
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
বেগুনে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে। এছাড়াও বেগুনে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ খুবই কম। তাই বেগুন রক্তের চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। বিশেষ করে যারা টাইপ ২ ডায়াবেটিসে ভুগছেন তাদের জন্য বেগুন খুবই উপকারী। তাই ডায়াবেটিসের সমস্যা আছে যাদের তারা নিয়মিত বেগুন খাওয়ার অভ্যাস করুন।
হৃৎপিণ্ডের জন্য ভালো
বেগুনে কোলেস্টেরল নেই বলকেই চলে। তাই যারা কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য বেগুন একটি আদর্শ খাবার। এছাড়াও বেগুন উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে বলে হৃৎপিণ্ড ভালো রাখার জন্য বেগুন অত্যন্ত উপকারী একটি সবজি।
মস্তিষ্কের জন্য উপকারী
বেগুনে আছে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট উপাদান। ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট মস্তিষ্কের কোষগুলোকে ভালো রাখে এবং মস্তিষ্কের মাধ্যমে তথ্য সরবরাহ প্রক্রিয়া সচল ও স্বাভাবিক রাখে। ফলে নিয়মিত বেগুন খেতে স্মৃতিশক্তি ভালো থাকে এবং মস্তিষ্ক সচল থাকে।
প্রচুর আয়রন আছে
শরীরের স্বাভাবিক কার্যাবলী বজায় রাখার জন্য সবারই আয়রন প্রয়োজন। বেগুনে আছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। আর আয়রনের উপস্থিতির কারণেই বেগুন কেটে রাখলে কালচে হয়ে যায়। বেগুনে আছে নাসুনিন নামের একটি উপাদান যা শরীরের আয়রনের পরিমাণ স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে। ফলে আয়রনের স্বল্পতা অথবা আধিক্য কোনোটাই হয় না। যারা রক্তশূন্যতায় ভুগছেন তারা নিয়মিত বেগুন খেলে উপকার পাবেন।
ওজন কমাতে সহায়ক
বেগুনে প্রচুর পরিমাণে পানি আছে এবং থাকে খুবই সামান্য ক্যালোরি। যারা ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছেন তারা খাবার তালিকায় বেগুন রাখুন। রান্না করে অথবা ভর্তা করে যে কোনো ভাবেই খেতে পারেন বেগুন। চাইলে সেদ্ধ কিংবা বার-বি-কিউ করেও এর স্বাদে নিয়ে আসতে পারেন বৈচিত্র্য।