Entertainment & Discussions > Fashion

চুলের শুষ্ক ও রুক্ষ ভাব দূরীকরণের ৭ টি সহজ উপায়

(1/2) > >>

sabrina:
আপনি যদি নিয়মিত চুলে ব্লো-ডাই, হেয়ার স্ট্রেটনার, রোলার ব্যবহার ও পার্ম করে থাকেন তাহলে আপনার চুল রুক্ষ হতে বাধ্য। তবে এসব ছাড়াও সঠিক পরিচর্যার অভাবে চুলে রুক্ষভাব আসতে পারে।

নিয়মিত চুলের পরিচর্যা করতে থাকলে উজ্জ্বল ও সিল্কি চুল পেতে বেশি সময় লাগবে না আপনার। রুক্ষ ভাব দূর করতে চেলে যা করতে পারেন,
শ্যাম্পু নির্বাচনে সতর্ক হউনঃ

প্রতিদিন শ্যাম্পু করা চুলের রুক্ষভাবের জন্য দায়ী। চুল পরিষ্কার রাখা অবশ্যই জরুরী তবে এর জন্য প্রতিদিন অথবা দিনে একের অধিকবার শ্যাম্পু করা ঠিক নয়। কারণ শ্যাম্পুতে এমন কিছু ক্লিনিং এজেন্ট থাকে যা চুলের উজ্জ্বলতা কমিয়ে দেয় ও চুলে তেলের স্বাভাবিক পরিমাণ কমিয়ে দেয় যা চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখে। তাই প্রতিদিন শ্যাম্পু না করে দুই দিন পর পর শ্যাম্পু করার অভ্যাস করুন । প্রত্যেকবার শ্যাম্পু দেয়ার পর কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। লক্ষ্য রাখবেন শ্যাম্পু যেন স্কাল্পে (চুলসমেত ত্বক) না লাগে।

শ্যাম্পু নির্বাচনে PH এর পরিমাণ লক্ষ্য করুন। শুষ্ক চুলের জন্য শ্যাম্পু তে PH এর পরিমাণ ৪.৫-৬.৭ থাকা উচিত। PH এর পরিমাণ শ্যাম্পুর বোতলের পিছনে দেয়া থাকে। অনেকে বেবি শ্যাম্পু ব্যবহার করে এটা ভেবে যে বেবি শ্যাম্পু চুলের জন্য ক্ষতিকর নয়। কিন্তু বেবি শ্যাম্পুতে PH এর পরিমাণ থাকে অত্যধিক যা শুষ্ক চুলের জন্য খুব ক্ষতিকর। কারণ বেবি শ্যাম্পু তে ক্ষারের পরিমাণ বেশি থাকে। যেসব শ্যাম্পু অম্লীয় সেসব শ্যাম্পু শুষ্ক চুলের জন্য খুব ভালো।

কন্ডিশনার নির্বাচনে সতর্ক হউনঃ
এমন কন্ডিশনার বাছাই করুন যাতে এলকোহল এর পরিমাণ অল্প বা শুন্য। এলকোহল যুক্ত কন্ডিশনার চুলের রুক্ষভাব বাড়িয়ে দেয়। আপনার প্রডাক্ট এ এলকোহল আছে নাকি জানার জন্য বোতলের পিছনের লেবেল পড়ে দেখুন। লেবেল পড়ে যদি বুঝতে না পারেন তাহলে কন্ডিশনার এর গন্ধ শুকেও বুঝতে পারবেন এতে এলকোহল এর পরিমাণ কেমন। যেসব কন্ডিশনার এর গন্ধ মৃদু সেগুলোতে এলকোহল কম থাকে।

চুল আঁচড়ানোর সময় সাবধান হউনঃ
শুষ্ক চুল খুব সাবধানে আঁচড়াতে হয়। কারণ শুষ্ক চুলে খুব সহজেই জট বেঁধে যায় এই কারণে আঁচড়াতে গেলে চুলের ডগা ফেঁটে যায় ও চুল পড়ে যায়। তাই চুল আস্তে আঁচড়াবেন ও স্নান করার পর চুল ভেজা থাকা অবস্থায় চুল আস্তে আঁচড়িয়ে জট খুলে নেবেন। প্রয়োজনে চুলে হেয়ার সিরাম ব্যবহার করবেন। লিভন ( Livon ) একটি কার্যকরী সিরাম। সময় পেলে চুলে বিলি কেটে নিবেন আঙ্গুল দিয়ে। এটি চুলের জন্য উপকারী। বিলি কাটলে চুলের তেলগ্রন্থি ভালো কাজ করে।

গরম তেল ব্যবহার করুনঃ
হেয়ার এক্সপার্টরা চুলের রুক্ষভাব দূরীকরনের জন্য হট-অয়েল ট্রিটমেন্ট এর কথা বলেন। হট-অয়েল ট্রিটমেন্ট চাইলে বাসায়ই করতে পারবেন। এর জন্য তেল হাল্কা গরম করে চুলে ১০ মিনিট লাগিয়ে রাখার পর তোয়ালে গরম পানি তে ভিজিয়ে মাথায় পেঁচিয়ে রাখুন ৫ মিনিট। এরপর চুল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

সঠিক চিরুনী নির্বাচন করুনঃ
চুল এমন চিরুনী দিয়ে আঁচড়াবেন যার ডগা নরম হবে। যেসব চিরুনীর ডগা একটু বাঁকানো সেগুলো চুল আঁচড়ানোর জন্য ভালো।

ভিনেগার ব্যবহার করুনঃ
ভিনেগার চুলের উজ্জ্বলতা বাঁড়াতে ও চুলের রুক্ষতা দূর করতে সাহায্য করে। এটি চুল ক্লিনসিং এর কাজ ও করে। চুল ধোয়ার সময় পানিতে কয়েক ফোঁটা ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এরপর সেই ভিনেগার মিশ্রিত পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। ভিনেগার খুশকি দূরীকরণেও সাহায্য করে। সপ্তাহে ৪ দিন ভিনেগার নিয়ে স্কাল্পে ১০ মিনিট মেসেজ করুন ও পরে শ্যাম্পু করে ফেলুন।

উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য ডিমের ব্যবহার করুনঃ
কুসুম গরম পানিতে ডিম ভালো মত ফাটিয়ে সেটি স্কাল্পে (চুল সহ) লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। এর পর কুসুম গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। ৩ টি ডিম, ২ টেবিল চামচ জলপাই তেল ( Olive Oil ), ১ চা চামচ ভিনেগার মিশিয়ে চুলে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এটি ডিপ কন্ডিশনিং এর কাজ করবে। ৩০ মিনিট পর চুলে শ্যাম্পু করুন।

 

R B Habib:
Thanks

Rozina Akter:
Effective sharing :)

sayma:
thank u very much for sharing, I will definitely follow all of them...

sabrina:
 :D

Navigation

[0] Message Index

[#] Next page

Go to full version