আপনি হয়ত ভাবছেন একটি অ্যান্টিভাইরাস ক্রয় করার সময় কোন কোন বিষয়ের প্রতি লক্ষ রাকতে হবে। আসলে অধিকাংশ মানুষই বিষয়ই ঠিক জানে না, এর ফলে তারা ভাইরাস আক্রমন সহ অন্যান্য নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়।
নানাবিদ হুমকি থেকে আপনি কিভাবে আপনাকে নিরাপদ রাখবেন যা প্রতিদিন, প্রতিক্ষনে আপনার কম্পিউটারকে আক্রমন করার জন্য টার্গেট করে আছে? ফলে আপনি এবং আপনার কম্পিউটারের জন্য সবচেয়ে উপযোগী একটি অ্যান্টিভাইরাস এবং অন্যান্য সফটঅয়্যার খোঁজতে পারেন।
১.মূল্য:
এটি বলার অপেক্ষা রাখে রা যে, অ্যান্টিভাইরাস সফটঅয়্যার ক্রয়ের ক্ষেত্রে সর্বপ্রধান লক্ষ্য করার বিষয় হলো,সফটঅয়্যারটি মূল্য। আবার কিছু সফটঅয়্যার ফ্রিতেও পাওয়া যায়, আবার কোন কোনটির দাম শত শত ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে। আপনার কম্পিউটারকে নিরাপদ রাখার জন্য সব সময় খুব দামী অ্যান্টিভাইরাস সফটঅয়্যার কেনার দরকার হবে, এমনটি নয়। আপনি একটি যৌক্তিক মূল্য বা অবস্থাভেদে বিনামুল্যে সফটঅয়্যারও অনায়েসে ব্যবহার করতে পারেন।
২.ইমেল স্ক্যানিং:
সবচেয়ে উন্নতমানের অ্যান্টিভাইরাস সফটঅয়্যার প্রধান একটি ফিচার হলো ইমেইল স্ক্যানিং। এটি এমন একটি বিষয়, যা আপনার কম্পিউটার হার্ডড্রইভের ডাটা মুছে ফেলা থেকে রক্ষা করতে পারে। স্প্যামগুলো লিংক আকারে বা অ্যাটাচড ফাইল বা ফোল্ডার আকারে এসে আপানার কম্পিউটারে আক্রমন করতে পারে। যখন এ ধরনের একটি হুমকি পাওয়া যায় তখন আপনার মেসেজটি অপেন বা মেসেজ লিংকে ক্লিক করার আগেই অ্যান্টিভাইরস ইমেল স্ক্যান’ আপনাকে সতর্ক করতে পারে।
৩.ডাউনলোড প্রোটেকশন:
এই তালিকায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন অন্য আর একটি ফিচার হল, ডাউনলোড প্রোটেকশন্। তাই আপনাকে এমন একটি অ্যান্টিভাইরাস সফটঅ্যায়ার বেছে নিতে হবে, যাতে ফাইল ডাউনলোড স্ক্যানিং সুবিধা থাকে।
৪.স্পিড বা গতি:
লক্ষ করুন যে, আপনার কম্পিউটার স্ক্যান করতে কতটা সময় লাগে। যে সমস্ত প্রোগ্রাম কুইক স্ক্যান বা স্পিডি স্ক্যান’ সুবিধা দেবে সেগুলো নি:সন্দেহে ভালো অ্যান্টিভাইরাস যার ফলে আপনি মুহূর্তের নোটিসে রান করিয়ে আপনার সিস্টেম চেক করতে পারবেন। যদিও কুইক স্ক্যান ব্যাপকভাবে আপনার সিস্টেমকে স্ক্যান করবে না, কিন্তু সিস্টেমের অবস্থা সম্পর্কে মোটামোটি চলনসই একটি ধারনা দেবে।
৫.সামঞ্জস্যতা বা কম্প্যাটিবিলিটি:
আরো একটি অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন বিষয়ে লক্ষ রাখতে হবে, তা হল আপনি যে অ্যান্টিভাইরাস সফটঅয়্যারটি কিনছেন তা আপনার কম্পিউটারের সাথে সামঞ্জস্যপুর্ন কিনা। উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীদের জন্য বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন, কারণ উইন্ডোজের বিভিন্ন ভার্সনের জন্য ভিন্ন ভিন্ন অ্যান্টিভাইরাস পাওয়া যায়। যদিও ম্যাক অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীরা, অনেক সময় কিছুটা অসামঞ্জস্যতা নিয়েও চলতে পারে। কোনো একটি অপারেটিং সিস্টেমের জন্য উপযুক্ত অ্যান্টিভাইরাস ক্রয় না করলে আপনার টাকা অযথা গচ্চা যাবে এবং এটি আপনার কম্পিউটারকে যথাযথভাবে স্ক্যান করতে এবং রক্ষা করতে পারবে না।
৬.প্রাইভেসি পলিসি:
আপনি বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, কিছূ কিছু বড় বড় অ্যান্টিভাইরাস এবং কম্পিউটার সিকিউরিটি প্রোগ্রাম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সবচেয়ে বড় তথ্য ভানডার গড়ে তুলছে। আপনাকে অবশ্যই অ্যান্টিভাইরাস কেনার আগে নির্মাতা কোম্পানির প্রাইভেসি পলিসি ভাল করে পড়ে দেখতে হবে। আপনাকে ডাটা শেয়ার বা বিক্রি করা হবে কিনা এবং হলে তা কিভাবে ও কতটুকু হবে, কার কাছে হবে ইত্যাদি।
৭.ফ্রি ট্রায়াল:
আপনি এমন একটি অ্যান্টিভাইরাস ক্রয় করতে পারেন, যা আপনাকে ফ্রি ট্রায়ালের সুবিধা দেবে। এর ফলে, আপনি অ্যান্টিভাইরাসটির সুবিধা-অসুবিধাগুলো এর আপনার জন্য উপযোগী কিনা তা বুঝতে পারবেন। তাই এমন একটি অ্যান্টিভাইরাসের খোজ করুন, যাতে যা কিছু তার সবকিছুই এক নজরে দেখা যায়।
৮.রিয়েল টাইম তথ্য:
এটি খুবই উপকারী হতে পারে যদি অ্যান্টিভাইরাসটিতে রিয়েল টাইম স্ক্যানিং এবং তথ্য পাওয়া যায়, যখনই আপনার দরকার হবে ঠিক তখনই। এই ব্যবস্থা ঐ সকল ব্যবহারকারীদের জন্য খুবই সুবিধাজনক হয়ে থাকে যারা, নিয়মিতভাবে ব্রাউজ করে, ইমেইল চেক করে বা ফাইলসমুহ ডাউনলোড করে থাকে। এটি আপনার প্রতি দিন, প্রতি ঘন্টায় সফটঅ্যায়ারটি বুটিং হওয়ার সময় বাচতে পারে।
৯.পেমেন্ট শর্তাবলী:
আরো একটি গুরুত্বপুর্ন বিষয় লক্ষ্য করতে হবে যে, অ্যান্টিভাইরাসেটির পেমেন্ট এর শর্তাবলী কেমন। কিছু অ্যান্টিভাইরাসের মুল্য এককালীন পরিশোধ করতে হয়। আপনাকেই বেছে নিতে হবে যে, কোন প্যাকেজটি আপনার জন্য সবচেয়ে সুবিধাজনক। সূত্র :সিনিউজ