উপকরণ: আধা ভাঙা গম ১ কাপ, আদা বাটা ২ টেবিল চামচ, পোলাওয়ের চাল ২ কাপ, রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, নানা রকম ডাল মেশানো ১ কাপ, হলুদের গুঁড়া দেড় চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, রসুন কুচি ২ টেবিল চামচ, তেজপাতা, দারুচিনি ও এলাচি ৪টি করে, আস্ত জিরা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ৫-৬টি, ডিম ৬টি, সয়াবিন তেল আধা কাপ, পেঁয়াজ মিহি কুচি ৩ টেবিল চামচ, কলাপাতা প্রয়োজনমতো, ধনেপাতা ২ টেবিল চামচ, জলপাইয়ের টক-মিষ্টি আচার স্বাদমতো, কাঁচা মরিচ কুচি ১ টেবিল চামচ, তেল ১ কাপ, ছোট আলু ১ কাপ।
প্রণালি: পেঁয়াজ মিহি কুচি, ধনেপাতা কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি, এক চিমটি হলুদ ও পরিমাণমতো লবণ দিয়ে ডিম ফেটে রাখতে হবে। কলাপাতা দিয়ে খিলি বানিয়ে টুথপিক দিয়ে আটকে নিতে হবে। ৫-৬টি খিলি করতে হবে। গম ভিজিয়ে সামান্য লবণ দিয়ে আধা সেদ্ধ করে নিতে হবে। চাল ও ডাল ১০ মিনিট ভিজিয়ে পানি ঝরাতে হবে। আলুগুলো সেদ্ধ করে ছিলে নিয়ে সামান্য তেল ও লবণ দিয়ে ভেজে নিতে হবে। পাত্রে তেল দিয়ে গরম মসলা তেজপাতার ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ ও রসুন কুচি একটু ভেজে আদা, রসুন বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে কষাতে হবে। মসলায় সুন্দর ঘ্রাণ বের হলে চাল, ডাল ও গমের দ্বিগুণ পানি দিতে হবে। ফুটে উঠলে ভেজানো চাল, ডাল ও গম দিতে হবে। একটু পর ভালোভাবে নেড়ে গরম গরম অর্ধেক খিচুড়ি তুলে নিতে হবে। এবার বাকি খিচুড়ির ওপর জলপাইয়ের আচার ছড়িয়ে দিয়ে তার ওপর কিছু খিচুড়ি দিতে হবে। এভাবে দুই স্তরে জলপাইয়ের আচার দিতে হবে। এবার ওই খিচুড়ির ওপরে চামচ দিয়ে হালকা করে কলাপাতার খিলিগুলো বসিয়ে ওই খিলিতে ডিমের মিশ্রণ সমপরিমাণ ঢেলে দিতে হবে। সামান্য আচারের তেল দিতে হবে। একটি বড় পাতা দিয়ে খিলিগুলোর ওপর বাকি খিচুড়ি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। ওপরে আরও একবার জলপাইয়ের আচারসহ তেল ছড়িয়ে দিয়ে অল্প আঁচে ১৫ মিনিট দমে রাখতে হবে। এবার প্রয়োজনের সময় পরিবেশন করা যাবে।