বিমানের শব্দের সঙ্গে হৃদরোগের সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন যুক্তরাজ্যের গবেষকরা।
তারা বলছেন, বিমানের শব্দ বেশি শোনা যায় এমন এলাকার অধিবাসীদের স্ট্রোকসহ হৃদরোগ ও রক্তসংবহনতন্ত্রের রোগাক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
হিথ্রো বিমানবন্দরের কাছে ৩৬ লাখ অধিবাসীর ওপর গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে, যে জায়গাগুলোতে বিমানের শব্দদূষণ সবচেয়ে বেশি সেসব জায়গায় হৃদরোগের ঝুঁকি ১০ থেকে ২০ শতাংশ বেশি।
লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের গবেষকদলের এ গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে।
দেখা গেছে, বিমানের শব্দপ্রবণ এলাকাগুলোতে বসবাসরত প্রায় ৭০ হাজার মানুষের ক্ষেত্রেই স্ট্রোক, হৃদরোগ এবং রক্তসংবহনতন্ত্রের রোগাক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া অথবা মারা যাওয়ার ঝুঁকি বেশি।
কিন্তু কেবলমাত্র শব্দই এ স্বাস্থ্যহানির একমাত্র কারণ কিনা গবেষণায় তা সঠিকভাবে প্রমাণ করা যায়নি বলে জানান গবেষক দলের প্রধান ড: আন্না হ্যানসেল।
তবে শব্দের কারণে স্বাস্থ্যে এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়া, যেমন রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া এবং মানুষের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটা সম্ভব, বলেন তিনি।
উচ্চমাত্রার শব্দের ক্ষেত্রে মানুষের দেহে ‘বিস্ময়কর প্রতিক্রিয়া’ দেখা দিতে পারে উল্লেখ করে হ্যানসেল বলেন, হঠাৎ জোরে শব্দ শুনলে হৃদকম্পন এবং রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে।
সেক্ষেত্রে বিমানের শব্দ আরো বেশি বিরক্তি উদ্রেককর হয়ে দাঁড়াতে পারে এবং এর প্রভাব পড়তে পারে রক্তচাপে। আর এ থেকে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে মানুষ।
তবে এ সম্পর্কে আরো গবেষণা, বিশেষ করে রাতে এবং দিনে বিমানের শব্দের সঙ্গে স্বাস্থ্য ঝুঁকির তারতম্য আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।