ধোঁয়াওঠা উষ্ণ চায়ের সুবাসে যেমন চনমনে চাঙা হন আপনি, পেয়ালায় এক চুমুকে চোখ বুঁজে যেমন হারিয়ে যান বহু দূর, তেমনি সবুজ চা পান সৌন্দর্যচর্চায় অনেকখানি এগিয়ে দিতে পারে আপনাকে।
অনেকেই বলেন, ত্বকের যত্ন সৌন্দর্যচর্চায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। লাবণ্যময় সতেজ ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী সবুজ চা। এজন্যই নানা প্রসাধন সামগ্রীতে ব্যবহূত হয় সবুজ চায়ের নির্যাস। কারণ, সবুজ চায়ে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসহ বেশ কিছু স্বাস্থ্যকর পুষ্টি উপাদান রয়েছে।
সবুজ চায়ের গুণাগুণের কয়েকটি দিক-
১. সূর্যালোকের অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাবে অল্প বয়সেই বুড়িয়ে যেতে পারে আপনার ত্বক। কিন্তু সবুজ চায়ের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্ষতিকর উপাদান রোধ করে ত্বককে বুড়িয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে।
২. সবুজ চা পান যেমন ত্বকের ভেতর থেকে সুরক্ষা দেবে, তেমনি রোদে পোড়া ত্বক স্বাভাবিক করতেও মাখা যেতে পারে সবুজ চা। এতে যেমন ত্বকের রোদ-পোড়া ভাব দূর হবে, তেমনি ত্বকও থাকবে সতেজ।
৩. সবুজ চায়ের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়েও রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ক্যানসারের ক্ষতিকারক এনজাইম ঠেকাতে সহায়তা করে চায়ের এ উপাদান।
৪. প্রকৃতির এই অনন্য উপহার মানবকোষের নবায়নের প্রক্রিয়ায় দারুণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম। পুরোনো কোষগুলোকে জৈবিকভাবে শক্তি জোগাতে পারে সবুজ চায়ের ‘পলিফেনল’ উপাদান। এভাবে অকালে বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করতেও সহায়তা করে সবুজ চা।
৫. ত্বকের প্রদাহ থেকে মুক্তি দিতেও বিরাট উপশমকারীর ভূমিকা নিতে পারে সবুজ চা। এ ছাড়া ত্বকের প্রদাহজনিত রোগের ক্ষতিকর প্রভাব ঠেকাতে সাহায্য করবে এই চা।
৬. ব্রণ ও ফুসকুড়ি ঠেকাতে খুবই উপকারে আসে সবুজ চায়ের ব্যাকটেরিয়ারোধক উপাদান ‘ক্যাটেচিন’। ত্বকের হরমোনের ওপর ক্রিয়া করে ব্রণ ও ফুসকুড়ি রোধে ভূমিকা রাখে এটা। সবুজ চা হালকা করে পানিতে ভিজিয়ে পুরো মুখে মাখিয়ে রাখলেও উপকার পাবেন আপনি।