গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৯ এর (১) চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার নিশ্চয়তাদান করা হইল।
(২) রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, বিদেশী রাষ্ট্রসমূহের সহিত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, জনশৃঙ্খলা, শালীনতা ও নৈতিকতার স্বার্থে কিংবা আদালত-অবমাননা, মানহানি বা অপরাধ সংঘটনে প্ররোচনা সম্পর্কে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধা-নিষেধ সাপেক্ষে
(ক) প্রত্যেক নাগরিকের বাক্ ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারের, এবং
(খ) সংবাদ ক্ষেত্রের স্বাধীনতার, নিশ্চয়তা দান করা হইল।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬ এর ধারা ৫৭
(১) কোন ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েব সাইটে বা অন্য কোন ইলেক্ট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যাহা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেহ পড়িলে, দেখিলে বা শুনিলে নীতিভ্রষ্ট বা অসত্ হইতে উদ্বুদ্ধ হইতে পারেন অথবা যাহার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করিতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উস্কানী প্রদান করা হয়, তাহা হইলে তাহার এই কার্য হইবে একটি অপরাধ৷
(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন অপরাধ করিলে তিনি অনধিক দশ বত্সর কারাদণ্ডে এবং অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
আইন এবং সংবিধান উভয় থেকে আমরা যে যে গ্রাউন্ডগুলো খুজে পাচ্ছি, , সেইগুলো ছাড়া একজন ব্যক্তি তার বাক-স্বাধীনতা চর্চা করতে পারে। গ্রাউন্ডগুলো নিম্নরূপঃ
1. রাষ্ট্রের নিরাপত্তা প্রতি হুমকি
2. বিদেশী রাষ্ট্রসমূহের সহিত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ব্যাহত
3. জনশৃঙ্খলা/আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার সম্ভাবনা
4. নৈতিকতার প্রতিকূলে
5. আদালত-অবমাননা,
6. মানহানি
7. অপরাধ সংঘটনে প্ররোচনা
8. মিথ্যা ও অশ্লীল
9. ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করিতে পারে
আইন এবং সংবিধান উভয় থেকে আমরা বাক-স্বাধীনতা পেয়েছি, কিন্তু অমান্য করার শাস্তিও উল্লেখ্য। অতএব, অনলাইন কিংবা অফলাইনে যেখানেই কথা বলেন সাবধানে বলবেন। এমন কিছু বলবেন না, যার জন্য আপনার দশ বৎসর কারাদণ্ড হয় কিংবা এক কোটি টাকা গচ্ছা যায়। সাধু-সাবধান।