউ বলতে পারবেনা তাদের জীবনে সমস্যা নেই।
৩. তাকে সাহায্য করুন।
যা বলবেন: বুকে জড়াবো তোমায়?
যা বলবেন না: নিজের জন্য দুঃখ করা বন্ধ কর।
৪. হতাশা একটি কঠিন বাস্তবতা।
যা বলবেন: তুমি স্বাভাবিকই আছ।
যা বলবেন না: তুমি তো সব সময়ই হতাশ।
৫. আশার কথা শুনান।
যা বলবেন: খুঁজে দেখ এখনো অনেক পথ খোলা।
যা বলবেন না: হতাশ চেহারা নিয়ে ঘুরে বেড়িও না।
৬. হতাশা অতিক্রমের পথ দেখান।
যা বলবেন: যদি তোর ডাক শুনে কেই না আসে, তাবে একলা চল রে...
যা বলবেন না: তোমার নিজের দোষেই কিছু হয় না।
৭. তাকে বোঝান যে, আপনি তাকে বোঝেন।
যা বলবেন: তোমার কষ্টটা আমি অনুভব করতে পারছি না সত্যি, কিন্তু খুব ভাবে বুঝি কষ্টটা কোথায়।
যা বলবেন না: বিশ্বাস কর, আমি তোমার কষ্ট অনুভব করছি, আমারও একই সমস্যা হয়েছিল।
৮. আস্থা অর্জন করুন।
যা বলবেন: আমি তোমাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছি না।
যা বলবেন না: তোমার যন্ত্রণা আর নিতে পারছি না।
৯. তার প্রতি যত্নশীল হোন।
যা বলবেন: তোমাকে সত্যি ভালবাসি (যদি সত্যি তা হয়)
যা বলবেন না: তোমার নিজের কথা বলতে বলতে বিরক্তি আসেনি এখনো?
১০. এক সাথে অর্জন কারা উপায় দেখান।
যা বলবেন: তোমার আচরণ বা কথায় আমি কষ্ট পাই না।
যা বলবেন না: মাতাল হইছো?
bidita:
Facts about the Blood type diet
Please go through the link
http://positivemed.com/2012/12/04/the-facts-about-the-blood-type-diet/
Navigation
[0] Message Index
[#] Next page
Go to full version