Faculties and Departments > Business & Entrepreneurship

অতঃপর ?

(1/1)

Mohammad Salek Parvez:
বাংলাদেশ নিয়ে আমরা সকলে কম-বেশ আশাবাদী । কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনীতিক অবস্থা কি আশার কথা বলে ? যেমন
১।      বাংলাদেশের এখন প্রধান রফতানি খাত হচ্ছে জনশক্তি ও গার্মেন্ট খাত।  বাংলাদেশের জনশক্তি রফতানির প্রধান বাজার সৌদি আরব।জনশক্তি রফতানির মাধ্যমে বাংলাদেশ আয় করে এক হাজার ৪০০ কোটি ডলার, যার ৩৫ শতাংশ আসে শুধু সৌদি আরব থেকে।  অথচ সেখানে জনশক্তি রফতানি এখন আর খুব সহজ নেই।
 দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত। এক্সপো ফেয়ার ২০২০-এর ভেনু নির্ধারণে বাংলাদেশ দুবাইকে ভোট না দিয়ে রাশিয়াকে ভোট দেয়ার কারণে সংযুক্ত আরব আমিরাত সে দেশে বাংলাদেশী জনশক্তি গ্রহণ বন্ধ করে দিয়েছে। দুবাই বাংলাদেশীদের টুরিস্ট ও ট্রানজিট ভিসা বন্ধ করে দিয়েছে। অধিকন্তু বিদেশ থেকে ফিরে আসছে হাজার হাজার শ্রমিক।
২।     যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রধান বাণিজ্য-সহযোগী।  গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রফতানি ছিল ৫০৩ কোটি মার্কিন ডলারের। আর যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরকার আমদানি করেছিল ৬৬ কোটি ৫০ লাখ ডলারের পণ্য। কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্সের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার আয় ২০০ কোটি ডলারেরও বেশি ছিল । অথচ ওরা এখন  এটা - ওটা  শর্ত দিচ্ছে যাতে বাংলাদেশ থেকে আমদানি কমাতে পারে ।
৩।     ২০০৮ সালের পরে ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাংলাদেশের রফতানি বেড়েছিল ৬৯ শতাংশ। ২০১৩ সালে সেখানে রফতানি হয়েছিল ৯২১ কোটি ইউরোর পণ্য। বাংলাদেশের মোট বাণিজ্যের ১২ শতাংশ হয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে।  রাশিয়ার সাথে আমাদের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এখনো অনেক নিম্ন পর্যায়ের। ২০১৩ তার পরিমাণ ছিল ৭০ কোটি ডলার।কিন্তু  ইউরোপীয় ইউনিয়ন  এখন বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।দুই হাজার ২০০ কোটি ডলারের গার্মেন্ট রফতানি খাত এখন কঠিন সঙ্কটে।  এ বাজার দখল করছে ভারত।
৪।      বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় কমছে। কৃষিেেত্র উৎপাদন কমেছে ২.২ শতাংশ। অর্ধেক কৃষিশ্রমিক বেকার। সেবা খাতে প্রবৃদ্ধি কমেছে ৬.১ শতাংশ।
৫।     বর্তমানে দেশে বিনিয়োগ ধরতে গেলে নেই। তাই কর্মসংস্থানের পথও রুদ্ধ। বিদেশী বিনিয়োগও দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। এর পরিণতি ভয়াবহ হতে বাধ্য।
৬।     অন্যদিকে  বাংলাদেশে ভারতীয় রফতানি ২০১৩ সালে ৬০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে। অবৈধ পথে প্রায় একই সমান পণ্য আমদানি হয়। সে েেত্র ভারতে বাংলাদেশ রফতানি করতে পেরেছে ৬০ কোটি ডলারের পণ্য।
       
        অতএব আমি যদি চোখে কেবল সর্ষে ফুল দেখি, তবে কি খুব একটা দোষ দেয়া যায় ?

mostafiz.eee:
”কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনীতিক অবস্থা কি আশার কথা বলে?”
বাংলাদেশের অর্থনীতিক অবস্হা কখনোই আশার কথা বলবে না। কারণ এদেশে যে বৈষম্য চলে মানুষের মধ্যে , এমন অবস্হা চললে কখনো বাংলাদেশের অর্থনীতি আশার কথা বলবে না। তবে বাংলাদেশের উচ্চবিত্তদের মনমানসিকতা পরিবর্তন হলে অর্থনীতি আবার আশার কথা শোনাতে পারে।
Md. Mostafizur Rahman
Lecturer,
Department of EEE,
Faculty of Engineering,
Daffodil International University.

hasanmahmud:
বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনীতিক অবস্থা কি আশার কথা বলে?
Hasan
Lecturer
SWE

Navigation

[0] Message Index

Go to full version