কালকেই তো এক্জাম৷ আজকে কী করা যায়? এটা তো আপনিই ঠিক করবেন৷ আমার মতো ক’রে আমি কিছু লিখলাম৷ যতটুকু ভালো লাগে, ততটুকুই নেবেন৷ বাকীটা, শিফট্+ডিলিট৷
দীর্ঘ শ্বাস নিতে নিতে চমৎকার কিছু কল্পনায় আনলে নাকি টেনশন কমে৷ কী জানি! আমি দেখেছি, টেনশন কমানো নিয়ে ভাবলেই বরং টেনশন বাড়তে থাকে৷ পরীক্ষার আগের দিন টেনশন করাও তো একটা সাধারণ ভদ্রতা৷ ওটা না হয় একটু থাকলোই! ওকে পাত্তা কম দিন৷
পুরোনো সাফল্যের কথা ভাবতে পারেন৷ মা-বাবা’র মুখের হাসি মনে ক’রে আপনার চোখ দু’টোই না হয় একটু হেসে নিক৷
উল্টা-পাল্টা ভাবতে ভালো লাগলে ওটাই ভাবুন৷ ইফ ইউ আর গোয়িং থ্রু হেল, কিপ গোয়িং---আমি এই মন্ত্রে বিশ্বাসী (তবে, একটু ভিন্নদৃষ্টিতে)৷ যা ইচ্ছে তা-ই ভাবতে থাকুন, ভাবনা বাধা পেলে দুর্ভাবনাই বাড়ে৷
আজকের জন্যে পড়াশোনা শিকেয় তুলে রাখুন৷ যতই পড়বেন, ততই মনে হবে, এটার উত্তর কালকে মনে থাকবে তো? একটা ফ্যাক্ট শেয়ার করি৷ কিছু কঠিন প্রশ্ন থাকে যেগুলো বার বার পড়লেও মনে থাকে না৷ সেগুলো মনে রাখার চেষ্টা বাদ দিন৷ কারণ এই ধরণের একটি প্রশ্ন আরো কয়েকটি সহজ প্রশ্নকে মাথা থেকে বের করে দেয়৷ জাস্ট সে নো টু দেম৷
আপনি কী জানেন, তার চেয়ে বেশি ইমপর্টেন্ট হলো আপনি যা জানেন তা কতটা কাজে লাগাতে পারছেন৷
ব্লাইন্ড গ্যেসিং করতে যাবেন না, তবে কিছুটা ইন্টেলেকচুয়াল গ্যেসিং করলে কোনো দোষ নেই৷
যা হবার তা হবেই। শেষ হাসিটা হাসার চেষ্টা করুন৷ সাফল্য কখনোই ডিজার্ভ করা যায় না, তাকে আর্ন করতে হয়৷
পরীক্ষার প্রয়োজনীয় জিনিস-পত্র গুছিয়ে নিয়ে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ুন৷ মাথা ঠিক রাখার জন্যে দারুণ একটা ঘুম অনেক হেল্প করে৷ প্রিপারেশন থেকে প্রিপেয়ার্ডনেস এখানে বেশি জরুরী৷ মাথায় রাখুন, অনলি ইওর রেজাল্টস্ আর রিওয়ার্ডেড, নট ইওর এফর্টস্৷
কাল সকালেও কিছু পড়ার প্রয়োজন নেই৷ টেনশন ফ্রি থাকুন৷ বাবা-মা’র দোয়া আপনার সাথে আছে৷ আত্মবিশ্বাস রাখুন৷
রাস্তায় জ্যাম্ থাকতে পারে, তাই হাতে যথেষ্ট সময় নিয়ে বাসা থেকে রওয়ানা হয়ে পড়ুন৷ তাড়াহুড়ো করবেন না৷ এই তো! আর কী!
গুড্ লাক্ !