গাড়ির শব্দ, হকারের চিৎকার, রিকশার টুংটাং আর পথচলতি মানুষের কোলাহল থেকে এক নিমেষেই মুক্তি। লিফটে চেপে সোজা চলে আসুন সাততলার সেভেন হিল রেস্তোরাঁয়। ঢাকার বাংলামোটরের কাছেই এর অবস্থান (৯৮ সোনারগাঁ রোড)। মজাদার সব খাবারের সঙ্গে বাড়তি পাওনা পাখির চোখে শহর দেখার সুযোগ।
সাততলার মূল রেস্তোরাঁর তিন পাশে কাচের দেয়াল। নিচে তাকালে দেখা যাবে নগরের রাস্তায়জীবনের ব্যস্ততা। আয়েশ করে ফলের রসের গ্লাসে চুমুক দিতে দিতে ভুলেই যাবেন আপনিও এই কোলাহলেরই অংশ।
এবার ভেতরে চোখ রাখা যাক। মেঝেতে ছড়িয়ে থাকা সাদা পাথরের কুচিতে নীল আলোর আভা, কোনায় কোনায় একটু সবুজ আর দেয়ালে ঝোলানো নানা শিল্পকর্ম নজর কাড়বে।
সাত বন্লর উদ্যোগে যাত্রা শুরু এর। তাই নামকরণে সাত বন্ধুর ছায়া, সেভেন হিল। এখন অবশ্য ছয়জন মিলে এটি পরিচালনা করছেন।
রেস্তরাঁর তিনটি ভাগ
পার্টি, লাউঞ্জ ও রুফটপ ক্যাফেটেরিয়া—তিনটি ভাগেই সেভেন হিলের আলাদা খাবার তালিকা। সপ্তাহের নির্দিষ্ট দুই দিনে চলে বারবিকিউ আর গানের আসর।
ভারতীয়, কন্টিনেন্টাল আর থাই খাবারের সঙ্গে আছে বাংলা খাবার আর হরেক রকম ভর্তার আয়োজনও। বুফের ব্যবস্থাও আছে। বুফের খরচ পড়বে ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা। এ ছাড়া ফিশ কেক ৩২০ টাকা, চিকেন ক্যাশুনাট সালাদ ২৮০ টাকা, সামুদ্রিক খাবারের সালাদ ৪০০ টাকা। নানা স্বাদের স্যুপ পাওয়া যাবে ৩৬০ থেকে ৪০০ টাকায়। স্মোকড চিকেন স্যান্ডউইচ ২০০ টাকা, চিকেন ললিলপ ৩০০ টাকা, কালামারি ফ্রাই ৩০০ টাকা, শিশ তাউক ২৫০ টাকা, ফিশ কাবাব ২৫০ টাকা।
পানীয়র মধ্যে লাইম সোডা ১০০ টাকা, নানা রকম ফলের রস ১৫০ টাকা, জিরা পানি ১৫০ টাকা। চা-কফিও আছে। খাওয়া শেষ মিষ্টিমুখের জন্য আছে ক্রিম ক্যারামেল। আর বাংলা সেট মেনু লাঞ্চ বক্স পাওয়া যাবে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়।