Needs at least 8 hours of sleep daily

Author Topic: Needs at least 8 hours of sleep daily  (Read 1079 times)

Offline ariful892

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 678
  • Focuse on implementation and result...
    • View Profile
Needs at least 8 hours of sleep daily
« on: November 23, 2013, 09:41:11 AM »
সারাদিন বিভিন্ন কাজ করে ক্লান্ত শরীরটা বিছানায় এলিয়ে দিতে তো সবাই ভালোবাসে। নিশ্চিন্ত মনে ঘুমিয়ে যাওয়ার মত শান্তি এই পৃথিবীতে যেন আর কিছুতেই পাওয়া যায় না। পৃথিবীর সকল প্রানীর জন্যই ঘুম প্রয়োজন। ঘুম হচ্ছে বিশ্রামের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। ঘুমানোর সময় মানুষ সচেতন থেকে অবচেতন অবস্থায় চলে যায়। বয়স অনুযায়ী ঘুমের প্রয়োজনীয়তার তারতম্য আছে। প্রতিদিন নবজাতকদের ১৬ ঘন্টা, ৩ থেকে ১২ বছর বয়সীদের ১২ ঘন্টা, ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের ১০ ঘন্টা, ১৯ থেকে ৫৫ বছর বয়সীদের ৮ ঘন্টা, এবং ৬৫ বছরের উপরে ৭ ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন।

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে

জেগে থাকা অবস্থায় আমরা যা শিখি সেটাকে ভালো করে মনে রাখার জন্য প্রয়োজন ঘুম। NYU Langone Medical Center এর অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ডঃ র্যাখপোপোর্টের মতে যে কোনও কিছু শেখার জন্য একাধিক বার সেটা চর্চা করা দরকার। সেই চর্চা করার পরিস্থিতিটাই ঘটে ঘুমানোর সময়। সহজ কথায় বলতে গেলে বলা যায় যে আপনি যদি নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করে থাকেন তাহলে নিয়মিত পরিমিত ঘুমানোর চেষ্টা করুন। তাহলে নতুন শেখা বিষয় গুলো সহজেই মনে থাকবে।
দীর্ঘ জীবন

অতিরিক্ত ঘুম কিংবা ঘুমের স্বল্পতা আয়ু কমিয়ে দেয়। ৫০ থেকে ৭৯ বছর বয়সী নারীদের উপর করা ২০১০ সালের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে যারা ৫ ঘন্টার কম ঘুমাতো তাদের মৃত্যুহার অন্যদের তুলনায় বেশি। পরিমিত ঘুম হলে বিভিন্ন অসুখ বিসুখের থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ফলে সুস্থ জীবন যাপন করা যায় এবং গড় আয়ু বৃদ্ধি পায়।

সৃজনশীলতা

ঘুম কম হলে মস্তিষ্ক সহজে কাজ করে না। ফলে মানুষের সৃজনশীলতা কমে যায়। পরিমিত ঘুম হলে মস্তিষ্ক সচল থাকে এবং নতুন নতুন চিন্তা ও বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে সৃজনশীলতা বাড়ানো যায়। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও বোস্টন কলেজের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে গবেষণায় অংশগ্রহণকারী যাদের ঘুম কম হয়েছে তাদের সৃজনশীলতা অন্যদের তুলনায় কম। যারা পরিমিত ঘুমিয়েছে তাদের সৃজনশীলতা বেশি ছিলো গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী।

পরীক্ষায় ভালো ফলাফল

'স্লিপ’ জার্নালের ২০১০ সালের জরিপ অনুসারে ১০ থেকে ১৬ বছর বয়সী যেসব শিশুর পরিমিত ঘুম হয় না তাঁরা পড়াশোনার ক্ষেত্রে মনোযোগের অভাবে ভোগে। এছাড়াও তাদের পরীক্ষার ফলাফল অন্যদের তুলনায় খারাপ হয়। আরেকটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে কলেজ ও বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও বিষয়টি একই। যাদের ঘুম পর্যাপ্ত পরিমাণে হয় না তাঁরা পরীক্ষাতেও অন্যদের তুলনায় খারাপ ফলাফল করে।

ওজন নিয়ন্ত্রনে থাকে

যারা ওজনাধিক্যে ভুগছেন তাদের এই সমস্যার জন্য একটি ভালো সমাধান হলো পরিমিত ঘুম। ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগোর গবেষকরা একটি গবেষণায় দেখেছেন যে ওজন কমানোর জন্য যারা ডায়েট করছে তাদের মধ্যে যারা পরিমিত ঘুমাতো তাঁরা বেশ সহজে ও দ্রুত ওজন কমিয়ে ফেলতে পেরেছে অন্যদের তুলনায়। গবেষকদের মতে না ঘুমালে বেশি ক্ষুধা লাগে। অধিক ক্যালরী গ্রহনের ফলে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে প্রতিদিন পরিমিত ঘুম প্রয়োজন।
.............................
Md. Ariful Islam (Arif)
Administrative Officer, Daffodil International University (DIU)
E-mail: ariful@daffodilvarsity.edu.bd , ariful@daffodil.com.bd , ariful333@gmail.com