ব্যস্ত জীবনের সারাক্ষণের সঙ্গী হচ্ছে পেনড্রাইভ। ডাটা আদান প্রদানে সবচেয়ে হালকা এবং নির্ভরযোগ্য মাধ্যম পেনড্রাইভ। যদিও আমাদের অনেকের কাছেই পেনড্রাইভ আছে। কিন্তু তারপরও যারা পেনড্রাইভ খুঁজছেন তাদের জন্য কিছু টিপস:
আপনার কাজের চাহিদার উপর ভিত্তি করে পেনড্রাইভের মেমরি সাইজ ঠিক করতে হবে। যদি আপনার অনেক বেশী ডাটা নিয়ে চলাচল করতে হয় তবে আপনার জন্য বাজারে রয়েছে ৩২ গিগাবাইট থেকে ১২৮ গিগাবাইট পর্যন্ত পেনড্রাইভ।
ডাটা ট্রান্সফার স্পীড একটি জরুরী বিষয়। বাজারে এখন ইউএসবি ৩.০ জেনারেশন এর পেন ড্রাইভ পাওয়া যায়। যার দাম একটু বেশী এবং সর্বোচ্চ ৪.৮ গিগাবিট পার সেকেন্ড স্পীডে ডাটা আদান প্রদান করতে পারে। কিন্তু ইউএসবি ৩.০ জেনারেশন পেনড্রাইভ সমর্থন করে এমন ল্যাপটপ/ডেস্কটপ খুব কম। বাজারে সবচেয়ে প্রচলিত ইউএসবি ২.০ জেনারেশন এর পেনড্রাইভ।
কেনার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন আপনি যেই অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করেন সেটা আপনার পেনড্রাইভ সমর্থন করবে কিনা। সাধারণত সব পেনড্রাইভ মাইক্রোসফট এক্সপি এবং এর পরের উইন্ডোজ ভার্সন গুলো সমর্থন করে। তবে আপনি যদি লিনাক্স কিংবা ম্যাক ইউজার হন সেক্ষেত্রে কনফার্ম হয়ে কিনবেন।
অনেকেই ব্র্যান্ডের পেনড্রাইভ খুঁজে থাকেন। বাজারে Transcend, Apacer, A-Data, Kingston ব্র্যান্ডের পেনড্রাইভ সবচেয়ে বেশী চলছে। অনেক সময় দেখা যায় নিম্নমানের চাইনিজ ব্র্যান্ডের পেন ড্রাইভ ঠিকমত ডাটা স্টোর করে রাখতে পারে না। ওয়ারেন্টি দেখে পছন্দের ব্র্যান্ডের মধ্যে সিলেক্ট করে নিতে পারেন আপনার পেনড্রাইভটি।
বাজারে সাধারণত ৪ গিগাবাইটের পেনড্রাইভ ৪০০-৫৫০ টাকার মধ্যে পাবেন। ৮ গিগাবাইটের পেনড্রাইভের দাম পড়বে ৫০০-৬৫০ এর মধ্যে। যারা একটু বেশী মেমরি সাইজের পেনড্রাইভের ডাটা খুঁজছেন তারা ১০০০ টাকায় ১৬ গিগা বাইটের পেনড্রাইভ পেয়ে যাবেন।
পড়ালেখা হোক আর অফিস এর কাজেই হোক, একটি পেনড্রাইভ দৈনন্দিন কাজের জন্য অনেক উপকারী। তাই দেখে শুনে বুঝে কিনুন আপনার পছন্দের পেনড্রাইভ।