মেদহীন সুন্দর পেট সবারই কাম্য। সিক্স প্যাক অ্যাবস পাওয়া তেমন কঠিন কিছুই নয় যদি আপনি জানতে পারেন কোন পদ্ধতি ব্যবহার করলে দ্রুত পেটের মেদ কমানো যায়। আসুন জেনে নিই কিছু পদ্ধতি যা আপনার পেটের মেদ দ্রুত কমাতে সাহায্য করবে।
হাঁটা এবং দৌড়ানো
মনে করতে পারেন হাঁটা বা দৌড়ানোর সাথে পেটের মেদের সম্পর্ক কি? মূল বিষয় হল মেদ। আপনার জেনেটিক্স নির্ধারণ করে আপনার শরীরের কোথায় মেদ জমবে। আর মেদ কমানোর জন্য হাঁটা বা দৌড়ানোর বিকল্প নেই। হাঁটলে এবং দৌড়ালে শরীরের মেদ কমে যায়। সাথে পেটের মেদ ও কমে আসে।
এলিপ্টিকাল ট্রেইনার
যাদের দৌড়ানোর জন্য পর্যাপ্ত জায়গার অভাব তারা একটি এলিপ্টিকাল ট্রেইনার যন্ত্রটি কিনে নিতে পারেন। এই যন্ত্রটি অত্যন্ত কার্যকরী। ১৪০ পাউন্ড ওজনের যে কেউ মাত্র ৩০ মিনিট ব্যবহার করলে ৩০০ ক্যালোরি ক্ষয় করতে পারেন।
বাই-সাইক্লিং
পেটের মেদ কমানোর ক্ষেত্রে বাই-সাইক্লিং এর জুড়ি নেই। একজন সাধারন মানুষ মাত্র ৩০ মিনিট সাইক্লিং করলে ২০০-২৫০ ক্যালোরি পর্যন্ত ক্ষয় করতে পারেন। বাই-সাইক্লিং পেটের মেদ কমিয়ে পেশীকে সুগঠিত করে।
বাই-সাইক্লিং এক্সারসাইজ
সময়ের অভাবে অনেকেরই হয়তো বাই-সাইকেল নিয়ে বের হওয়া হয়ে উঠে না। কিংবা আমাদের দেশের পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে সম্ভব হয়ে ওঠে না। এমন অবস্থায় করতে পারেন বাই-সাইক্লিং এক্সারসাইজ! গবেষণায় দেখা গেছে পেটের মেদ কমাতে প্রথমেই এই ব্যায়ামটি করা হয়, এবং কাজ হয় খুব অল্প সময়েই। নিজের বিছানায় শুয়ে প্রতিদিন অল্প কিছু সময় এই ব্যায়াম করলেই আপনার পেট থাকবে চমৎকার মেদহীন। আসুন, জেনে নেই পদ্ধতি।
•প্রথমে সমান জায়গায় সোজা হয়ে মাথার পিছনে হাত দিয়ে শুয়ে পরুন।
•এরপর পা ভাঁজ করে হাঁটু বুকের দিকে আনুন এবং একই সাথে কাঁধ সহ মাথা উপরে তুলুন।
•ডান কুনুই বাম হাঁটুর কাছাকাছি আনুন এবং ডান পা সোজা করে দিন।
•এরপর বাম কুনুই ডান হাঁটুর কাছাকাছি আনুন এবং বাম পা সোজা করে দিন।
•এই দুটি ধাপ বিরতিবিহীন ভাবে করে সাইকেল এ প্যাডেল মারার মত শরীর নাড়াতে থাকুন।
প্রথম প্রথম আপনি যেটুকু করতে পারেন, সেটুকু সময়েই করুন এই ব্যায়াম। আস্তে আস্তে সময় বাড়ান। এক টানা করতে না পারলে বিরতি দিয়ে দিয়ে দিনে কয়েকবার করে করুন।
পেটের মেদ কমাতে অনেক বেশি পরিমাণে ক্যালোরি ক্ষয় করতে হয়। নিয়মিত ব্যায়াম শরীরকে যেমন সুগঠিত করে তেমনি শরীরকে সুস্থও রাখে। ব্যায়ামের পাশাপাশি সুষম খাবার তালিকাও পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে।