টেলিযোগাযোগের আরো কিছু প্রাথমিক বিষয় জানার পর আমরা চলে যাব অত্যাধুনিক টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তিগুলো সম্বন্ধে অল্প বিস্তর জানতে। আরো জানবো এই টেলিযগাযোগের বিস্ময়কর সব আবিষ্কারের পিছনে কোন কোন সংস্থাগুলোর অবদান আছে।
অত্যাধুনিক টেলিযোগাযোগের বিষয়টিকে বলে ‘মোবাইল কম্পিউটিং’। নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে এটি মূলত তারহীন যোগাযোগের উন্নততর সংস্করণ। এর আওতায় পড়বে স্যাটেলাইট যোগাযোগ, মোবাইল প্রযুক্তির ২য়, ৩য়, ৪র্থ জেনারেশন, বিভিন্ন ট্রান্সমিশান মাধ্যমের প্রবেশাধিকার/ ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ, ব্রডকাস্ট সিস্টেম, তারহীন ল্যান, মোবাইল নেটওয়ার্কের বিভিন্ন ধাপ, মবিলিটির জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ব্যবস্থা। অর্থগোনাল মাল্টিপ্লেক্সিং(OFDM) , একাধিক এন্টেনা সিস্টেম (MIMO), সেলফ ওর্গানাইজিং নেটওয়ার্ক (SON), কগনিটিভ রেডিও (CR) এবং সফটওয়ার রেডিও (SR).
এছাড়াও রয়েছে একটু পুরোনো হলেও (প্রায় ৩০ বছরের) এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য তার যোগাযোগ মাধ্যম অপটিক্যাল ফাইবার যোগাযোগ ও সাবমেরিন ক্যাবল।
থাকবে ডিজিটাল ভয়েস যোগাযোগ, সুইচিং এবং আইপিনির্ভর ভয়েস যোগাযোগ (ভিওআইপি)।
প্রায় ৬০ বছরের পুরোনো, কিন্তু এখনো অনেক কার্যকরী, অতিপরিচিত রাডার সিস্টেম। গত একমাসে মালয়েশিয়ার নিখোঁজ বিমান খুঁজে খুঁজে হয়রান কর্তৃপক্ষের অন্যতম নির্ভরযোগ্য তথ্যদাতা টেলিযন্ত্র!
এছাড়াও থাকবে বিভিন্ন ধরণের এনালগ এবং ডিজিটাল মডুলেশান, মাল্টিপ্লেক্সিং এবং কোডিং সিস্টেম।
ঐতিহ্য মানেই নিজস্বতা, আত্মপরিচয়! তাই আমরা পুরোনো আবিষ্কারগুলো যার উপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে আমাদের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা, সেগুলো সম্বন্ধেও জেনে নিব সবার শেষে।