ঘামাচি খুব সাধারণ একটি সমস্যা। অতিরিক্ত গরমে ঘামাচি দেখা দেয়। মূলত ঘামাচি হল এক ধরনের চর্মরোগ। দেহের লোমকূপ যখন ময়লা ও ব্যাকটেরিয়ার জন্য আটকে যায়, তখন ঘাম বের হতে না পেরে সেখানে আটকে থাকে। যা থেকে ঘামাচির উৎপত্তি। লাল র্যাশের সাথে চুলকানি হয়। বাজারে নানা রকম ঘামাচি প্রতিরোধক পাউডার পাওয়া যায়। সাধারণত ঘামাচি রোধে এই পাউডার ব্যবহার করা হয়। তবে পাউডার ব্যবহারে ঘামাচি সাময়িকভাবে দূর হয়। স্থায়ীভাবে এর হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ঘরোয়া কিছু উপায় রয়েছে।
১। চন্দনের গুঁড়ো সমপরিমাণ চন্দনের গুঁড়ো এবং গোলাপ জল একসাথে মিশিয়ে নিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এই পেস্টটি ঘামাচির স্থানে লাগান। শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করুন। এছাড়া দুই টেবিল চামচ চন্দনের গুঁড়ো এবং ধনিয়া গুঁড়ো একসাথে মিশিয়ে নিন। এই প্যাকটি ত্বকে লাগান। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করুন।
২। আলুর রস একটি মাঝারি আকৃতির আলু কুচি করে রস বের করে নিন। এই রস ত্বকে ঘষে ঘষে লাগান। কিংবা আলু কেটে সরাসরি ত্বকে লাগাতে পারেন। এটি ঘামাচি দূর করার সাথে সাথে এর দাগও দূর করে দেবে।
৩। বেকিং সোডা এক চা চামচ বেকিং সোডা এক কাপ ঠান্ডা পানিতে মিশিয়ে নিন। একটি কাপড় মিশ্রণে ভিজিয়ে নিন। ঠান্ডা ভেজা কাপড়টি ত্বকে লাগান ৫ থেকে ১০ মিনিট। এই কাজটি দিনে চার থেকে পাঁচবার করুন।
৪। অ্যালোভেরা জেল অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি সেপটিক উপাদান সমৃদ্ধ অ্যালোভেরা জেল ত্বকের নানা সমস্যা দূর করতে বেশ কার্যকর। অ্যালোভেরা পাতা থেকে জেল বের করে নিন। এটি সরাসরি ঘামাচির স্থানে ব্যবহার করুন। এটি ঘামাচি দূর করে ত্বকের জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করবে।
৫। মুলতানি মাটি পাঁচ টেবিল চামচ মুলতানি মাটির সাথে দুই তিন টেবিল চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। এই পেস্টটি ত্বকে লাগান। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন।
৬। বেসন বেসন ত্বকের মৃত চামড়া দূর করে থাকে। দুই বা তিন টেবিল চামচ বেসনের সাথে অল্প পরিমাণ পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এই পেস্টটি ত্বকে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন।