Health Tips > Diabetics
ডায়াবেটিস ও হৃদরোগে মৃত্যুর পেছনে মূল ভূমিকা চিনির
(1/1)
Alamgir240:
মানবদেহের স্থূলতা, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগে মৃত্যুঝুঁকি তৈরিতে চিনি দায়ী। আর ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত এই চিনির প্রভাব নাকি তামাকের মতই ক্ষতিকর।
এমনটিই জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের ইউনির্ভাসিটি অব লিভারপুলের গবেষক সায়মন ক্যাপওয়েল। চিনিকে তিনি ‘নতুন তামাক’ হিসেবেও আখ্যা দিয়েছেন।
চিনির ক্ষতিকারক প্রভাব মানুষের স্থূলতা, বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি ও মৃত্যুর হার বৃদ্ধির পেছনে দায়ী। এজন্য খাদ্যপণ্যে চিনির পরিমাণ শতকরা ৩০ শতাংশ কমিয়ে আনার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
গবেষণার এই ফলাফল পাবার পর বিশ্বের খাদ্যপণ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্যে চিনির পরিমাণ কমিয়ে আনবে বলে আশা করছেন সায়মন।
পরীক্ষায় দেখা গেছে, জিরো ফ্যাট ইয়োগার্ট (দই) ক্যানে পাঁচ চা-চামচ চিনি রয়েছে। হেইনজ টমেটো স্যুপে রয়েছে চার চা-চামচ চিনি। স্টারবাকস ক্যারামেল ফাপ্পুচিনোতে রয়েছে ১১ চা-চামচ ও মার্স চকলেট বারে রয়েছে আট চা-চামচ চিনি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানায়, একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১০ চা-চামচ চিনি গ্রহণ করতে পারেন, এর বেশি নয়।
অনেক নষ্টের মূলে চিনি
এ বিষয়ে হু জানায়, বিশ্বব্যাপী স্থূলতা, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগে মৃত্যুর পেছনে মূল ভূমিকা চিনির।
উলফসন ইন্সটিটিউট অব প্রিভেনটিভ মেডিসিনের গবেষক গ্রাহাম ম্যাকগ্রেগর বলেন, এখনই বিশ্বব্যাপী চিনির ক্ষতিকর দিক নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।
এ বিষয়ে চিকিৎসক অসীম বলেন, স্থূলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি চিনি টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগের সংক্রমণে ভূমিকা রাখে।
এক জরিপে দেখা যায়, স্থূলতা ও ডায়াবেটিস সংক্রান্ত রোগে শুধুমাত্র যুক্তরাজ্যের নাগরিকরা প্রতিবছর পাঁচশ’ কোটি পাউন্ড ব্যয় করে থাকেন।
চা কিংবা সুস্বাদু কোনো খাবার তৈরির ক্ষেত্রে চিনির জুড়ি নেই। মিষ্টি জাতীয় খাবার ও শিশুখাদ্য থেকে শুরু করে সব ধরনের খাবারে চিনির ব্যাবহার ব্যাপক। অথচ সেই চিনিই কিনা মানবদেহে গভীর ক্ষত সৃষ্টিতে অগ্রগামী।
collected
Navigation
[0] Message Index
Go to full version