বিভিন্ন দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্যবহূত পাইরেটেড সফটওয়্যারে থাকা ম্যালওয়্যারের কারণে এ বছর পাঁচ হাজার কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতি হতে পারে।
সিঙ্গাপুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় (এনএসইউ) ও বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইডিসির গবেষকেরা সম্প্রতি পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহারে ঝুঁকির এই তথ্য জানিয়েছেন। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে পিটিআই।
‘দ্য লিংক বিটুইন পাইরেটেড সফটওয়্যার অ্যান্ড সাইবার সিকিউরিটি ব্রিচেস’ নামের গবেষণায় বিভিন্ন দেশের সাইবার নিরাপত্তার বিষয়টি ও পাইরেটেড সফটওয়্যারের কারণে সাইবার আক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে সচেতন হওয়ার কথা বলেছেন গবেষকেরা।
গবেষকেরা বিভিন্ন দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠানে জরিপ করে দেখেছেন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্যবসা-বাণিজ্যের গোপনীয়তার বিষয়টি নিয়ে বেশি আশঙ্কায় থাকতে হয়। এ ছাড়াও গোপনীয় সরকারি নথি, ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার তথ্যে সাইবার হামলা বিষয়ে আতঙ্কিত থাকতে হয়।
মাইক্রোসফটের সাইবার অপরাধ বিভাগের কর্মকর্তা ডেভিড ফিন জানিয়েছেন, ‘সাইবার অপরাধীরা যেকোনো নিরাপত্তা দুর্বলতা খুঁজে তা থেকে মুনাফা বের করছে যাতে সবাইকে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। অর্থের লোভে সাইবার দুর্বৃত্তরা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ভেঙে ফেলার নতুন পথ খুঁজে বের করছে এবং তারা যা চাই তা করতে পারছে। ব্যক্তিগত তথ্য চুরি, অর্থ আত্মসাতের মতো কাজগুলো হরহামেশাই করছে।
আইডিসির গবেষকেরা জানিয়েছেন, এ বছরে বিশ্বের বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৫০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার পাইরেটেড সফটওয়্যারের ম্যালওয়্যার সামলাতে খরচ করতে হতে পারে। এর মধ্যে ১২ হাজার ৭০০ কোটি ডলার খরচ হবে নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় আর ৩৬ হাজার কোটিরও বেশি খরচ হতে পারে তথ্য চুরি রোধে।
অন্যদিকে বৈশ্বিক গ্রাহক পর্যায়ে এ বছর দুই হাজার ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার ম্যালওয়্যারের কারণে নিরাপত্তা বাবদ ও কম্পিউটার সারাই বাবদ খরচ হতে পারে। শুধু তাই নয় ১২০ কোটি ঘণ্টা নিরাপত্তা হুমকি ঠেকাতে ব্যয় হতে পারে।
পাইরেটেড সফটওয়্যারের ঝুঁকি সম্পর্কে আইডিসির প্রধান গবেষক জন গ্যান্টজ জানিয়েছেন, পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার মাইন ভর্তি মাঠের মধ্য দিয়ে হেঁটে যাওয়ার মতো। কখন বিপদ ঘটে গেছে ব্যবহারকারী বুঝতেই পারবেন না। জেনেশুনে পাইরেটেড সফটওয়্যারের ব্যবহার কারণে ধ্বংসাত্মক পরিণতি হতে পারে।
জন গ্যান্টজ আরও জানিয়েছেন, অনেক সময় আর্থিক ক্ষতির বিষয়টি মেনে নেওয়া যায় কিন্তু ব্যবসায় যদি পাইরেটেড সফটওয়্যারের কারণে ধস নামে সে ক্ষতি পোষানো যায় না। তাই বৈধ সফটওয়্যার শুরুতে বেশি দাম দিয়ে কিনলেও পরে তা লাভজনক হয়ে ওঠে।
Source: Daily Prothom Alo