মানুষ বাস্তবে যা চিন্তা করে, তা কখনও হুবহু কিংবা আংশিকভাবে অবচেতনমনে ধরা দেয়। মনোবিজ্ঞানী সিগমন্ড ফ্রয়েড স্বপ্নের ব্যাখ্যা দিয়েছেন এভাবে। আর কবি রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, স্বপ্ন মানে ‘হিং টিং ছট’। অর্থাৎ মানুষ ঘুমের ঘোরে স্বপ্নে যা দেখে, তার কোনো মানে হয় না এবং বাস্তব জীবনে এর কোনো ভূমিকা নেই। নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, একজন মানুষ তার শৈশব, কৈশোর ও যৌবনে টিভিতে যে রঙিন অনুষ্ঠান দেখে বড় হয়েছে, পরিণত বয়সে তার স্বপ্নও হয় রঙিন। আর যে ব্যক্তি তার শিশুকাল, শৈশব ও যৌবনে সাদা-কালো টিভি দেখে মানুষ হয়েছে, তার স্বপ্ন হয় রঙহীন। ‘লাইফ স্প্যান ডিফারেন্সেস ইন কালার ড্রিমিং’ শিরোনামের এই মনঃসমীক্ষা চালিয়েছে আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালে বিবিসি-২ চ্যানেল প্রথম নিয়মিত রঙিন টিভি প্রোগ্রাম প্রচার শুরু করেছিল। খবর দ্য মেইল অন লাইনের।
গবেষণায় দেখা গেছে, যারা সাদা-কালো টিভির যুগে বড় হয়েছেন এবং এখন যাদের বয়স কমবেশি ৬০, তারা রঙিন স্বপ্ন দেখেন না। আর এখন যাদের বয়স ২০ থেকে ৩০ কিংবা ৪০ ছুঁই ছুঁই করছে, তারা বড় হয়েছেন রঙিন টিভির যুগে। এদের শতকরা ৮০ জন রঙিন স্বপ্ন দেখেন।
গবেষণা প্রকল্পের জাপানি গবেষকরা বলেন, যারা এখন রঙিন স্বপ্ন দেখেন, তাদের মনোজগতে কাজ করছে টিভির রঙিন পর্দার বাহারি রঙের ছাপ, যে ছাপ ঘুমন্ত অবস্থায় তাদের অবচেতনমনে রঙিন স্বপ্ন হয়ে দেখা দেয়।
গবেষণায় বিভিন্ন দেশের এক হাজার ৩০০ মানুষের ওপর সমীক্ষা চালানো হয়েছে, যাদের বয়স ২০ থেকে ৩০-এর মধ্যে। মনঃসমীক্ষা চালানো হয়েছে দু’বার। প্রথম ১৯৯৩ এবং ১৬ বছর পর ২০০৯ সালে। মজার ব্যাপার হলো, এ দু’বারই গবেষণার ফল মোটামুটি একই রকম হয়েছে।
সূত্রঃ:দেহ:: জীবনের ঠিকানা।